ছবি: সংগৃহীত

সবুজদেশ ডেস্কঃ

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানকে নিয়ে অমূলক, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন খবর প্রচার করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইমোনমিস্ট’। এমন দাবি ডেইলি সাবাহর। 

তুরস্কের এ সংবাদমাধ্যমটি বলছে, এরদোগানের বিরোধিতা করে ৪১ পাতায় মোট ৮টি বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করেছে দ্য ইকোনমিস্ট। তবে এতে কোনো তথ্য-প্রমাণ সরবরাহ করতে পারেনি গণমাধ্যমটি। 

আসন্ন নির্বাচনে চ্যালেঞ্জের মুখে এরদোগান!
ব্রিটিশ গণমাধ্যম ইকোনমিস্টের দাবি, আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চ্যালেঞ্জের মুখে পরতে যাচ্ছেন এরদোগান। অথচ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার চার মাস আগেও কোনো বিরোধী প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়নি দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে। 

পরিবারতন্ত্রের ধারক বাহক এরদোগান!
গত দুই দশক ধরে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন এরদোগান। ইকোনমিস্টের দাবি, পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন এরদোগান। এমনকি গণমাধ্যমটি বলছে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ পদে পরিবারের সদস্যদের এবং আত্মীয়দের বসিয়ে রেখেছেন এরদোগান। এদিকে সত্যতা হলো, এরদোগানের বড় জামাতা দীর্ঘদিন ধরে এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। জ্বালানি ও অর্থ মন্ত্রণালয়েও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। স্ত্রী এমিনি এরদোগান একটি সমাজকল্যাণমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত। ছেলে বিলাল এরদোগানও অলাভজনক কিছু শিক্ষামূলক ও খেলাধুলা বিষয়ক সংস্থার সঙ্গে জড়িত। 

তুরস্কের পররাষ্ট্রনীতি ‘দ্বান্দ্বিক’! 
ইকোনমিস্টের আরেকটি মিথ্যাচার হলো, তুরস্কের পররাষ্ট্রনীতিকে দ্বান্দ্বিক আখ্যা দেওয়া। তবে এর পক্ষেও কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যা দিতে পারেনি ইকোনমিস্ট। যে কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেছে ইকোনমিস্ট তাতে তুরস্কের দ্বৈতনীতির কোনো লেশমাত্রও নেই। 

সিরিয়া যুদ্ধের জন্য দায়ী তুরস্ক! 
ইকোনমিস্টের দাবি, সিরিয়া যুদ্ধের জন্য দায়ী এরদোগান সরকার। অথচ দেশটির গৃহযুদ্ধের কারণে প্রায় ৫০ লাখ শরণার্থী তুরস্কের আশ্রয় নিয়েছে। খোদ যুক্তরাজ্যের শরনার্থীদের বোঝা মনে করা হলেও তুরস্ক তা মনে করে না। মাসখানেক আগেও ইকোনমিস্ট শরণার্থীদের বোঝা উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। 

অর্থনৈতিকভাবে দুরাবস্থায় তুরস্ক!
দ্য ইকোনমিস্টের নিবন্ধে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিকভাবে দুরাবস্থার মধ্যে আছে তুরস্ক। এ দাবির পক্ষে কোনো যুক্তি তুলে ধরেনি গণমাধ্যমটি। অথচ তুরস্কের বর্তমান অর্থনীতি বেশ চাঙ্গা। ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গ্যাস মজুদ আছে দেশটিতে। সেইসঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা-ওইসিডি দেশসমূহের মধ্যে দ্রুত উন্নয়নের দিক থেকে দেশটি দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। 

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here