ঢাকা ০৫:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনে জোর প্রস্তুতি বিএনপির

সবুজদেশ ডেস্ক

 

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে নাগাদ অনুষ্ঠিত হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা না কাটলেও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বিএনপি। নির্বাচনের রোডম্যাপের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় সক্রিয় হতে শুরু করেছেন। দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা বলছেন, সারা দেশে নির্বাচনী এলাকায় নেতাদের গণসংযোগ এবং সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে এক ধরনের নির্বাচনী আমেজ তৈরি হচ্ছে।

চলতি ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে সারা দেশের ইউনিয়ন থেকে জেলা-মহানগর পর্যন্ত কমিটি গঠনের কাজ। আগামী তিন মাস এই কার্যক্রম চলবে। দলের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে সাংগঠনিক এই পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়েছে।

বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রার্থীদের তালিকা ধরে প্রার্থীতালিকা চূড়ান্ত করা হচ্ছে। মৃত্যু এবং বার্ধক্যজনিত কারণে দলের অনেক বয়োজ্যেষ্ঠ নেতা আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। ওই সব আসনে ওই নেতাদের স্ত্রী-সন্তানরা নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

প্রার্থীতালিকা চূড়ান্তকরণে যুক্ত থাকেন এমন একজন নেতা বলেন, প্রায় ২৫০ আসনের প্রার্থী সব সময় চূড়ান্তই থাকে। ৪০ থেকে ৫০ আসনে একাধিক শক্তিশালী প্রার্থী থাকেন। এর বাইরে এবার জোটগত নির্বাচন না হলে ওই আসনে নতুন অনেক প্রার্থী দেখা যেতে পারে।

প্রার্থীতালিকা চূড়ান্ত করার সঙ্গে জড়িত একজন নেতা বলেন, এবারের নির্বাচনে ৫০টির বেশি আসনে নতুন মুখ দেখা যেতে পারে। আর তরুণ প্রার্থীর সংখ্যা হতে পারে শতাধিক। এ তালিকায় ২০১৮ সালে নির্বাচন করেছেন এমন প্রার্থীও থাকছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য আমাদের এক ধরনের প্রস্তুতি সব সময় থাকে। ফলে আগামী মাসেও যদি নির্বাচন হয়, তাহলেও আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। এখন দরকার একটি নির্বাচনী রোডম্যাপ। তাহলে পুরো দেশ নির্বাচনমুখী হবে।’

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে তা নিয়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তা রয়েছে। আগামী বছর নির্বাচন হতে পারে—কয়েকজন উপদেষ্টা এমন ইঙ্গিত দিলেও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে তা উপদেষ্টাদের ব্যক্তিগত মতামত বলে জানানো হয়েছে। ফলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কবে নাগাদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেন বর্তমানে সে দিকেই তাকিয়ে আছে রাজনৈতিক দলগুলো।

যেভাবে নেওয়া হচ্ছে প্রস্তুতি

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে নির্বাচনী এলাকাগুলোয় বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। দল থেকে অনেক তরুণ নেতাকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। দলীয় সমর্থন পেয়ে এই নেতারা জনসংযোগের পাশাপাশি সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোয় যোগ দেওয়া, নিজ নিজ এলাকায় দলের প্রতিটি ইউনিটকে পুনর্গঠন করে সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করতে শুরু করেছেন। এর মাধ্যমে আগামী নির্বাচনের জন্য দল ও নিজের অবস্থান সুসংহত করছেন তারা।

নির্বাচনে বিজয়ী হলে আওয়ামী লীগ সরকার পতন আন্দোলনে যুক্ত মিত্র দলগুলোকে নিয়ে ‘জাতীয় সরকার’ এবং দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সারা দেশে গণসংযোগে এই বিষয়গুলো প্রাধান্য পাচ্ছে।

বিএনপি শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত চলতি বছরের জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। এর আগে ২০১৮ সালে দলটি অংশ নিয়েছিল ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জোটের অংশ হয়ে। ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করেছিল দলটি।

সাংগঠনিক প্রস্তুতি

আগামী তিন মাসের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে দলের ইউনিয়ন থেকে জেলা-মহানগর কমিটি সম্পন্ন করতে ৯টি সাংগঠনিক জেলায় দলের একজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট ইউনিটে কমিটি গঠনের কাজ শুরু হয়েছে।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সারা দেশে কমিটি গঠনের কাজ চলছে। এটাও নিঃসন্দেহে নির্বাচনের একটি প্রস্তুতি।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের একজন নেতা বলেন, ‘নির্বাচনী আসনে যারা প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে দলের অনানুষ্ঠানিক সমর্থন পেয়েছেন, কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে তাদের পছন্দকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ ওই প্রার্থী নির্বাচনের সময় যাতে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সমর্থন পান, সে বিষয়টি প্রাধান্য দিচ্ছে দল।’

