পুলিশের হাসির আড়ালে কি? জনমনে প্রশ্ন
বিগত কয়েক মাসে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার অনেক কৃষকের গরু চুরিতে গোয়াল ফাঁকা হয়েছে। এছাড়াও রাতে দিনে অহরহ ঘটছে চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা। নিরবে চলছে মাদক ব্যবসা। অথচ এসব ঘটনায় কালীগঞ্জ থানা পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক।
শুধু শহরে গাড়ি ভরে পেট্রোল ডিউটির নামে মেইন বাসস্ট্যান্ড ছাড়াও শহরের যে কোন প্রান্তে দাঁড়িয়ে খোশ গল্পে ব্যস্ত থাকেন। পুলিশের এমন নিষ্ক্রিয়তায় আজ জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আবার জনগন যখন কোন দুষ্কৃতিকারী অথবা অপরাধীকে ধরে পুলিশে খবর দিচ্ছেন তখন তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে জনগনের হাতে আটক অপরাধীকে আলামতসহ থানায় আনছেন। জনমনে প্রশ্ন এটাতে পুলিশের কৃতিত্বের কি আছে ? এ ধরনের ঘটনা পুলিশের অভিযান বলার কোন সুযোগ আছে কি?
শুক্রবার দুপুরে মোটরসাইকেলে ফেন্সিডিল বহনকারী একটি মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয় ইজিবাইক। এ সময় কার্টুনে ভর্তি ফেন্সিডিলসহ আহত বহনকারীকে এলাকার মানুষ ধরে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিষিদ্ধ ফেন্সিডিল বহনকারীকে থানায় আনে। এ ঘটনাটিতে কয় পুলিশ সদস্য আলামতের পেছনে দাঁড়িয়ে হাসি মুখে ছবিতে পোজ দিচ্ছেন। তাহলে বিগত দিনের মতো এটাও কি কোন সাজানো নাটক। না আটক ব্যক্তি তাদের পূর্ব পরিচিত। ঠিক তেমনটিই রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন সবাই। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জনমনে। যে রহস্যের জট খুলবে হয়তোবা পরে।