নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় নিখোঁজের ৮ ঘন্টার পর ৬ বছর বয়সী শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে শৈলকুপা উপজেলার বাগুটিয়া গ্রাম থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়রা জানায়, সোমবার দুপুরে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় বাগুটিয়া গ্রামের খোকন ভূইয়ার ৬ বছর বসয়ী কন্যা শিশু জান্নাতি খাতুন। প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় গ্রামের প্রায় সবখানে খোঁজাখুজির পর পাওয়া যায়না তাকে। রাত ৯ টার দিকে হঠাৎ বাড়ির পাশের পুকুরে তার লাশ পাওয়া যায়। শিশু জান্নাতির হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে অন্য কোথায় হত্যা করে পুকুর পাড়ে ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা।

আদরের একমাত্র কন্যাকে হারিয়ে শোকে পাগলপ্রায় মা স্বপ্না খাতুন। নাড়িছেড়া সন্তানের লাশের পাশে বসে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন তিনি। আর মেয়েকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ বাবা খোকন ভূইয়া। এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবী স্বজন ও এলাকাবাসীর।

জানা গেছে, সোমবার বেলা ১২টার দিকে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে রাস্তার পাশে শনপাপড়ি কিনতে গিয়ে নিখোঁজ হয় জান্নাতি। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে বিকেলে তার বাবা থানায় একটি জিডি করেন।

শিশুটির বাবা খোকন ভূইয়া বলেন, সোমবার ১২টার দিকে স্কুল থেকে জান্নাতি বাড়ি ফেরে। পরে বাড়ি ফিরে সে রাস্তার পাশে শনপাপড়ি কিনতে যায়। এরপর সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। বাড়ির পাশের বিভিন্ন পুকুরে সারাদিন তাকে খোঁজাখুঁজির পর পাওয়া না গেলে থানায় একটি জিডি করেন তিনি। পরে হঠাৎ রাত ৯ টার দিকে জান্নাতির লাশ পুকুরে ভাসতে দেখেন তারা।

তিনি আরো বলেন, এ পুকুরেও তিনি তার মেয়েকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছিলেন।

খোকন ভূইয়া অভিযোগ করে আরো বলেন, ‘মেয়ের ডান হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লুকিয়ে রাখা হয়। এরপর রাতের যেকোন সময় তাকে ডোবায় ফেলে দেয়া হয়।’

শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, বাগুটিয়া গ্রামের ডোবা থেকে জান্নাতি নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার হাতে থারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here