বিশেষ প্রতিনিধিঃ

দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় পত্রিকায় “একদিনে সাড়ে ১১ বিঘা জমি কিনে আলোচনায় এক নাইটগার্ড” শীর্ষক খবর প্রকাশের পর মহেশপুর এখন টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে। নানা আলোচনা সমালোচনায় মুখর মহেশপুর উপজেলা চত্বর। এক কথায় নাইটগার্ডের অবৈধ ভাবে সম্পদ অর্জনের খবরটি ছিল হট কেক।

এদিকে তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের পর নাইটগার্ড তরিকুল ভেঙ্গে পড়েছেন। তিনি বিভিন্ন মানুষের কাছে ধর্না দিচ্ছেন যাতে আর খবর প্রকাশ না হয়। পারিবারিক ভাবে নাইটগার্ড তরিকুল চাপের মুখে পড়েছে। তরিকুলের অপকর্মের খবরটি প্রচারের পর তার স্ত্রী সন্তানরা বাইরে মুখ দেখাতে পারছে না। মহল্লাবাসির মানুষ ঘৃনার চোখে দেখতে শুরু করেছেন। একের পর এক বহুল প্রচারিত দৈনিকগুলোতে নাইটগার্ড তরিকুলের কোটিপতি হওয়ার খবর প্রচারের পর তার উচ্ছিষ্টভোগীরা হতাশায় পড়েছেন।

দলিল লেখক কাম কথিত সাংবাদিকরা তরিকুলের সম্রাজ্য রক্ষা করতে না পেরে নানা রকমের ধান্দাবাজীতে লিপ্ত হচ্ছে। নাইটগার্ট তরিকুলের গ্রামের বাড়ি নেপা ইউনিয়নের সেজিয়া গ্রামের মানুষ তার এই কালো সম্পদ অর্জনের খবরে হতবাক। সেজিয়া গ্রামের মানুষ পত্রিকা ও নেট দুনিয়ায় তরিকুলের কোটিপতি হওয়ার খবরটি পড়ে ছি ছি করছেন। এ নিয়ে তাদের নানা নেতিবাচক মন্তব্য প্রকাশিত হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। তরিকুল সিন্ডিকেটের মুখোশ খসে পড়ায় দীর্ঘদিন নির্যাতিত মানুষ পত্রিকার নিউজে যেন হাফ ছেড়ে বেঁচেছে। এই সাহসী নিউজটি করায় সাংবাদিকরা প্রশংসায় ভাসছেন।

এদিকে নাইটগার্ড তরিকুল ও তার সিন্ডিকেটের খবর প্রচারের পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। লকডাউন উঠে গেলেই একাধিক সংস্থা তদন্তের উদ্যোগ নিচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। মহেশপুরের মানুষ দুর্নীতিবাজ নাইটগার্ড তরিকুলের বরখাস্ত ও তার উচ্ছিষ্টভোগীদের আইনের আওতায় আনার দাবী তুলে নানা জায়গায় ফোন করছেন।

উল্লেখ্য, গত কয়েক দিন ধরে নাইটগার্ড তরিকুলের অবৈধ সম্পদ অর্জনের খবর প্রকাশিত হলে মহেশপুর শহর আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়। তরিকুল ঘটনা ধামা চাপা দিতে তার ভাইয়ের কাছ থেকে সাড়ে ১১ বিঘা জমি হেবা দলিল করে নিয়েছেন বলে দাবী করলেও তার ভাই কি এই জমি তাকে এমনি এমনি দিয়েছেন ? এমন পাল্টা প্রশ্ন বা যুক্তির কথা শোনা যাচ্ছে।

আরো পড়ুন: একদিনে সাড়ে ১১ বিঘা জমি কিনে আলোচনায় ঝাড়ুদার!

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here