ঢাকা ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পে গরীবের এক কোটি ৮০ লাখ লুট

Reporter Name

সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্প “জমি আছে ঘর নেই” প্রকল্প। লাখ টাকা ব্যয়ে বাসযোগ্য একটি গৃহনির্মাণ করে দিতে গৃহহীন অসহায় মানুষদের জন্য এ প্রকল্প হাতে নেন প্রধানমন্ত্রী। বিনামূল্যে এসব ঘর দেওয়ার কথা থাকলেও ঘর প্রতি ২০-৩০ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন সাতক্ষীরার তালা সদরের চেয়ারম্যান সরদার চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন। এরপর ঘর দিলেও লাখ টাকা বরাদ্ধের ঘরে দেওয়া হয়েছে ৫০ হাজার টাকার মালামাল। প্রকল্পের কাজের ঠিকাদার চেয়ারম্যান নিজেই। বরাদ্ধের টাকাতেও হয়েছে লুটপাট। এসব অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী, তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।

২০১৭ সালের মে মাসে প্রকল্প প্রস্তাবিত হওয়ার পর ২০১৮ সালের মে মাসে প্রকল্পের অনুমোদন হয়। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের কাজ সম্পন্ন হয় এই প্রকল্পের। প্রকল্পের আওতায় সাতক্ষীরার তালা উপজেলার চারটি ইউনিয়নে বরাদ্ধ হয় ৭৫২টি ঘর। এর মধ্যে তালা সদর ইউনিয়নে বরাদ্ধ পায় ২৫৮টি ঘর। এই ২৫৮টি ঘর নির্মাণ প্রকল্পে দূর্ণীতি অনিয়মনের অভিযোগ উঠেছে।

তালা সদর ইউনিয়নের মুড়াকলিয়া গ্রামের আসাদ মোড়ল। চেয়ারম্যানকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে একটি ঘর পেয়েছেন তিনি। তবে ঘর পেলেও আক্ষেপ কাঁটেনি তার। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী অসহায় মানুষদের ঘর দিচ্ছে শুনে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারি ২০ হাজার টাকা দিলে একটি এক লাখ টাকার ঘর পাব। খানপুর গ্রামের মিকাইল সরদার চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ট সহযোগী। সে এই এলাকায় এইসব টাকা উত্তোলনে সহায়তা করে। পরে আমি ২০ হাজার টাকা দিয়ে একটি ঘর পেয়েছি। তবে ঘরের অর্ধেক ৫০ হাজার টাকার মালামাল দিয়েছে চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, ঘরের অর্ধেক মালপত্র দেওয়ার পর আমি বাকি মালপত্র ক্রয় করে ঘর নির্মাণ কাজ শেষ করেছি।

একই গ্রামের সকিনা খাতুন জানান, চেয়ারম্যান আমার কাছে ২০ হাজার টাকা চেয়েছিল, দিতে পারিনি বলে আমার ঘর দেয়নি। আমি অসহায় মানুষ।

জাতপুর গ্রামের গফুর ফকির বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পে তালা সদর ইউনিয়নে ঘর নির্মাণে চেয়ারম্যান নিজেই ঠিকাদার হয়েছেন। লাখ টাকার ঘরে মালপত্র দিয়েছেন অর্ধেক। আবার ঘরপ্রতি ২০ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন। ঘর নির্মাণে কাজ করেছে চেয়ারম্যানের আত্নীয়-স্বজন। প্রধানমন্ত্রীর যে স্বপ্ন নিয়ে অসহায় মানুষদের ঘর দিয়েছিল সে স্বপ্নের বাস্তবায়ন হয়নি।

খানপুর গ্রামের নাসিমা বেগম জানান, বিনা খরচে ঘর দেওয়ার কথা থাকলেও ২০ হাজার টাকা দিয়ে ঘর পেয়েছি। মালামাল পেয়েছি অর্ধেক আবার যেটুকু দিয়েছে তাও নিন্মমানের। অসহায় মানুষদের সঙ্গে চেয়ারম্যানের এ দূর্ণীতি অনিয়মের জন্য শাস্তির দাবি করছি।

এলাকাবাসীর অভিযোগে দূর্ণীতির হিসেবে দেখা যায়, বরাদ্ধের ২৫৮টি ঘরে ঘর প্রতি ২০ হাজার টাকা উত্তোলন করে চেয়ারম্যান লুটে নিয়েছেন ৫১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আর লাখ টাকা বরাদ্ধের ২৫৮টি ঘরের ৫০ হাজার টাকার মালামাল দিয়ে বাকি টাকা আত্নসাৎ করেছেন। সেখানে লুট করেছেন এক কোটি ২৯ লাখ টাকা। প্রধানমন্ত্রীর এই আশ্রয়ন প্রকল্পে এক কোটি ৮০ লাখ ৬০ হাজার টাকা লুটপাট করেছেন তিনি।

