যশোর:

যশোরে এক কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে চারজনকে ঈদের দিন (১০ জুলাই) আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।

আটককৃতরা হলেন, যশোর শহরের সিটি কলেজ পাড়ার মিরাজ হোসেন আকাশ, আরবপুর আয়শা পল্লির তাওসিন বিল্লাহ, জেলদ বেলতলার আরাফাত আহমেদ ও পুরাতন কসবা এলাকার যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম রফিক।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, তার সঙ্গে আসামি মিরাজের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সে সুবাদে শনিবার (৯ জুলাই ) সন্ধ্যায় শহরের দড়াটানা এলাকায় ঘুরতে যান তারা। এ সময় মিরাজের পরিচিত অন্য আসামি তাহসান ও আরাফাতের সঙ্গে কথা হয়। তারা বাদীকে গান শুনানোর কথা বলে বিমান অফিসের বিপরীতে দু’তলায় যুবলীগ নেতা রফিকের অফিসে নিয়ে যায়।  

সেখানে যেয়ে বাদী দেখতে পায় মদের বোতল ও ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম সাজানো রয়েছে। এসব দেখে বাদী হতবাক হয়ে ওই অফিস থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু আসামিরা সেখানে তাকে আটকে রেখে মারপিট করে। এক পর্যায় অন্য আসামিদের সহযোগিতায় আসামি শহীদ বাদীকে ধর্ষণ করে। 

এ সময় বাদী অসুস্থ হয়ে পড়ে।  পরে ঈদের দিন ভোর সাড়ে পাঁচটায় বাদী রফিকের অফিস থেকে বের হলেই পুলিশের দেখা পায়। পুলিশের কাছে ঘটনা খুলে বললে কসবা ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে রফিক বাদে অপর তিন আসামিকে আটক করে।

পরে রোববার একটার পর কাঠালতলা এলাকা থেকে রফিককে আটক করে। পুলিশ আসামিদের রোববার সন্ধ্যার পর আদালতে সোপর্দ করে। আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুরাতন কসবা ফাঁড়ি ইনচার্জ ইন্সপেক্টর রেজাউল করীম বলেন, পলাতক আসামিদের আটকে অভিযান শুরু করেছেন। এর নেপথ্যে অন্য কোনো রহস্য আছে কিনা সেবিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন। 

কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। পলাতক প্রধান অভিযুক্ত কাজীপাড়ার শহীদ ও পুরাতন কসবার  রাফাত ইয়াসমিনকে আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here