২ ফেব্রুয়ারি এইচবিওতে প্রচারিত হবে দীপের গল্প (ভিডিও)
সবুজদেশ ডেস্কঃ
গত নভেম্বরে আচমকা একটি ট্রেলার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ায়। যেখানে বাংলাদেশের ছেলে সুদীপ বিশ্বাস দীপকে দেখা যায় বিশ্বখ্যাত চ্যানেল এইচবিওতে একটি সিরিজের প্রচারণায়।
কারণ, ছয় পর্বের ‘ইনভিজিবল স্টোরিজ’ নামের সেই সিরিজে তিনি অভিনয় করেছেন।
৫ জানুয়ারি রাত ১০টায় এইচবিও চ্যানেল ও ‘এইচবিও গো’ ওয়েবে প্রচার শুরু হয় সিরিজটির। যেখানে অল্প পরিসরে হাজির হয়েছিলেন দীপ। তবে তার মূল পর্বটি প্রচার এখনও বাকি। আর সেটা দেখা যাবে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়। যেখানে দেখানো হবে দীপের গল্প।
বিষয়টি সবিস্তার করে এই শিল্পী বলেন, ‘এর প্রতিটি পর্বে একজনের গল্প বলা হয়েছে। আমার গল্পটি থাকছে পঞ্চম পর্বে। ষষ্ঠ পর্বেও পুরোটা সময় আমি থাকবো। এর আগে একটি পর্বে আমাকে দেখা গেলেও সেটি শুধু লিংকআপটা করার জন্য দেখানো হয়েছিল।’
দীপ ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত যুক্ত ছিলেন প্রাচ্যনাটের সঙ্গে। সেখানে ট্র্যাজেডি পলাশবাড়ী নামের একটি মঞ্চনাটকে তিনি মূল চরিত্রে কাজ করেন। এরপর ছোট পর্দাতেও নির্মাতাদের স্তুতিবাক্য পেয়েছেন।
টেলিভিশনে ওয়াহিদ তারেক পরিচালিত ডকু-ফিকশন ‘অপারেশন কিলোবাইট’, শাফায়েত মনসুর পরিচালিত ‘আমার নাম মানুষ’, ‘ক্যাফে ৯৯৯’ ও ‘আমরা ফিরবো কবে’ নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।
বড় পর্দায় দীপকে দেখা গেছে দুবার। প্রসূন রহমান পরিচালিত ‘সুতপার ঠিকানা’ ও রায়হান রাফি পরিচালিত ‘দহন’ ছবিতে।
কাজ শেষ করেছেন ‘মিশন এক্সট্রিম’-এর দুটি কিস্তির। আরও শেষ করলেন গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘থ্রি কিসেস’ ওয়েব সিরিজ।
তবে এইচবিওতে কাজের যোগসূত্রটা হলো একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।
রুহুল রবিন খান পরিচালিত ‘আইডেন্টিটি’ নামের এই চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী হয় সিঙ্গাপুরে।
আর সেখানেই উপস্থিত ছিলেন ‘ইনভিজিবল স্টোরিজ’-এর কাস্টিং ডিরেক্টর ও এইচবিও কর্তৃপক্ষ। পছন্দ হয়ে যায় দীপকে। গত বছরের এপ্রিলে তারা যোগাযোগ করেন দীপের সঙ্গে। এই সিরিজের একটি চরিত্রের চারটি দৃশ্য তারা পাঠান এই বাংলাদেশি শিল্পীর কাছে। বিতং করে বলে দেন, প্রতিটি দৃশ্য দুই রকম ঢঙে অভিনয় করে মোট আটটি ভিডিও পাঠাতে। তাদের সেই শর্তে উতরে যান দীপ।
এই তরুণ তারকা বলেন, ‘সিঙ্গাপুরে টিমের সঙ্গে যোগ দেওয়ার পর নিয়মিত অনুশীলন করতাম। যেদিন কাজ থাকতো না সেদিন ট্রেনে চেপে চলে যেতাম কোনও স্টেশন বা বাজারে। মানুষদের সঙ্গে মিশতাম এবং তাদের কথা বলার ধরনগুলো খেয়াল করতাম। কারণ, আমার চরিত্রটি একজন শ্রমিকের। দেখলাম, তাদের সিঙ্গাপুরিয়ান উচ্চারণ একটু আলাদা। আবার যারা প্রবাসী শ্রমিক তাদের অ্যাকসেন্ট আলাদা। একদিন খেয়াল করলাম একজন এই উচ্চারণগুলো পারেন। তার কাছে সময় চেয়ে আমার স্ক্রিপ্টটা তাকে পড়তে দিই। আর সেটা আমি মোবাইলে রেকর্ড করি। এরপর সেই অ্যাকসেন্টে অনুশীলন চালিয়ে গেছি।’
চারটি ভাষায় কথা বলতে হয়েছে দীপকে—চায়নিজ, ইংরেজি, বাংলা ও সিঙ্গাপুরিয়ান ইংরেজি।
তার সঙ্গে আছেন সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার শিল্পীরাও। দীপের প্রেমিকা হিসেবে দেখা যাবে সিকার সারিকে। তিনি ইন্দোনেশিয়ান অভিনেত্রী। শুধু অভিনেত্রীই নন, ইন্দোনেশিয়ার দর্শক তাকে চেনে উপস্থাপিকা ও নৃত্যশিল্পী হিসেবেও।
দীপ জানান, তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি এই সিরিজে কাজ করা।
তবে দিন শেষে পরিচালক লার জিয়ান দীপকে মৌখিক একটা প্রশংসাপত্র দিয়েছেন। জড়িয়ে ধরে বলেছেন, ‘দীপ, আই অ্যাম লাকি টু হ্যাভ ইউ।’