নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঝিনাইদহের মহেশপুরে উপজেলা শহরে কপোতাক্ষ নদী খননের সময় মিলেছে মাথার খুলি ও শরীরের বিভিন্ন অংশের হাঁড়। সেখানে তিনটি মাথার খুলি ও মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশের হাঁড় পাওয়া গেছে।

স্থানীয়দের ধারণা, এটি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদারদের হাতে নিহত সাধারণ মানুষের মাথার খুলি ও হাঁড়।

স্থানীয়রা জানায়, কপোতাক্ষ নদীর খননের সময় শহরের পাশে ব্রিজের নিচ থেকে মানুষের মাথার খুলি ও হাড় পাওয়া যায়। কয়েকদিন ধরে সেগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মহেশপুরে পাক বাহিনীর ক্যাম্প ছিল। পাকসেনারা বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষকে ধরে এনে এখানে হত্যা করে লাশ ফেলে দেওয়া হতো। পরে তাদের গন কবর দিত। এটি তার একটি গনকবর। উদ্ধারকৃত হাড়গোড় নদীর পাড়ে রাখা হয়েছে।

স্থানীয় দোকানদার কবির হোসেন সবুজদেশ নিউজকে জানান, কয়েকদিন আগে কপোতাক্ষ নদ খননের সময় মাথার খুলি ও শরীরের বিভিন্ন অংশের হাঁড় পাওয়া গেছে। সেগুলো স্থানীয়রা উদ্ধার করে এক জায়গায় রেখেছে। এ পর্যন্ত সেগুলো ব্রীজের নিচেই পড়ে আছে। প্রশাসনের কেউ উদ্ধার করে নি।

তিনি আরো জানান, এলাকার মুরুব্বীদের কাছে শুনেছেন মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনী এখানে মানুষ মেরে ফেলে দিত। সেগুলো গণকবর দেওয়া হয়েছিল। খননের সময় সেগুলো উঠে এসেছে।

এ ব্যাপারে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার রাজবংশী বলেন, আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। এখানে এসে মাথার খুলি ও হাড় দেখেছি। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে এটি মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের চিহ্ন। আমরা এটা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করব।

ভিডিও…

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here