রাশিয়ার নৌবহর, ফাইল ছবি

সবুজদেশ ডেস্কঃ

ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসনের মধ্যেই কৃষ্ণসাগরে প্রায় ২০০ জাহাজ আটকে রেখেছে রাশিয়া। এটা চলতে থাকলে বিশ্বের বহু দেশে শুরু হবে খাদ্যসংকট।

তবে এই অভিযোগ ইউক্রেনের দিকে ঘুরিয়ে দিয়ে রাশিয়া বলছে, ইউক্রেনের নৌবাহিনী সমুদ্রে মাইন বিছিয়ে রেখেছে। জাহাজ চলাচল করলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ কারণেই তারা জাহাজগুলো আটকে রেখেছে।

জার্মানির সবচেয়ে বড় কৃষিপণ্যের ব্যবসায়ী সংস্থা বেওয়া জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের বন্দর থেকে এক বিন্দু দানাশস্যও রপ্তানি করা যায়নি। পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, তাতে ইউরোপজুড়ে খাদ্যসংকট শুরু হতে পারে। ইতোমধ্যেই খাবারের দাম বাড়তে শুরু করেছে।

ইউরোপের একটি বিস্তীর্ণ অঞ্চলে রাশিয়া দানাশস্য এবং সার রপ্তানি করে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়ন একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করায় রাশিয়া এবার তা রপ্তানি নাও করতে পারে। সেক্ষেত্রে খাদ্যসংকট আরও তীব্র হবে।  

লড়াই শুরু হওয়ার পরও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি চাষিদের বলেছিলেন, যেখানে পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে শান্ত, সেখানে যেন চাষিরা ভুট্টার চাষ শুরু করেন। এটাই ভুট্টা চাষের সময়। কিন্তু যেভাবে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করেছে, এতে চাষিরা ভুট্টার বপন বিশেষ করে উঠতে পেরেছেন বলে মনে করা হচ্ছে না।

ইউরোপের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকাতেও খাবারের দাম বাড়তে শুরু করেছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। বহু দেশই ইউরোপের রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল। তাছাড়া রাশিয়া জাহাজ আটকে রাখায় দানাশস্য যাতায়াতের চেনটি ভেঙে গেছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কৃষ্ণসাগরের ওই রুটটিকে বিশ্বের ব্রেড বাস্কেট বলা হয়।

প্রসঙ্গত, রুশ আগ্রাসন শুরুর পর ২৩ দিনের মতো যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা। রাশিয়ার হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে পুরো ইউক্রেন। এতে বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। দেশটি ছেড়ে অন্তত ৩০ লাখ মানুষ পাশের দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সেখানকার অনেক অঞ্চলে খাদ্য ও পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।   

সূত্র: ডয়চে ভেলে

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here