চেয়ারম্যানের দূর্ণীতি অনিয়মের এসব চিত্র তুলে ধরে তালা সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইয়াছিন সরদার বলেন, বরাদ্ধের পরই ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বরদের নিয়ে মিটিংয়ে বসেন চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন। মেম্বরদের পাঁচটি করে ঘর দেওয়া হবে জানান চেয়ারম্যান। প্রত্যেকটি ঘরের জন্য দাবি করা হয় ২০ হাজার টাকা। আমার কাছে ৫টি ঘরের জন্য এক লাখ টাকা দাবি করেন চেয়ারম্যান।

তিনি আরও বলেন, আমি চেয়ারম্যানকে জানাই অসহায় মানুষরা এসব টাকা দেবে কোথা থেকে ? অসহায় মানুষদের ঘরের জন্য টাকা নেওয়া যাবে না। সাফ জানিয়ে দেই, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পে অনিয়ম আমি করতে পারবো না। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন তার ঘনিষ্টজন ও শ্যালককে দিয়ে ঘর প্রতি ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা করে দিয়ে উত্তোলন করে। চেয়ারম্যান নিজেই কাজের ঠিকাদার হয়। পরিবহন খরচ ঠিকাদারের দেওয়ার কথা থাকলেও সে খরচও নেওয়া হয়েছে অসহায় মানুষদের নিকট থেকে। চেয়ারম্যানের এসব ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন গ্রামবাসী। এছাড়াও তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে স্বশরীরেও এসব অভিযোগের কথা জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।

তবে এসব অভিযোগের সঠিক নয় জানিয়ে তালা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার জাকির হোসেন বলেন, প্রকল্পে কোন অনিয়ম হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর ফ্রি এসেছিল, আমি ফ্রি দিয়েছি। আমি কারো কাছ থেকে কোন টাকা নেয়নি।

জমি আছে ঘর নেই প্রকল্পে ঘর নির্মাণে তালা সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ এসেছে জানিয়ে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইকবাল হোসেন বলেন, এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আমার কাছে অভিযোগ এসেছে। তারা তাদের অভিযোগ জানিয়ে গেছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি।

তিনি বলেন, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক মহোদয় দূর্ণীতির বিরুদ্ধে স্বোচ্ছার রয়েছেন। কোন দূর্ণীতি অনিয়মই সহ্য করা হবে না।

Tag :

About Author Information
Update Time : ০৪:২৪:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ মার্চ ২০২০
৩৭১ Time View

প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পে গরীবের এক কোটি ৮০ লাখ লুট

Update Time : ০৪:২৪:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ মার্চ ২০২০

সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্প “জমি আছে ঘর নেই” প্রকল্প। লাখ টাকা ব্যয়ে বাসযোগ্য একটি গৃহনির্মাণ করে দিতে গৃহহীন অসহায় মানুষদের জন্য এ প্রকল্প হাতে নেন প্রধানমন্ত্রী। বিনামূল্যে এসব ঘর দেওয়ার কথা থাকলেও ঘর প্রতি ২০-৩০ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন সাতক্ষীরার তালা সদরের চেয়ারম্যান সরদার চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন। এরপর ঘর দিলেও লাখ টাকা বরাদ্ধের ঘরে দেওয়া হয়েছে ৫০ হাজার টাকার মালামাল। প্রকল্পের কাজের ঠিকাদার চেয়ারম্যান নিজেই। বরাদ্ধের টাকাতেও হয়েছে লুটপাট। এসব অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী, তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।

২০১৭ সালের মে মাসে প্রকল্প প্রস্তাবিত হওয়ার পর ২০১৮ সালের মে মাসে প্রকল্পের অনুমোদন হয়। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের কাজ সম্পন্ন হয় এই প্রকল্পের। প্রকল্পের আওতায় সাতক্ষীরার তালা উপজেলার চারটি ইউনিয়নে বরাদ্ধ হয় ৭৫২টি ঘর। এর মধ্যে তালা সদর ইউনিয়নে বরাদ্ধ পায় ২৫৮টি ঘর। এই ২৫৮টি ঘর নির্মাণ প্রকল্পে দূর্ণীতি অনিয়মনের অভিযোগ উঠেছে।

তালা সদর ইউনিয়নের মুড়াকলিয়া গ্রামের আসাদ মোড়ল। চেয়ারম্যানকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে একটি ঘর পেয়েছেন তিনি। তবে ঘর পেলেও আক্ষেপ কাঁটেনি তার। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী অসহায় মানুষদের ঘর দিচ্ছে শুনে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারি ২০ হাজার টাকা দিলে একটি এক লাখ টাকার ঘর পাব। খানপুর গ্রামের মিকাইল সরদার চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ট সহযোগী। সে এই এলাকায় এইসব টাকা উত্তোলনে সহায়তা করে। পরে আমি ২০ হাজার টাকা দিয়ে একটি ঘর পেয়েছি। তবে ঘরের অর্ধেক ৫০ হাজার টাকার মালামাল দিয়েছে চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, ঘরের অর্ধেক মালপত্র দেওয়ার পর আমি বাকি মালপত্র ক্রয় করে ঘর নির্মাণ কাজ শেষ করেছি।

