লেবাননে ফিলিস্তিনিদের জন্য নির্মিত ‘শাতিলা শরণার্থী ক্যাম্প’

সবুজদেশ ডেস্কঃ

চোখ বন্ধ করে ভাবুন-আপনার পরিবার চরম দারিদ্রের মধ্যে রয়েছে। এ কারণে পরিবারের সবাই নিজ দেশের শরণার্থী ক্যাম্পে থাকছেন। নিশ্চয় খুব বেদনাদায়ক অনুভূতি?

লেবাননে এমন ঘটনা ঘটেছে। দেশটিতে কয়েক বছর ধরে ভঙ্গুর অর্থনীতি ও নাজুক রাজনৈতিক অবস্থা বিরাজ করছে। 

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ৫০ বছরের বেশি আগে লেবাননে ফিলিস্তিনিদের জন্য ‘শাতিলা শরণার্থী ক্যাম্প’ নির্মাণ করা হয়। বিদেশি শরণার্থীদের জন্য নির্মিত এই ক্যাম্পে এখন লেবাননের নাগরিকরা থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।

খবরে বলা হয়েছে, শরণার্থী ক্যাম্পটিতে লেবানিজরা দুঃসহ জীবনযাপন করছেন। 

বাসাম নামে এক বৃদ্ধ ট্যাক্সি চালক হিসেবে কাজ করতেন। কিন্তু চাকরি হারানোর পর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তিনি এই ক্যাম্পে উঠেছেন। 

বিবিসির রিপোর্টারকে তিনি বলেন, আমি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়ি ভাড়া বহন করতে পরিনা। আর খাদ্য ও পানীয়ের বিষয়ে বলতে বলবেন না।

নিজ দেশের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমার দুটি উপায় ছিল। রাস্তায় বসবাস করা অথবা এখানে আসা। আমি দ্বিতীয়টি বেছে নিয়েছি। তবে এই শরণার্থী ক্যাম্পে বসবাসের থেকে রাস্তায় বসবাস করা ভালো বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

লেবননে চরম সংকট বিরাজ করছে। দেশটির মুদ্রার মানে ব্যাপক ধস নেমেছে। এর জন্য দেশটির নাগরিকরা বছরের পর বছর দুর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন। 

শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া বাসাম নামের ওই ব্যক্তি বলেন, আমরা কাকে দোষ দিব? সব দোষ রাষ্ট্রের। আমাদের দেশ ধোকাবাজ এবং চোরের দলে ভরে গেছে। 

ক্যাম্পে বসবাস করা খুবই কষ্টের উল্লেখ করে বাসামের স্ত্রী বলেন, লজ্জায় আমরা মরে যাই।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here