ফাইল ছবি

সবুজদেশ ডেস্ক:

বিশ্বজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ও এ ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এর আগে ২৪ ঘণ্টার তুলনায় কমেছে।

করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ৮১ হাজার ৪০৯ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৯৮ হাজার ২২৬ জন।

এর আগের ২৪ ঘণ্টায় আট হাজার ৪৫৮ জনের মৃত্যু হয়। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হন চার লাখ ৯৯ হাজার ১০৪ জন। আর সুস্থ হয়েছিলেন চার লাখ ২৫ হাজার ৪৯৯ জন।

শনাক্ত ও মৃত্যুর এ সংখ্যা তার আগের ২৪ ঘণ্টার চাইতে কম ছিল।

রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় পরিসংখ্যানভিত্তিক আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে করোনায় এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার ২৭২ জনের। আর মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ কোটি ২২ লাখ ৭৫ হাজার ৫৩১ জন। এর মধ্যে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ২০ কোটি ৮৮ লাখ ৮৫ হাজার ১২৪ জন।

এখন পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন চার কোটি ৩৭ লাখ ২৫ হাজার ৬০৪ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন সাত লাখ ৬ হাজার ৫৮ জন।

তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে তিন কোটি ৩৬ লাখ ৫১ হাজার ২২১ জনের। এর মধ্যে মারা গেছেন চার লাখ ৪৬ হাজার ৯৪৮ জন।

তালিকার তৃতীয় অবস্থানে থাকা ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে সংক্রমিতের সংখ্যা দুই কোটি ১৩ লাখ ৪৩ হাজার ৩০৪ জন। এর মধ্যে পাঁচ লাখ ৯৪ হাজার ২৪৬ জন মারা গেছেন।

তালিকায় এর পরের স্থানগুলোতে রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, তুরস্ক, ফ্রান্স, ইরান, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া, স্পেন ও ইতালি।

তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ২৮ নম্বরে। দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৩৭১ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৭ হাজার ৩৯৩ জন। আর ১৫ লাখ দশ হাজার ১৬৭ জন সুস্থ হয়েছেন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ ভাইরাসে দেশটিতে প্রথম মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। এরপর ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে।

সংক্রমণ চীন থেকে ছড়িয়ে পড়ার পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ইউরোপের কিছু দেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে দেশগুলোতে চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসা শুরু হয়। এর বিপরীতে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে ভারতসহ এশিয়ার কিছু দেশে। তবে ভারত থেকে ছড়িয়ে পড়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের করেনো পরিস্থিতি আবারও খারাপ হয়েছে।

এরই মধ্যে অব্যাহতভাবে টিকাদান চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের প্রায় সবগুলো দেশ। কোনো কোনো দেশ টিকার বুস্টার ডোজ এবং শিশুদেরও টিকাদান শুরু করেছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here