সবুজদেশ ডেস্ক:

অভিনয় দিয়ে পূজা ভাটের মন জয় করলেন বাংলাদেশি তরুণ অভিনেতা সুদীপ বিশ্বাস দীপ। ইনস্টাগ্রামে তাঁর ভালো লাগা প্রকাশও করেছেন বলিউডের এই অভিনয়শিল্পী, পরিচালক ও প্রযোজক।

৩৫ সপ্তাহ আগে নিজের ইনস্টাগ্রামে সুদীপের পোস্ট করা ২ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে এসে গতকাল নিজের এই ভালো লাগার কথা জানান পূজা ভাট। বলিউডের নামকরা এক অভিনয়শিল্পীর কাছ থেকে এমন প্রশংসা পেয়ে ভীষণ অনুপ্রাণিত দীপ।

এইচবিও এশিয়ার ওয়েব সিরিজ ইনভিজিবল স্টোরিজ-এ অভিনয় করে আলোচনায় আসেন সুদীপ বিশ্বাস। এরপর দেশে সবাই তাঁকে এইচবিও দীপ নামে ডাকা শুরু করেন। ওয়েব সিরিজটি দেখে পূজা ভাটেরও দীপের কাজ ভালো লেগেছে। পূজা ভাটের মন্তব্যে, ‘মাত্রই শোটি দেখলাম এবং বলতে চাই, আপনি এতে খুবই অসাধারণ কাজ করেছেন। অভিনন্দন এবং আপনার সাফল্য কামনা করছি।’

পূজা ভাটের কাছ থেকে এমন মন্তব্য পেয়ে প্রথমে একটু দ্বিধায় পড়ে গিয়েছিলেন দীপ। তিনি বলেন, ‘কনফিউজড থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। এরপর দেখি যে বলিউডের আলিয়া ভাট থেকে শুরু করে আ

সুদীপ এ–ও বলেন, ‘আমি জানি, এই কাজ এক–দেড় বছর ধরে অনেক প্রশংসা পাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় পুরস্কারও পেয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ অনেক জায়গা থেকে অনেকে প্রশংসা করেছেন। এই সিরিজের কারণে অনেক ভারতীয়ও আমাকে নিয়ে কথা বলেছেন। বলিউডের এত বড় মাপের কোনো অভিনয়শিল্পী—তিনি আমার কাজটি দেখেছেন, আবার আমাকে খুঁজে বের করেছেন এবং তাঁর ভালো লাগার কথাটাও জানিয়েছেন, এটা সত্যি অনেক বড় ব্যাপার।রও কয়েকজন আমাকে ইনস্টাগ্রামে ফলো করেন। পূজা ভাটের মতো এক ব্যক্তিত্বের কাছ থেকে এ ধরনের মন্তব্য পেয়ে সত্যি অবাক হয়ে গেছি।’

উত্তরে পূজা ভাটকে ধন্যবাদ জানিয়ে সুদীপ বলেন, ‘চমৎকার এই কথাগুলোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমাদের শো খুঁজে বের করে দেখার জন্য আমি খুবই আনন্দিত।’

এমন আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। অভিনয়শিল্পীর বাইরে পূজা ভাট পরিচালক এবং প্রযোজকও। কোনো একটা কাজ তাঁকে যদি সেভাবে স্পর্শ না করে, তিনি তো আমাকে খুঁজে বের করতেন না! আমি তো বাংলাদেশে অত জনপ্রিয়ও নই যে একবার সার্চ দিলেই খুঁজে পাওয়া যাবে। তিনি আমাকে খুঁজতে সেই চেষ্টা করেছেন, মন্তব্য করেছেন—এটা অনেক বড় প্রাপ্তি।’

২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রাচ্যনাটের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সুদীপ বিশ্বাস। সেখানে ট্র্যাজেডি পলাশবাড়ি নামের একটি মঞ্চনাটকে মূল চরিত্রসহ মোট ১২টি চরিত্রে দীর্ঘদিন অভিনয় করেছেন তিনি।

ছোট পর্দায় আফজাল হোসেনের ছোটকাকু সিরিজ, ওয়াহিদ তারেক পরিচালিত ডকুফিকশন অপারেশন কিলোবাইট, শাফায়েত মনসুর পরিচালিত আমার নাম মানুষ, ক্যাফে ৯৯৯ ও আমরা ফিরব কবে উল্লেখযোগ্য। বড় পর্দায় দীপকে দেখা গেছে দুবার। প্রসূন রহমান পরিচালিত সুতপার ঠিকানা ও রায়হান রাফি পরিচালিত দহন চলচ্চিত্রে। শেষ করেছেন মিশন এক্সট্রিম চলচ্চিত্রের কাজ।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here