চুয়াডাঙ্গা:

অর্থের বিনিময় আসামি ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হাসাদহ পুলিশ ফাঁড়ির দুই পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করে নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১ অক্টোবর) সকালে পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাদের চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়।

ওই দুই পুলিশ সদস্য হলেন-হাসাদহ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) রকি মণ্ডল ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সাহাজুল ইসলাম।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে এসআই রকি মণ্ডল ও এএসআই সাহাজুল ইসলাম হাসাদহ গ্রামের শরিফুল ইসলাম, সজল, শফি এবং রানা নামের চার যুবককে মাদক সেবনের অভিযোগে আটক করেন। পরে তাদের হাসাদহ পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। রাত আনুমানিক ১১টার দিকে পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে ওই চার যুবককে ছেড়ে দেন পুলিশের ওই দুই কর্মকর্তা।

আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি এক পর্যায়ে ওই এলাকায় লোকজনের মধ্যে জানাজানি হয়ে যায়। পরে ওই ২০ হাজার টাকা বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে ভুক্তভোগীদের বাড়িতে গিয়ে ফেরত দেন ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা। এরমধ্যে আর্থিক লেনদেনের বিষযটি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানতে পারে। শুক্রবার সকালে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনে তাদের ক্লোজ করা হয়।

জীবননগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল খালেক বলেন, হাসাদহ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রকি মণ্ডল ও এএসআই সাহাজুল ইসলামকে পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়েছে। তবে কী কারণে তাদেরকে পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়েছে তা এখন পর্যন্ত জানতে পারিনি।

এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, অপেশাদারিত্বের কারণে ওই দুজনকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here