মূলত ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতা হারানোর পর থেকে দেশজুড়ে বিএনপির বেশির ভাগ কমিটি হয়েছে ঢাকা থেকে। ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তন বিএনপির অনুকূলে আসার পর থেকে দেশজুড়ে কমিটি পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেছে দলটির হাইকমান্ড।

তরুণ নেতারা এবার প্রাধান্য পাচ্ছেন

বিএনপির নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, এবারের জাতীয় নির্বাচনে অনেক আসনে অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতাদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। সাবেক ছাত্রনেতাদের অনেকে এরই মধ্যে নির্বাচন করার বিষয়ে সবুজ সংকেত পেয়েছেন।

টাঙ্গাইল-৫ আসন থেকে ২০১৮ সালে নির্বাচন করেছিলেন ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু। তার বড় ভাই সাবেক মন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় খালাস পাওয়ার পর শিগগিরই মুক্তি পাবেন। ফলে পিন্টু টাঙ্গাইল-৫ আসন থেকে নির্বাচন করলে টুকু টাঙ্গাইল-২ আসন থেকে নির্বাচন করবেন।

সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু জানান, দুই আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। ৫ আগস্টের আগে গ্রেপ্তার, হামলা-মামলার কারণে এলাকায় নিয়মিত যেতে পারেননি। এখন তিনি নিয়মিত টাঙ্গাইল-২ ও ৫ আসনে যাচ্ছেন, গণসংযোগ করছেন।

নোয়াখালী-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মৃত্যুর পর ওই আসনে ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বজলুল করিম চৌধুরী আবেদকে দল সমর্থন দিয়েছে। দলের সবুজ সংকেত পেয়ে তিনি নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছেন। ঝিনাইদহ-৪ আসনে ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ। এবারও দল তার মনোনয়ন নিশ্চিত করেছে বলে জানা গেছে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৬:১৮:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
২৩ Time View

নির্বাচনে জোর প্রস্তুতি বিএনপির

আপডেট সময় : ০৬:১৮:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

 

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে নাগাদ অনুষ্ঠিত হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা না কাটলেও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বিএনপি। নির্বাচনের রোডম্যাপের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় সক্রিয় হতে শুরু করেছেন। দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা বলছেন, সারা দেশে নির্বাচনী এলাকায় নেতাদের গণসংযোগ এবং সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে এক ধরনের নির্বাচনী আমেজ তৈরি হচ্ছে।

চলতি ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে সারা দেশের ইউনিয়ন থেকে জেলা-মহানগর পর্যন্ত কমিটি গঠনের কাজ। আগামী তিন মাস এই কার্যক্রম চলবে। দলের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে সাংগঠনিক এই পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়েছে।

বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রার্থীদের তালিকা ধরে প্রার্থীতালিকা চূড়ান্ত করা হচ্ছে। মৃত্যু এবং বার্ধক্যজনিত কারণে দলের অনেক বয়োজ্যেষ্ঠ নেতা আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। ওই সব আসনে ওই নেতাদের স্ত্রী-সন্তানরা নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

প্রার্থীতালিকা চূড়ান্তকরণে যুক্ত থাকেন এমন একজন নেতা বলেন, প্রায় ২৫০ আসনের প্রার্থী সব সময় চূড়ান্তই থাকে। ৪০ থেকে ৫০ আসনে একাধিক শক্তিশালী প্রার্থী থাকেন। এর বাইরে এবার জোটগত নির্বাচন না হলে ওই আসনে নতুন অনেক প্রার্থী দেখা যেতে পারে।

প্রার্থীতালিকা চূড়ান্ত করার সঙ্গে জড়িত একজন নেতা বলেন, এবারের নির্বাচনে ৫০টির বেশি আসনে নতুন মুখ দেখা যেতে পারে। আর তরুণ প্রার্থীর সংখ্যা হতে পারে শতাধিক। এ তালিকায় ২০১৮ সালে নির্বাচন করেছেন এমন প্রার্থীও থাকছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য আমাদের এক ধরনের প্রস্তুতি সব সময় থাকে। ফলে আগামী মাসেও যদি নির্বাচন হয়, তাহলেও আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। এখন দরকার একটি নির্বাচনী রোডম্যাপ। তাহলে পুরো দেশ নির্বাচনমুখী হবে।’

