ঝিনাইদহ:

ঝিনাইদহে করোনার মৃত্যুর মিছিলে যুক্ত হয়েছে আরো দুই নারী। সোমবার আফরোজা সুলতানা (৫৮) ও লিলি বেগম (৪৩) নামে দুই নারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। 

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা মাড়ন্দী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আফরোজা সুলতানা ঝিনাইদহ পৌর এলাকার পবহাটী গ্রামের আব্দুল্লাহ শাহ’র স্ত্রী। অন্যদিকে লিলি বেগম একই গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিট সুত্রে জানা গেছে, গত ২৯ মার্চ আফরোজা সুলতানার করোনা ধরা পড়ে। তার অবস্থা বেশি খারাপ হয়ে পড়লে যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বিকাল ৩টার মারা যান। 

এদিকে গত ৩০ মার্চ আরেক নারী লিলি বেগম অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত পহেলা এপ্রিল তার করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ডাক্তারদের তত্বাবধানে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন লিলি বেগম। সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে লিলি বেগম মারা যান। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে এই নিয়ে ঝিনাইদহে মা মেয়েসহ ৮ জনের মৃত্যু হলো। 
এর আগে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ঘোড়শাল ইউনিয়নের যদুড়িয়া গ্রামের রিনা বেগম, হামিরহাটী চাঁদপুরের আনসার আলী মন্ডল, কালীগঞ্জের আইনজীবী আশরাফুজ্জামান, কালীগঞ্জের বেজপাড়া গ্রামের গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী রহিমা খাতুন ও তার মেয়ে সালমা আক্তার মুন্নি এবং শৈলকুপার ফুলহরি গ্রামের দরবার আলী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

ঝিনাইদহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুল হামিদ খান জানান, ঝিনাইদহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের লাশ দাফন কমিটির সদস্য মাওঃ তাওহিদুলের নেতৃত্বে আফরোজা ও লিলি বেগমের লাশ পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। তিনি বলেন, করোনা শুরুর পর থেকে ঝিনাইদহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের লাশ দাফন কমিটি করোনা আক্রান্ত ও করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত ৭২ জনের লাশ দাফন করেছে। 

এদিকে ঝিনাইদহে প্রতিদিন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার মাঝেই শহরের মার্কেট ও বিপনীবিতানগুলোতে প্রচন্ড ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সোমবার সকাল থেকে দেখা গেছে গ্রাম থেকে আসা মানুষ ধুমছে কেনাকাটা করছে। প্রশাসনের কোন বিধি নিষেধ মানুষ মানছে না। করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় অর্ধশত মানুষ এ রোগে মারা গেছে। 

অন্যদিকে ঝিনাইদহে নতুন করে সোমবার ৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ পযন্ত জেলায় আক্রান্ত’র সংখ্যা দাড়িয়েছে ২৫৮৬ জন। পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২৪১১ জন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here