ঢাকা ০৪:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কলকাতায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ঝিনাইদহের যুবকের দাফন সম্পন্ন

Reporter Name

ঝিনাইদহঃ

কলকাতার সেক্সপিয়ার সরণিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ঝিনাইদহ পৌর এলাকার ভুটিয়ারগাতি গ্রামের কাজী মাইনুল আলম সোহাগ’র দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

রোববার বাদ যোহর পারিবারিক গোরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়। এসময় নিহতের স্বজনসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে এ্যাম্বুলেন্সে সোহাগ’র মরদেহ বাড়িতে এসে পৌঁছায়। তখন বাড়িতে বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী, ভাই-বোনেরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। মরদেহ দেখতে এলাকাবাসী ভীড় করে। সকালে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে লাশ বাংলাদেশে আনা হয়। তার চাচাতে ভাই জিহাদ লাশ গ্রহণ করেন। চোঁখের সমস্যা নিয়ে বুধবার কলকাতার এ্যাপোলো হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে যান। রোববার তার দেশে ফেরার কথা ছিল। সোহাগ গ্রামীন ফোনের ঢাকার মতিঝিল এলাকার এরিয়া ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

উল্লেখ্য, শুক্রবার মধ্যরাতে বৃষ্টির কারণে কলকাতার সেক্সপিয়র সরণির একটি পুলিশ বক্সে দাড়িয়ে ছিলেন সোহাগ, তার চাচাতো ভাই জিহাদ কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার চাদোট গ্রামের মুন্সী আমিনুল ইসলামের মেয়ে ফারজানা ইসলাম তানিয়া।

এসময় শেক্সপিয়র সরণি ধরে বিড়লা প্লানেটোরিয়ামের দিক থেকে কলামন্দিরের দিকে যাওয়ার সময় প্রচন্ড গতির একটি জাগুয়ার সজোরে ধাক্কা মারে একটি মার্সিডিজকে। এরপর জাগুয়ারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সোহাগ ও তানিয়াকে চাপা দেয়। সেখান থেকে তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গিলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহত হয় মার্সিডিজের চালক ও আরোহী।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৩:০৫:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০১৯
৩৪২ Time View

কলকাতায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ঝিনাইদহের যুবকের দাফন সম্পন্ন

আপডেট সময় : ০৩:০৫:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০১৯

ঝিনাইদহঃ

কলকাতার সেক্সপিয়ার সরণিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ঝিনাইদহ পৌর এলাকার ভুটিয়ারগাতি গ্রামের কাজী মাইনুল আলম সোহাগ’র দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

রোববার বাদ যোহর পারিবারিক গোরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়। এসময় নিহতের স্বজনসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে এ্যাম্বুলেন্সে সোহাগ’র মরদেহ বাড়িতে এসে পৌঁছায়। তখন বাড়িতে বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী, ভাই-বোনেরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। মরদেহ দেখতে এলাকাবাসী ভীড় করে। সকালে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে লাশ বাংলাদেশে আনা হয়। তার চাচাতে ভাই জিহাদ লাশ গ্রহণ করেন। চোঁখের সমস্যা নিয়ে বুধবার কলকাতার এ্যাপোলো হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে যান। রোববার তার দেশে ফেরার কথা ছিল। সোহাগ গ্রামীন ফোনের ঢাকার মতিঝিল এলাকার এরিয়া ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

উল্লেখ্য, শুক্রবার মধ্যরাতে বৃষ্টির কারণে কলকাতার সেক্সপিয়র সরণির একটি পুলিশ বক্সে দাড়িয়ে ছিলেন সোহাগ, তার চাচাতো ভাই জিহাদ কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার চাদোট গ্রামের মুন্সী আমিনুল ইসলামের মেয়ে ফারজানা ইসলাম তানিয়া।

এসময় শেক্সপিয়র সরণি ধরে বিড়লা প্লানেটোরিয়ামের দিক থেকে কলামন্দিরের দিকে যাওয়ার সময় প্রচন্ড গতির একটি জাগুয়ার সজোরে ধাক্কা মারে একটি মার্সিডিজকে। এরপর জাগুয়ারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সোহাগ ও তানিয়াকে চাপা দেয়। সেখান থেকে তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গিলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহত হয় মার্সিডিজের চালক ও আরোহী।