ঢাকা ০৮:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাশ্মীরে বর্বরতা ভারতের সবচেয়ে বড় কলঙ্ক: অমর্ত্য সেন

Reporter Name

সবুজদেশ নিউজ ডেস্কঃ

‘অধিকৃত কাশ্মীরে নয়াদিল্লি যে নৃশংসতা চালাচ্ছে তা ভারতের গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় কলঙ্ক।’ শনিবার ইন্ডিয়া টুডে’তে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন ভারতের নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন । খবর জিও টিভি , কাশ্মীর অবজারভারের।

তিনি বলেন, ‘এটা ভারতীয় গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বড় কলঙ্ক। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। এ অবস্থা যে একটি কলঙ্ক তার অনেক প্রমাণ আছে। বিদেশের আলোচনাগুলোতেও কাশ্মীর গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘কাশ্মীরের জনগণ তাকিয়ে আছে। আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা গুরুত্বপূর্ণ। বিক্ষোভ দমন করতে ভয়ংকর ও সহিংস ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, সংবাদপত্র নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।এতে কাশ্মীরিরা আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। এগুলো করে কাশ্মীরিদের যেভাবে শাস্তি দেয়া হচ্ছে তাতে তাদের ভারতকে আপন ভাবার কোনো কারণ নেই।’

ক্যামব্রিজের ট্রিনিটি কলেজের সাবেক শিক্ষক ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এ অধ্যাপক বলেন, কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর নৃশংসতার ওপর সিএনএনের দীর্ঘ এক প্রতিবেদন আমি দেখেছি। ভারতের বাকি অংশের সঙ্গে কাশ্মীরিদের দৃষ্টিভঙ্গিতে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। আসল কথা হল বহু দশক ধরে আমরা একে মিসহ্যান্ডেল করেছি। এখন আরও খারাপ উপায়ে সেখানকার পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করছি।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৫:১৯:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অগাস্ট ২০১৯
৩৮৩ Time View

কাশ্মীরে বর্বরতা ভারতের সবচেয়ে বড় কলঙ্ক: অমর্ত্য সেন

আপডেট সময় : ০৫:১৯:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অগাস্ট ২০১৯

সবুজদেশ নিউজ ডেস্কঃ

‘অধিকৃত কাশ্মীরে নয়াদিল্লি যে নৃশংসতা চালাচ্ছে তা ভারতের গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় কলঙ্ক।’ শনিবার ইন্ডিয়া টুডে’তে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন ভারতের নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন । খবর জিও টিভি , কাশ্মীর অবজারভারের।

তিনি বলেন, ‘এটা ভারতীয় গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বড় কলঙ্ক। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। এ অবস্থা যে একটি কলঙ্ক তার অনেক প্রমাণ আছে। বিদেশের আলোচনাগুলোতেও কাশ্মীর গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘কাশ্মীরের জনগণ তাকিয়ে আছে। আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা গুরুত্বপূর্ণ। বিক্ষোভ দমন করতে ভয়ংকর ও সহিংস ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, সংবাদপত্র নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।এতে কাশ্মীরিরা আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। এগুলো করে কাশ্মীরিদের যেভাবে শাস্তি দেয়া হচ্ছে তাতে তাদের ভারতকে আপন ভাবার কোনো কারণ নেই।’

ক্যামব্রিজের ট্রিনিটি কলেজের সাবেক শিক্ষক ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এ অধ্যাপক বলেন, কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর নৃশংসতার ওপর সিএনএনের দীর্ঘ এক প্রতিবেদন আমি দেখেছি। ভারতের বাকি অংশের সঙ্গে কাশ্মীরিদের দৃষ্টিভঙ্গিতে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। আসল কথা হল বহু দশক ধরে আমরা একে মিসহ্যান্ডেল করেছি। এখন আরও খারাপ উপায়ে সেখানকার পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করছি।