সবুজদেশ ডেস্কঃ

বাংলাদেশ দল সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়েছিল সেই ২০১৩ সালে। বর্তমান দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটারেরই তখন অভিষেক হয়নি। এবার জিম্বাবুয়েতে তাই একদম নতুন অভিজ্ঞতা হবে তাদের।

জাতীয় দলের হয়ে জিম্বাবুয়েতে কখনও না খেলা ক্রিকেটারদের মধ্যে একজন তাসকিন আহমেদ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার অভিষেকই হয়েছে ২০১৪ সালে। তাই জিম্বাবুয়ে সফরে যাওয়ার প্রশ্নই উঠে না।

এবারই প্রথমবারের মতো সেখানে অনুশীলন করছেন। আছেন মাঠে নামার অপেক্ষায়। নতুন এই অভিজ্ঞতায় ভীষণ রোমাঞ্চিত তাসকিন। মাঠে কখন নামবেন, তার যেন তর সইছে না।

তাসকিন বলেন, ‘আসলে আমি খুবই এক্সাইটেড। খুবই ভালো লাগছে, প্রথমবারের মতো জিম্বাবুয়ে আসলাম। যদিও আমার ডেব্যু হয়েছে ২০১৪-তে। কিন্তু এ ৭ বছরের মধ্যে কখনওই আমার জিম্বাবুয়েতে আসা হয়নি। প্রথমবারের মতো আসলাম। যদিও আমাদের বায়ো-বাবলের মধ্যে যাচ্ছে। তবে ওভারল সব ফ্যাসিলিটিজ মিলিয়ে আমি এনজয় করছি। আমি এক্সাইটেড যে কখন খেলা শুরু হবে।’

হারেরেতে সিরিজের একমাত্র টেস্টটি শুরু হবে ৭ জুলাই থেকে। তার আগে আগামীকাল (শনিবার) একটি প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলতে নামবে টাইগাররা। এখন পর্যন্ত দলের যা প্রস্তুতি, তা নিয়ে সন্তুষ্ট তাসকিন।

ডানহাতি এই পেসার বলেন, ‘প্র্যাকটিস সেশন মাশাআল্লাহ্ ভালো হচ্ছে। সবাই সবার… বোলার, ব্যাটসম্যান সবার প্রিপারেশন ওয়াইজ ভালোই প্রিপারেশন নেয়া হচ্ছে। আমরা আগামীকাল প্র্যাকটিস ম্যাচও খেলব। তো প্রিপারেশন ওয়াইজ আশা করি, কোনো কমপ্লেইন থাকবে না ইনশাআল্লাহ্। বাট ইন জিম্বাবুয়ে, জিম্বাবুয়ের সাথে খেলাটা সহজ না। আমাদেরকে অনেক টাফ কন্ডিশন ও টাফ অপনেন্ট ফেস করেই খেলতে হবে। কোনো ম্যাচই তো সহজ না। এর মধ্য থেকেই আমাদের সেরাটা দিয়ে বের হয়ে আসতে হবে।’

করোনার কারণে বায়ো-বাবলের বিধিনিষেধে থাকতে হয় প্রতি সিরিজেই। ক্রিকেটারদের জন্য যেটা ভীষণ কঠিন, মনে করেন তাসকিন। তারপরও দেশের জন্য সবকিছু ভুলে জয়ের দিকেই চোখ রাখতে চান এই গতিতারকা।

তিনি বলেন, ‘আসলে বায়ো বাবল লাইফটা নট দ্যাট ইজি। আমরা যখন হোম সিরিজও খেলেছি, ঢাকায় থেকেও ফ্যামিলি থেকে দূরে থাকতে হয় আর এওয়ে সিরিজেও। আসলে হোম-এওয়ে সব সিরিজেই এখন বায়ো বাবলের মধ্যে থাকে। একটা মেন্টালি বেশ স্ট্রেসের মধ্যেই থাকি। তার মধ্যেও খেলার মধ্যেও তো একটা চাপ থাকেই। এটা আসলে তেমন ইজি না। তারপরও যেহেতু আমরা দেশের জন্য খেলি… সবকিছু ছেড়ে নিজের সেরাটা দিয়েই ভালো করতে চাই এবং দেশকে জয় উপহার দিতে চাই।’

এই সফরে প্রথমে টেস্ট, পরে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি সিরিজ। প্রতিটা ফরমেট আলাদা, আলাদা প্রস্তুতিই নিতে হবে। তবে আপাতত সামনে যখন টেস্ট তাই লাল বলেই সব মনযোগ তাসকিনের।

তার ভাষায়, ‘সামনে আমাদের টেস্ট ক্রিকেট, তারপর ওডিআই, তারপর টি-২০… একেকটা ফরম্যাটে একেকরকম, নিজেদেরকে ওভাবেই তৈরি করতে হবে। এখন শুধু টেস্ট ক্রিকেটেই ফোকাস করছি।’

জিম্বাবুয়ের সঙ্গে গত কয়েক বছরে পরিষ্কার ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ। তবে প্রতিপক্ষকে হালকাভাবে নেয়ার কিছু দেখছেন না তাসকিন, ‘হালকাভাবে নেয়ার কিছু নাই। যদিও জিম্বাবুয়ের সাথে এখনও পর্যন্ত বেশিরভাগ ম্যাচ আমরাই জিতেছি… প্রত্যেকটা ম্যাচই নতুন করে শুরু হয়, প্রত্যেকটা দিনই নতুন। প্রত্যেকবারই নতুনভাবে বল করতে হয়, ব্যাটিং করতে হয়। ইজি হবে না। বাট আমরা কনফিডেন্ট, আমরা ভালো খেললে এবারও ইনশাআল্লাহ্ সিরিজ জয় করব।’

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here