নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মোবারকগঞ্জ সুগার মিলে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দুই প্রতারক। এ ঘটনায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী কালীগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী মো: মনিরুজ্জামান।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, মোবারকগঞ্জ সুগার মিলে খালিপদ সৃষ্ট হওয়ায় সেখানে চাকরির ব্যবস্থা করে দিবে। এ জন্য দিতে হবে ৮ লাখ টাকা। এরপর ২০১৯ সালের ২৪ মে বাদীর বসত বাড়িতে চাকরির জন্য প্রথমে ২ লাখ টাকা বলিদাপাড়া এলাকার আব্দুল মতলেবের ছেলে ওহিদুল ইসলামের কাছে প্রদান করা হয়। এরপর একই এলাকার হাতেম আলীর ছেলে সমীর উদ্দিন টাকা বুঝে নিয়ে ৩০০ টাকা সমমূল্যের ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা সম্পাদন করেন। কয়েকদিন পর ওহিদুল ও সমীর উদ্দিন ৬ লাখ টাকার জামানত হিসেবে বাদীর নামীয় ব্যাংক হিসাবের একটি চেক দাবি করেন। এরপর তিনি ইসলামী ব্যাংক কালীগঞ্জ শাখার হিসাব নং-১৪২৫১/২০৫০২৮৭০২০১৪২৫১১৮ এর একটি চেকের পাতায় ৫ লক্ষ টাকা উল্লেখ করে প্রদান করেন। এরপর বিভিন্ন তারিখে চাকরির জন্য বাদী মোট ৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা প্রদান করেন। কিন্তু চাকরি দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ওহিদুল ও সমীরের কাছে প্রদান করা নগদ ৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা ও জামানাত হিসেবে ৫ লাখ টাকার চেক ফেরত চাইলে হারিয়ে গেছে বলে জানান ওহিদুল ইসলাম। চেকের পাতা হারানোর ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় একটি জিডিও করেছেন তিনি। পরবর্তীতে নগদ ৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা ফেরত চাইলে দিনের পর দিন ঘোরাতে থাকে। এর একপর্যায়ে টাকা ফেরত দিবে না বলে জানায় ওহিদুল ও সমীর। এরপর ২০২৩ সালের ১৮ মে আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী মো: মনিরুজ্জামান।

মামলার বাদী মো: মনিরুজ্জামান জানান, মোবারকগঞ্জ সুগার মিলে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ওহিদুল ও সমীর নগদ ৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা ও ৫ লাখ টাকার একটি চেক নিয়েছে। সেগুলো ফেরত চাইলে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিচ্ছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সমীর উদ্দিন জানান, চাকরি দেওয়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলাপ-আলোচনা হইলো আমিও তার মধ্যে ছিলাম। টাকা লেনদেন না কাগজপত্র লেনদেন হয়েছিল। তারা দুজনই সুগার মিলে চুক্তিভিত্তিক চাকরি করেন। আদালতে মামলা হয়েছে এটা তো ভালো।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here