ঢাকা ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাবি শিক্ষকের ফেসবুক স্ট্যাটাস: ছাত্রদের রক্ষা করতে পারি না এই শিক্ষকতার কি দাম আছে?

Reporter Name

রুশাদ ফরিদিঃ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর রুশাদ ফরিদি বলেছেন, শিক্ষকতা ছেড়ে দেয়ার সময় হয়েছে। চোখের সামনে ডাকসু ভিপি নুরু আর অন্যান্য ছাত্রদের মেরে শেষ করে ফেলা হল। কিছুই করতে পারলাম না। নিজেদের ছাত্রদের রক্ষা করতে পারি না এই শিক্ষকতার কি দাম আছে?

রোববার বিকাল পৌনে ৩টার দিকে নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে তিনি এসব কথা বলেন।

রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) তালা মেরে ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের যৌথ হামলা সংগঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা।

তিনি বলেন, ডাকসু অফিসের দোতলায় উঠে দেখি কেউ কেউ পানি পানি বলে চিৎকার করছে। কেউ অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। ওরা দরজা বন্ধ করে বসেছিল। বার বার আশ্বাস দেয়ার পরেও ভয়ে দরজা খুলছে না। বলছিল, ‘লাইট নিভিয়ে দিয়ে লোহার রড দিয়ে এলো পাথারি মারা হয়েছে’। কয়েক বোতল পানি শুধু এগিয়ে দিতে পারলাম।

প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপির ওপর এমন হামলার ঘটনায় তিনি নিজেও লজ্জিত বলে জানান এ শিক্ষক।

তিনি বলেন, ‘এইটা একটা বিশ্ববিদ্যালয়? আর আমিও একজন শিক্ষক? ছিঃ ছিঃ ছিঃ’

রোববার বেলা পৌনে ১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর ও তার অনুসারীদের ওপর হামলা চালায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ডাকসু ভবনের মূল ফটক বন্ধ করে নুরের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করা হয়। এছাড়া বাইরে থেকেও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল ছুড়েন। এতে নুরসহ বেশ কয়েকজন রক্তাক্ত হন।

জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী এ হামলায় অংশ নেন।

এ সময় ডাকসুর সদস্য ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য তাদেরকে বাধা দিতে গেলে তাকেও শিবির আখ্যা দিয়ে লাঞ্ছিত করেন মঞ্চের নেতাকর্মীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নুরসহ সবাইকে কক্ষের লাইট অফ করে দিয়ে মারধর করা হয়। আহত হয়ে কয়েকজন সেখানেই পড়ে আছেন। প্রক্টরিয়াল টিম গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছেন। কয়েকজনকে অ্যাম্বুলেন্স এবং রিকশাযোগে হাসপাতালে নেয়া হয়।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৮:১০:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯
৪০০ Time View

ঢাবি শিক্ষকের ফেসবুক স্ট্যাটাস: ছাত্রদের রক্ষা করতে পারি না এই শিক্ষকতার কি দাম আছে?

আপডেট সময় : ০৮:১০:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯

রুশাদ ফরিদিঃ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর রুশাদ ফরিদি বলেছেন, শিক্ষকতা ছেড়ে দেয়ার সময় হয়েছে। চোখের সামনে ডাকসু ভিপি নুরু আর অন্যান্য ছাত্রদের মেরে শেষ করে ফেলা হল। কিছুই করতে পারলাম না। নিজেদের ছাত্রদের রক্ষা করতে পারি না এই শিক্ষকতার কি দাম আছে?

রোববার বিকাল পৌনে ৩টার দিকে নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে তিনি এসব কথা বলেন।

রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) তালা মেরে ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের যৌথ হামলা সংগঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা।

তিনি বলেন, ডাকসু অফিসের দোতলায় উঠে দেখি কেউ কেউ পানি পানি বলে চিৎকার করছে। কেউ অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। ওরা দরজা বন্ধ করে বসেছিল। বার বার আশ্বাস দেয়ার পরেও ভয়ে দরজা খুলছে না। বলছিল, ‘লাইট নিভিয়ে দিয়ে লোহার রড দিয়ে এলো পাথারি মারা হয়েছে’। কয়েক বোতল পানি শুধু এগিয়ে দিতে পারলাম।

প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপির ওপর এমন হামলার ঘটনায় তিনি নিজেও লজ্জিত বলে জানান এ শিক্ষক।

তিনি বলেন, ‘এইটা একটা বিশ্ববিদ্যালয়? আর আমিও একজন শিক্ষক? ছিঃ ছিঃ ছিঃ’

রোববার বেলা পৌনে ১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর ও তার অনুসারীদের ওপর হামলা চালায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ডাকসু ভবনের মূল ফটক বন্ধ করে নুরের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করা হয়। এছাড়া বাইরে থেকেও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল ছুড়েন। এতে নুরসহ বেশ কয়েকজন রক্তাক্ত হন।

জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী এ হামলায় অংশ নেন।

এ সময় ডাকসুর সদস্য ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য তাদেরকে বাধা দিতে গেলে তাকেও শিবির আখ্যা দিয়ে লাঞ্ছিত করেন মঞ্চের নেতাকর্মীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নুরসহ সবাইকে কক্ষের লাইট অফ করে দিয়ে মারধর করা হয়। আহত হয়ে কয়েকজন সেখানেই পড়ে আছেন। প্রক্টরিয়াল টিম গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছেন। কয়েকজনকে অ্যাম্বুলেন্স এবং রিকশাযোগে হাসপাতালে নেয়া হয়।