নিজস্ব প্রতিবেদক:

বয়োবৃদ্ধ কিতাব আলী। বয়স ৭০ বছর। এই বয়সে ভ্যান চালিয়ে গ্রামে গ্রামে ফেরি করে বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি করে বেড়ান। এখানে থেকে যা আয় হয় সেটা দিয়েই চলে বৃদ্ধ কিতাব আলীর সংসার। কিন্ত গত কয়েক দিন আগে কালীগঞ্জ উপজেলার কোলাবাজারে ভ্যান রেখে মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে কে বা কারা ভ্যানটি চুরি করে নিয়ে যায়। তিনি রোজগারের একমাত্র বাহন ভ্যানটি হারিয়ে অঝোরে কাঁদতে থাকেন। মর্মান্তিক এ ঘটনায় স্থানীয় সমাজসেবক কাজী এমদাদ হোসেন বিষয়টি কালীগঞ্জ আঞ্চলিক ভাষা গ্রুপকে জানালে এ গ্রুপের বেশ কয়েকজন সদস্যের মানবিক সাহায্যে বুধবার সকালে নতুন আরেকটি ভ্যান পেয়ে এবার আনন্দে কেঁদে ফেলেন নিরুপায় বৃদ্ধ কিতাব আলী।

বুধবার সকালে কোলাবাজারে বৃদ্ধ কিতাব আলীকে নতুন ভ্যান প্রদান করে কালীগঞ্জ আঞ্চলিক ভাষা গ্রুপ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি জামির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাবজাল হোসেন, ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শেখ মামুনুর রশিদ, কালীগঞ্জ আঞ্চলিক ভাষা গ্রুপের এডমিন শাহরিয়ার আলম সোহাগ, সাংবাদিক আরিফ মোল্ল্যা, মিশন হোসেন, এমদাদ হোসেন, গ্রুপের মডারেটর মাজেদুল হকসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

বৃদ্ধ কিতাব আলী বলেন, বৃদ্ধ বয়সে আমার আয়ের রোজগারের বাহন ভ্যানটি হারিয়ে দিশেহারা ছিলাম। ভ্যান হারানোর পর পরিবারে লোকজন সকলের অনাহারে দিন কেটেছে। বিষয়টি জানার পর কালীগঞ্জ আঞ্চলিক ভাষা গ্রুপ আমার শুধু ভ্যানই না এ কয়দিনের সংসার খরচও দিয়ে দিয়েছে। এ সকল মানুষের প্রতি আমার মন প্রাণ থেকে দোয়া করা ছাড়া দেওয়ার কিছু নেই। সৃষ্টিকর্তা সকলের মঙ্গল করুন।

কালীগঞ্জ আঞ্চলিক ভাষা গ্রুপের এডমিন শাহরিয়ার আলম সোহাগ বলেন, কালীগঞ্জ আঞ্চলিক ভাষা গ্রুপ সামাজিক ও মানবিক কাজ করে। তারই ধারাবাহিকতায় বৃদ্ধ কিতাব আলীকে নতুন ভ্যান প্রদান করা হয়েছে। আর এ সকল কাজে গ্রুপের সদস্যরা আর্থিক সহযোগিতা করে থাকেন।

কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি জামির হোসেন বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কালীগঞ্জ আঞ্চলিক ভাষা গ্রুপ অসহায় মানুষের প্রায়ই পাশে দাড়ায়। এ গ্রুপের মত অন্য সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান এমন মানবিক সহযোগীতায় এগিয়ে আসলে সমাজের প্রকৃত অসহায়রা বেঁচে থাকার অবলম্বন পেতো। সর্বশেষ কালীগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষা গ্রুপ হতদরিদ্র বয়োবৃদ্ধ কিতাব আলীর সহযোগীতায় যা করলেন তা অত্যন্ত মানবিক ও অতি প্রশংসনীয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here