কাশ্মীরের বিখ্যাত জামা মসজিদ বন্ধ করে দিল ভারত
সবুজদেশ নিউজ ডেস্কঃ
কাশ্মীরে চলমান অচলাবস্থার শেষ হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে ভরসা দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
গতকাল কাশ্মীরিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ঈদ সামনে। সবাইকে শুভকামনা। জম্মু-কাশ্মীরে ঈদের সময় যেন কোনো সমস্যা না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখছে সরকার। আসুন সবাই মিলে ভারতের সঙ্গে নয়া জম্মু-কাশ্মীর ও নয়া লাদাখ নির্মাণ করি।’
নরেন্দ্র মোদির সে আশ্বাসের পর আজ (শুক্রবার) পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
শুক্রবার সকালে ফোন পরিষেবা এবং ইন্টারনেট আংশিকভাবে চালু করা হয়।
জুমার নামাজ আদায়ের সুবিধার্থে রাস্তাঘাটে চলাচল-সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়।
তবে নগরীর শ্রীনগরে অবস্থিত প্রধান মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারেনি মুসলমানরা।
অভ্যন্তরীণ ছোট ছোট মসজিদে নামাজ আদায়ের অনুমতি মিললেও বিখ্যাত জামা মসজিদের ফটক বন্ধ করে দিয়েছে ভারত সরকার।
তবে সেসব মসজিদের আশপাশের অঞ্চলে প্রচুর নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে।
রাজ্যের নিরাপত্তার খাতিরেই জামা মসজিদে নামাজ আদায় বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্য পুলিশের প্রধান দিলবাগ সিং।
সংবাদ সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন, ‘ধীরে ধীরে কাশ্মীরের অচলাবস্থার অবশান হতে চলেছে। আজ স্থানীয় মুসলমানদের জুমা আদায়ের জন্য মসজিদগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। এতে কোনো বাধা নেই। তবে নিরাপত্তার খাতিরে প্রধান মসজিদটি খোলা হয়নি।’
নামাজ আদায়ের সুবিধার্থে রাস্তাঘাটে চলাচল-সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হলেও স্থানীয়দের নিজ নিজ এলাকার বাইরে অন্য অঞ্চলে যাওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন দিলবাগ সিং।
প্রসঙ্গত হঠাৎ করে বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ায় উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে ভারতনিয়ন্ত্রিত জুম্মু-কাশ্মীর।
সোমবার ভারতের পার্লামেন্টে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সমাপ্ত করার একটি প্রস্তাব পাস করে মোদি সরকার।
ওই রাজ্যকে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার একটি বিলও পাস করানো হয়।
এর পরই ফুঁসে ওঠে কাশ্মীরের জনতা। মুসলিম অধ্যুষিত জম্মু-কাশ্মীরের সঙ্গে গোটা দুনিয়ার সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪৪ ধারা জারি করার পরও রাস্তায় নেমে আসে শত শত কাশ্মীরি।গোটা রাজ্যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।