নড়াইলঃ

নড়াইলের সদর উপজেলার ভদ্রবিলা ইউনিয়নের ছাগল ছিড়া-বাগডাঙ্গা এলাকার চিত্রা নদীতে কয়েক দিন ধরে কুমির ভাসতে দেখা যাচ্ছে। এতে নদী তীরবর্তী স্থানীয় লোকজন ও জেলেদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ছাগল ছিড়া-বাগডাঙ্গা এলাকার খেয়াঘাটে চিত্রা নদীতে জনৈক মাঝি বাসারের নৌকার কাছে হঠাৎ একটি কুমির ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। এ সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা কুমির দেখতে নদীর তীরে ভিড় করেন। প্রায় প্রতিদিনই কুমিরটি ওই নদীর কোনো না কোনো স্থানে ভেসে থাকতে দেখছেন এলাকাবাসী। 

এ নিয়ে এলাকায় হুলুস্থুল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রতিদিনই বিভিন্ন জায়গা থেকে কৌতূহলী মানুষ কুমির দেখতে ভিড় করছেন ওই নদীর তীরে। গত কয়েক কয়েক দিন ধরে ওই নদীর বিভিন্ন অংশে বড় আকারের কুমিরটি ভাসতে দেখা যাচ্ছে। এর আগে ওই নদীতে কোনো কুমির ছিল না। গত ১০০ বছরের মধ্যে কেউ কখনো কুমির দেখেনি। হঠাৎ সেই নদীতে কুমিরের আগমনে নদীর দুই পাড়ের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। 

এমন পরিস্থিতিতে নদী তীরের লোকজন নদীতে নেমে গোসল করতে সাহস পাচ্ছেন না। মাছ ধরা বন্ধ করে দিয়েছেন জেলেরা। এমনকি নদী থেকে পানি নেওয়াও বন্ধ করে দিয়েছেন। সব মিলিয়ে ওই এলাকায় একটা ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। 

ভদ্রবিলা ইউনিয়নের ছাগল ছিড়া গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শী ভ্যানচালক মোজাফফর হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে খেয়াঘাট সংলগ্ন বাগডাঙ্গা গ্রামের মিনাবাড়ীর সামনে চিত্রার মাঝ নদীতে অল্প সময়ের জন্য কয়েকবার পানির ওপর শরীর ভাসিয়ে দেয় একটি মাঝারি আকারের কুমির। একেক দিন একেক এলাকায় দেখা যায় কুমিরটিকে। জোয়ার-ভাটার মাঝামাঝি সময়ে এটি বেশি দেখা যায়।

শুক্রবার দুপুরের দিকে কুমিরটি দেখা যাচ্ছিল ভদ্রবিলা ইউনিয়নের ছাগল ছিড়া খেয়াঘাটের কাছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ওই এলাকায় যাওয়ার পথেই দেখা যায় কুমির নিয়ে মানুষের আগ্রহ। মানুষের মুখে মুখে কুমিরের গল্প। পথ চিনতে যে কারও কাছে কুমিরের কথা জিজ্ঞাসা করতেই দেখিয়ে দিচ্ছেন কোন পথে যেতে হবে কুমির দেখতে।

হঠাৎ চিত্রা নদীতে কুমির দেখা মেলার কারণ জানতে চাইলে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এইচএম বদরুজ্জামান বলেন, সাগর থেকে দলছুট হয়ে কুমিরটি শাখা নদীতে প্রবেশ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here