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে তা নিয়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তা রয়েছে। আগামী বছর নির্বাচন হতে পারে—কয়েকজন উপদেষ্টা এমন ইঙ্গিত দিলেও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে তা উপদেষ্টাদের ব্যক্তিগত মতামত বলে জানানো হয়েছে। ফলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কবে নাগাদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেন বর্তমানে সে দিকেই তাকিয়ে আছে রাজনৈতিক দলগুলো।

যেভাবে নেওয়া হচ্ছে প্রস্তুতি

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে নির্বাচনী এলাকাগুলোয় বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। দল থেকে অনেক তরুণ নেতাকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। দলীয় সমর্থন পেয়ে এই নেতারা জনসংযোগের পাশাপাশি সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোয় যোগ দেওয়া, নিজ নিজ এলাকায় দলের প্রতিটি ইউনিটকে পুনর্গঠন করে সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করতে শুরু করেছেন। এর মাধ্যমে আগামী নির্বাচনের জন্য দল ও নিজের অবস্থান সুসংহত করছেন তারা।

নির্বাচনে বিজয়ী হলে আওয়ামী লীগ সরকার পতন আন্দোলনে যুক্ত মিত্র দলগুলোকে নিয়ে ‘জাতীয় সরকার’ এবং দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সারা দেশে গণসংযোগে এই বিষয়গুলো প্রাধান্য পাচ্ছে।

বিএনপি শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত চলতি বছরের জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। এর আগে ২০১৮ সালে দলটি অংশ নিয়েছিল ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জোটের অংশ হয়ে। ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করেছিল দলটি।

সাংগঠনিক প্রস্তুতি

আগামী তিন মাসের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে দলের ইউনিয়ন থেকে জেলা-মহানগর কমিটি সম্পন্ন করতে ৯টি সাংগঠনিক জেলায় দলের একজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট ইউনিটে কমিটি গঠনের কাজ শুরু হয়েছে।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সারা দেশে কমিটি গঠনের কাজ চলছে। এটাও নিঃসন্দেহে নির্বাচনের একটি প্রস্তুতি।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের একজন নেতা বলেন, ‘নির্বাচনী আসনে যারা প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে দলের অনানুষ্ঠানিক সমর্থন পেয়েছেন, কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে তাদের পছন্দকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ ওই প্রার্থী নির্বাচনের সময় যাতে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সমর্থন পান, সে বিষয়টি প্রাধান্য দিচ্ছে দল।’

মূলত ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতা হারানোর পর থেকে দেশজুড়ে বিএনপির বেশির ভাগ কমিটি হয়েছে ঢাকা থেকে। ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তন বিএনপির অনুকূলে আসার পর থেকে দেশজুড়ে কমিটি পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেছে দলটির হাইকমান্ড।

তরুণ নেতারা এবার প্রাধান্য পাচ্ছেন

বিএনপির নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, এবারের জাতীয় নির্বাচনে অনেক আসনে অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতাদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। সাবেক ছাত্রনেতাদের অনেকে এরই মধ্যে নির্বাচন করার বিষয়ে সবুজ সংকেত পেয়েছেন।

টাঙ্গাইল-৫ আসন থেকে ২০১৮ সালে নির্বাচন করেছিলেন ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু। তার বড় ভাই সাবেক মন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় খালাস পাওয়ার পর শিগগিরই মুক্তি পাবেন। ফলে পিন্টু টাঙ্গাইল-৫ আসন থেকে নির্বাচন করলে টুকু টাঙ্গাইল-২ আসন থেকে নির্বাচন করবেন।

সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু জানান, দুই আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। ৫ আগস্টের আগে গ্রেপ্তার, হামলা-মামলার কারণে এলাকায় নিয়মিত যেতে পারেননি। এখন তিনি নিয়মিত টাঙ্গাইল-২ ও ৫ আসনে যাচ্ছেন, গণসংযোগ করছেন।

নোয়াখালী-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মৃত্যুর পর ওই আসনে ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বজলুল করিম চৌধুরী আবেদকে দল সমর্থন দিয়েছে। দলের সবুজ সংকেত পেয়ে তিনি নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছেন। ঝিনাইদহ-৪ আসনে ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ। এবারও দল তার মনোনয়ন নিশ্চিত করেছে বলে জানা গেছে।