ঝিনাইদহের সিমলাকে হারিয়ে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন পলাশ
সবুজদেশ ডেস্কঃ
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ ‘ময়ূরপঙ্খী’ ছিনতাইচেষ্টা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন তদন্ত শেষে আদালতে জমা দিয়েছে পুলিশ।
তদন্তে মোট ৭৯ জনের সাক্ষ্য ও বিভিন্ন আলামত পরীক্ষার পর জানা গেছে, সাবেক স্ত্রী চিত্রনায়িকা শামসুন নাহার সিমলা ডিভোর্স দেয়ার পরই হতাশা থেকে বিমান ‘ছিনতাইয়ের’ নাটক করেন পলাশ।
ঘটনার দিনই কমান্ডো অপারেশনে নিহত হওয়ায় পলাশকে মামলা থেকে অব্যাহত দিয়ে ফাইনাল রিপোর্ট জমা দেয়া হয়েছে আদালতে।
তদন্ত কর্মকর্তা চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তদন্তে আরও জানা গেছে, মূলত ভীতি সঞ্চারের মাধ্যমে দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই ‘অস্ত্র ও বোমাকাণ্ড’ ঘটান পলাশ আহমেদ।
২০১৮ সালের ৩ মার্চ সিমলার সঙ্গে পলাশের বিয়ে হয়। পলাশ আগের বিয়ের খবর গোপন করায় ওই বছরের ৬ নভেম্বর সিমলা তাকে ডিভোর্স দেন। ডিভোর্সের পরেই ‘হতাশা’ থেকে বিমান ‘ছিনতাইয়ের’ চেষ্টা করেন পলাশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, বিমান ছিনতাই মামলায় মোট ৭৯ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। সাক্ষীদের মধ্যে বিমানযাত্রী ২২ জন, বিমানের পাইলট ও কেবিন ক্রু সাতজন, নিহত পলাশের আত্মীয়স্বজন ও ভাইবন্ধু ১৯ জন, অভিযানে অংশ নেয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও উপস্থিত ২৬ জন এবং অন্যান্য পাঁচজন।
সাক্ষ্য নিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া।
প্রসঙ্গত গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের বিজি-১৪৭ উড্ডয়নের পর পলাশ আহমেদ বোমাসদৃশ বস্তু ও অস্ত্র দেখিয়ে বিমানটি ‘ছিনতাইয়ের’ চেষ্টা করেন।
বিমানটি শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানের ‘ইমার্জেন্সি ডোর’ দিয়ে যাত্রী ও কেবিন ক্রুদের দ্রুত বের করে আনা হয়।
ওই সময় পলাশ সিমলার সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেন বলে তখন কমান্ডো অভিযানে থাকা বিমানবাহিনীর এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন।
পরে আট মিনিটের এক কমান্ডো অভিযানে পলাশ আহমেদ নিহত হন। ওই সময় বিমান থেকে একটি খেলনা পিস্তল ও কিছু বিস্ম্ফোরকসদৃশ বস্তু আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়েছিল।