সবুজদেশ ডেস্কঃ

বিশ্বকাপের হাইভোল্টেজ ম্যাচ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচকে। ধারণা করা হয়েছিল এই ম্যাচে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই হবে। ম্যাচের পরতে পরতে থাকবে উত্তেজনা। 

কিন্তু তার লেশ মাত্রও ছিল না। ম্যাচটি হয়ে গেলে একপেশে। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রাজত্ব করে স্বাগতিক ভারত। ভারতের দুর্দান্ত বোলিং আর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে স্রেফ উড়ে যায় পাকিস্তান।

শনিবার হায়দরাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৪২.৫ ওভারে ১৯১ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। 

টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১১৭ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের দাপুটে জয় পায় ভারত। এই জয়ে তৃতীয় পজিশন থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডকে হটিয়ে শীর্ষে উঠে গেল বিশ্বকাপের স্বাগতিকরা। ভারত নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তানের পর পাকিস্তানকে পরাজিত করে। 

শনিবার ভারতের আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ ওভারে স্কোর বোর্ডে ৪১ রান জমা করে সাজঘরে ফেরেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আব্দুল্লাহ শফিক। শ্রীলংকার বিপক্ষে ১১৩ রানের ইনিংস খেলা শফিক, ভারতের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ফেরেন ২৪ বলে মাত্র ২০ রানে।

এরপ অধিনায়ক বাবর আজমের সঙ্গে ২৭ বলে ৩২ রানের জুটি গড়ে ফেরেন আরেক ওপেনার ইমাম-উল-হকও। তিনি আউট হন ৩৮ বলে ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৬ রান করে। 

দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে ৭৩ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান ৮৩ রানের জুটি গড়েন। 

২৯.৩ ওভারে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ১৫৫ রান। দলের যখন এমন অবস্থা, তখন পাকিস্তানি সমর্থকরা আশা করেছিলেন স্কোর আড়াইশ ছাড়িযে যেতে পারে।

কিন্তু এরপর বালির বাধেঁর মতো ভেঙে যায় পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ। মাত্র ৩৬ রানে ব্যবধানে ৮ উইকেট হারিয়ে ৪২.৪ ওভারে ১৯১ রানেই অলআউট হয় পাকিস্তান।

দলের হয়ে অধিনায়ক বাবর আজম ক্যারিয়ারের ১১১তম ম্যাচে ২৯তম ফিফটির পর আউট হন। তিনি ৫৮ বলে ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন। দলীয় ১৬৮ রানে ফেরেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তিনি ৬৯ বলে ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৯ রান করে আউট হন।  

আসা-যাওয়ার মিছিলে অংশ নেন সৌদ শাকিল, ইফতেখার আহমেদ, শাদাব খান, মোহাম্মদ নওয়াজ, হাসান আলী ও হারিস রউফরা। 

ভারতের হয়ে জসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ, হার্দিক পান্ডিয়া, কুলদীপ যাদব ও রবিন্দ্র জাদেজা দুটি করে উইকেট শিকার করেন। 

টার্গেট তাড়া করতে নেমে তৃতীয় ওভারে ২৩ রানে ওপেনার শুভমান গিলের উইকেট হারায় ভারত। এরপর বিরাট কোহলির সঙ্গে ৪২ বলে ৫৪ রানের জুটি গড়ে ফেরেন বিরাট কোহলি (১৬)। 

দলীয় ৭৯ রানে ২ উইকেট পতনের পর স্রেয়াশ আইয়ারের সঙ্গে ৭১ বলে ৭৭ রানের জুটি গড়ে ফেরেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনি ৬৩ বলে ৬টি চার আর ৬টি ছক্কার সাহায্যে ৮৬ রান করে ফেরেন।

এরপর লোকেশ রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে ৫৩ বলে ৩৬ রানের অনবদ্য জুটি গড়ে ১১৭ বল আগেই দলকে জয়ের বন্দরেপৌঁছে দেন স্রেয়াশ আইয়ার। দলের জয়ে ৫৩ ও ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন আইয়ার ও রাহুল।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here