ঢাকাঃ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে পবিত্র মাহে রমজানের মোবারকবাদ ও পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি এ শুভেচ্ছা জানান।

ভাষণের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশ-বিদেশে যে যেখানেই আছেন, সবাইকে জানাই ১৪২৮ বঙ্গাব্দের আন্তরিক শুভেচ্ছা। শুভ

তিনি বলেন, “আজ আবাহনের দিন। ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো/মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা/অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী এই গান গেয়ে আজ আমরা আবাহন করব নতুন বছরকে। একইসঙ্গে শুরু হয়েছে মুসলমানদের পবিত্র সিয়াম সাধনার মাস মাহে রমজান। আমি সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে পবিত্র মাহে রমজানের মোবারকবাদ জানাচ্ছি।”

সরকার প্রধান বলেন, ‘পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণ বাঙালির সর্বজনীন উৎসব। আবহমানকাল ধরে বাংলার গ্রাম-গঞ্জে, আনাচে-কানাচে এই উৎসব পালিত হয়ে আসছে। গ্রামীণ মেলা, হালখাতা, বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার আয়োজন ছিল বর্ষবরণের মূল অনুষঙ্গ।’

তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা আগের বছরের দেনা-পাওনা আদায়ের জন্য আয়োজন করতেন হালখাতা উৎসবের। গ্রামীণ পরিবারগুলো মেলা থেকে সারা বছরের জন্য প্রয়োজনীয় তৈজসপত্র কিনে রাখতেন। গৃহস্থ বাড়িতে রান্না হতো সাধ্যমত উন্নতমানের খাবারের।’

এসময় সবাইকে ঘরোয়া পরিবেশে বৈশাখ পালনের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গত বছরের মতো এ বছরও আমরা বাইরে কোনো অনুষ্ঠান করতে পারছি না। সারাদেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হেনেছে। দ্বিতীয় ঢেউয়ের করোনাভাইরাস আরও মরণঘাতি হয়ে আভির্ভূত হয়েছে। পহেলা বৈশাখের আনন্দ তাই গত বছরের মতো এবারও ঘরে বসেই উপভোগ করবো আমরা।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘টেলিভিশন চ্যানেলসহ নানা ডিজিটাল মাধ্যমে অনুষ্ঠানমালা প্রচারিত হবে। সেসব অনুষ্ঠান উপভোগ ছাড়াও আমরা নিজেরাও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘরোয়া পরিবেশে আনন্দ উপভোগ করতে পারি।’

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here