নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঝিনাইদহের বিসিক পাড়ায় একই পরিবারের চারসদস্যসহ পাঁচজনকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল নিয়ে পালিয়েছে প্রতারক চক্র। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে অসুস্থ আব্দুল্লাহ, শারমিন, সুমাইয়া, রাশিদা ও ফাহিমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে প্রতারক ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।

হাসপাতালে ভর্তি রোগীর স্বজনরা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে শহরের বিসিক পাড়ায় মনিরুল ইসলাম মুকুল তার বন্ধু পরিচয়ে এক ব্যক্তিকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে তিনি গভীর রাতে পরিবারের সদস্যদের কৌশলে পানির সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেন। এরপর তারা ঘুমিয়ে পড়লে ওই প্রতারক নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যান। এরপর বুধবার দুপুরে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে ঘটনার পর থেকে মনিরুল ইসলাম মুকুল পলাতক।

মুকুলের মেয়ে সুমাইয়া জানান, রাতে বাবার সঙ্গে কবিরাজের মত এক ব্যক্তি আসে। তখন বাবা তাকে বন্ধু বলে পরিচয় দেন। এরপর সারাদিন ও রাতে ওই ব্যক্তি তার সঙ্গেই ছিলেন। পরে রাত ১২টার দিকে তিনি আমাদের বলেন তোমার আব্বুকে বাঁচাতে চাইলে সবাই খাটের ওপর ওঠো। এরপর মোমবাতি জ্বালিয়ে বলেন যতক্ষণ এটা জ্বলবে তোমরা নামবে না। পরে তিনি কলা, বাতাসা, চিনি ও পানি আমাদের খাওয়ান। এরপর আমরা ঘুমিয়ে যাই। পরে আর কী হয়েছে জানি না।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে প্রতারক চক্রের সদস্য হিসাবে ওই ব্যক্তি এমনটি করতে পারে বলে ধারনা।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ছোঁয়া জানান, তাদের ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর কারণে এমনটি হয়েছে। ১২ ঘণ্টা পার হলে তারা স্বাভাবিক অবস্থায় যাবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here