একই গ্রামের সকিনা খাতুন জানান, চেয়ারম্যান আমার কাছে ২০ হাজার টাকা চেয়েছিল, দিতে পারিনি বলে আমার ঘর দেয়নি। আমি অসহায় মানুষ।

জাতপুর গ্রামের গফুর ফকির বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পে তালা সদর ইউনিয়নে ঘর নির্মাণে চেয়ারম্যান নিজেই ঠিকাদার হয়েছেন। লাখ টাকার ঘরে মালপত্র দিয়েছেন অর্ধেক। আবার ঘরপ্রতি ২০ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন। ঘর নির্মাণে কাজ করেছে চেয়ারম্যানের আত্নীয়-স্বজন। প্রধানমন্ত্রীর যে স্বপ্ন নিয়ে অসহায় মানুষদের ঘর দিয়েছিল সে স্বপ্নের বাস্তবায়ন হয়নি।

খানপুর গ্রামের নাসিমা বেগম জানান, বিনা খরচে ঘর দেওয়ার কথা থাকলেও ২০ হাজার টাকা দিয়ে ঘর পেয়েছি। মালামাল পেয়েছি অর্ধেক আবার যেটুকু দিয়েছে তাও নিন্মমানের। অসহায় মানুষদের সঙ্গে চেয়ারম্যানের এ দূর্ণীতি অনিয়মের জন্য শাস্তির দাবি করছি।

এলাকাবাসীর অভিযোগে দূর্ণীতির হিসেবে দেখা যায়, বরাদ্ধের ২৫৮টি ঘরে ঘর প্রতি ২০ হাজার টাকা উত্তোলন করে চেয়ারম্যান লুটে নিয়েছেন ৫১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আর লাখ টাকা বরাদ্ধের ২৫৮টি ঘরের ৫০ হাজার টাকার মালামাল দিয়ে বাকি টাকা আত্নসাৎ করেছেন। সেখানে লুট করেছেন এক কোটি ২৯ লাখ টাকা। প্রধানমন্ত্রীর এই আশ্রয়ন প্রকল্পে এক কোটি ৮০ লাখ ৬০ হাজার টাকা লুটপাট করেছেন তিনি।

চেয়ারম্যানের দূর্ণীতি অনিয়মের এসব চিত্র তুলে ধরে তালা সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইয়াছিন সরদার বলেন, বরাদ্ধের পরই ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বরদের নিয়ে মিটিংয়ে বসেন চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন। মেম্বরদের পাঁচটি করে ঘর দেওয়া হবে জানান চেয়ারম্যান। প্রত্যেকটি ঘরের জন্য দাবি করা হয় ২০ হাজার টাকা। আমার কাছে ৫টি ঘরের জন্য এক লাখ টাকা দাবি করেন চেয়ারম্যান।

তিনি আরও বলেন, আমি চেয়ারম্যানকে জানাই অসহায় মানুষরা এসব টাকা দেবে কোথা থেকে ? অসহায় মানুষদের ঘরের জন্য টাকা নেওয়া যাবে না। সাফ জানিয়ে দেই, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পে অনিয়ম আমি করতে পারবো না। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন তার ঘনিষ্টজন ও শ্যালককে দিয়ে ঘর প্রতি ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা করে দিয়ে উত্তোলন করে। চেয়ারম্যান নিজেই কাজের ঠিকাদার হয়। পরিবহন খরচ ঠিকাদারের দেওয়ার কথা থাকলেও সে খরচও নেওয়া হয়েছে অসহায় মানুষদের নিকট থেকে। চেয়ারম্যানের এসব ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন গ্রামবাসী। এছাড়াও তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে স্বশরীরেও এসব অভিযোগের কথা জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।

তবে এসব অভিযোগের সঠিক নয় জানিয়ে তালা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার জাকির হোসেন বলেন, প্রকল্পে কোন অনিয়ম হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর ফ্রি এসেছিল, আমি ফ্রি দিয়েছি। আমি কারো কাছ থেকে কোন টাকা নেয়নি।

জমি আছে ঘর নেই প্রকল্পে ঘর নির্মাণে তালা সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ এসেছে জানিয়ে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইকবাল হোসেন বলেন, এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আমার কাছে অভিযোগ এসেছে। তারা তাদের অভিযোগ জানিয়ে গেছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি।

তিনি বলেন, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক মহোদয় দূর্ণীতির বিরুদ্ধে স্বোচ্ছার রয়েছেন। কোন দূর্ণীতি অনিয়মই সহ্য করা হবে না।