মোহাম্মদ রায়হান রনি। ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরঃ

ফরিদপুর রিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পৌর ছাত্রদলের প্রথম যুগ্ম আহ্বায়কের পদ থেকে যথাক্রমে ‘অব্যাহতি’ ও ‘বহিষ্কৃত’ হলেন মোহাম্মদ রায়হান রনি (২৩)।

জেলা ছাত্রলীগ সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপের অভিযোগে রায়হানকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। অপরদিকে, জেলা জাতীয়াতাবাদী ছাত্রদল পৌর ছাত্রদলের প্রথম যুগ্ম আহ্বায়কের পদ থেকেও তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার (১৯ জুন) জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ান ও সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আলফাডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে রায়হানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

জেলা ছাত্রলীগের ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ফরিদপুর জেলা শাখার এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপের অভিযোগে মোহাম্মদ রায়হান রনিকে শনিবার (১৯ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

এদিকে, জেলা ছাত্রদল সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হাসান স্বাক্ষরিত আরেকটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ফরিদপুর জেলা শাখার এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও নীতি আদর্শ লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মোহাম্মদ রায়হান রনিকে প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আলফাডাঙ্গা পৌরসভার প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো। বিকেল ৪টার দিকে এ সিদ্ধান্ত নেয় জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে রায়হান রনি। তিনি সেখানে এক লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন। লিখিত বক্তব্যে রায়হান বলেন, ছাত্রদলের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। এটা মিথ্যা এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং তাকে হেয় করার জন্য প্রচার করা হচ্ছে।

লিখিত ওই বক্তব্যে রায়হান আরও বলেন, অভিযোগ প্রমাণের আগে তাকে ছাত্রদল নেতা বলে যে সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে সেটা সত্যিই দুঃখজনক এবং তার সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বার বার তথ্য সন্ত্রাসের শিকার হয়। ইতোমধ্যে তাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের মতো বৃহৎ সংগঠনকে কুলুষিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আকরাম হোসেন বলেন, জেলা ছাত্রলীগ কীভাবে কোন প্রক্রিয়ায় এবং কাদের সঙ্গে আলোচনা করে আলফাডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা দিয়েছে তা আমার জানা নেই। এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয়নি।

এ বিষয়ে আমাদের মতামত নেওয়া হলে এ জাতীয় বিতর্কিত লোক ছাত্রলীগের কমিটিতে ঢুকতে পারতো না এবং আমাদেরও এ জাতীয় অনভিপ্রেত ঘটনার সম্মুখীন হতে হতো না।

মো. রায়হান রনি (২৩) আলফাডাঙ্গা পৌরসভার বাসিন্দা। পড়াশোনা করেন যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে। তিনি একাধারে উপজেলা পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবার উপজেলা পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

সবুজদেশ/এসইউ

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here