করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে রাতে মসজিদে আজান!
বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে ১ টা পর্যন্ত বিভিন্ন মসজিদে আজান দেয়া হয়েছে। জেলার মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলায় এই আজানের ঘটনা বেশি ঘটেছে। এঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পক্ষে বিপক্ষে নানা আলোচনো-সমলোচনা শুরু হয়েছে।
তবে শুক্রবার বেলা সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত জেলা প্রশাসন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন বিষয়টি অবগত নয় বলে জানান বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: কামরুল ইসলাম এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক আল ফারুক।
মোরেলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাচ্চু বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১০ টা থেকে মোরেলগঞ্জের বিভিন্ন মসজিদে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে আজান দেয়া শুরু করে। হঠাৎ করে এমন ঘটনায় সাধারন মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। রাতেই নিশানবাড়িয়ার বিভিন্ন মানুষ তার কাছে ফোনে বিষয়টি জানতে চেয়েছে বলে তিনি জানান।
মোরেলগঞ্জ সদরের আরিফুল ইসলাম আলম বলেন, হঠাৎ আজান শুনে তিনি হতবাক হয়ে জান। পরে খোজ নিয়ে জানতে পারেন করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে এভাবে আজান দেয়া হচ্ছে।
শরণখোলার রায়েন্দা এলাকার শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, শরণখোলার বিভিন্ন মসজিদে রাতে আজান দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আজান দেয়া ভাল, তবে এভাবে দিলে মানুষের মাঝে ভয়ের সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের গুলিশাখালী জামে মসজিদের ইমান মোঃ সোলাইমান হোসেন জানান, তার বোন চট্টগ্রামের একটি গার্মেন্টসে চাকুরী করে। রাতে তাকে ফোন করে বলে চট্টগ্রামের এক হুজুর স্বপ্নে দেখেছে মসজিদে আজান দিলে করোনা দুর হবে। আর পাশের অনেক মসজিদ থেকেও আজানের শব্দ পান, তাই তিনিও মসজিদে আজান দিয়েছেন।
এবিষয়ে বাংলাদেশ মোফচ্ছের পরিষদের বাগেরহাট জেলা শাখার সভাপতি ও পুরাতন কোর্ট মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওঃ রুহুল আমীন খান বলেন, রাতে যারা আজান দিয়েছে তারা ইসলাম সম্মত ভাবে আজান দেয়নি। ইসলাম এমন আজান সমর্থন করে না। তিনি নিজেও এ কারনে রাতে ঘুমাতে পারেননি বলে জানান।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক আল ফারুক জানান, আমিতো মোরেরগঞ্জ চাকুরী করিনা, তাই শুনতে পাইনি।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: কামরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তিনি শোনেন নি। সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সাথে বিষয়টি জানার পরামর্শ দেন তিনি।