ঢাকা ১১:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রূপসায় বেদখল হওয়া সরকারী সম্পত্তি উদ্ধার করলেন এসিল্যান্ড

Reporter Name

খুলনা প্রতিনিধিঃ

খুলনার রূপসা উপজেলাধীন জাবুসা মৌজায় গ্রীনবাংলা হাউজিং লিমিটেড কর্তৃক দখলকৃত সরকারী সম্পত্তি উদ্ধার করলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুস্মিতা সাহা। তালিকাভুক্ত উক্ত পরিত্যক্ত সম্পত্তি সংশ্লিষ্ট মৌজার দাগ, খতিয়ান ও জমির পরিমান উল্লেখ সম্বলিত সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে তা সরকারের হেফাজতে নেয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার এ উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন।

উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক উপজেলার প্রতিটি এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সরকারী সম্পত্তি (ভিপি) চিহ্নিতকরণ কাজ চলমান রয়েছে। এ ব্যাপারে খুলনা জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তত্ত¡বধানে বাস্তবায়নের কাজ করছে উপজেলা ভূমি অফিস। পরিত্যক্ত সম্পত্তির ইউনিয়ন ভিত্তিক চিহ্নিতকরণ কাজ চলমান থাকা অবস্থায় উপজেলাধীন জাবুসা মৌজায় ২৩০ ও ২৪৫ নং খতিয়ানের ৮৩৯ ও ৯৭৫ নং দাগে ০.৬০ একর এবং একই মৌজায় ২২৫ নং খতিয়ানের ৮৩৯ ও ৯৭৫ নং দাগে ০.৬০ একর একটি মহল বেআইনীভাবে দখল নিয়েছে।

সূত্রে জানায়, গ্রীনবাংলা হাউজিং লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট মৌজায় উল্লেখিত স্থান সংলগ্ন কিছু জমি ক্রয় করে। তাদের ক্রয়কৃত জমির সাথে চতুরতাপূর্বক সরকারের এ সম্পত্তি তারা দখলে নিয়ে নেয়। পাশাপাশি নিজেদের জমি হিসেবে তারা সেখানে সীমানা প্রাচীর নির্মান কাজ শুরু করে। এ ঘটনায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুস্মিতা সাহা নিজ অফিসের সার্ভেয়ার মো. আতিকুর রহমান, চেইনম্যান মাহবুবুর রহমানসহ অন্যান্য সহকর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তা সরকারের হেফাজতে আনেন। জমি উদ্ধারকালে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কোন লোককে সেখানে পাওয়া যায়নি বলে জানা যায়। এ অবস্থায় সেখানে সরকারী সম্পত্তি উল্লেখপূর্বক সংশ্লিষ্ট মৌজার দাগ, খতিয়ান ও জমির পরিমান সম্বলিত সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেন। পাশাপাশি বিষয়টির ওপর নজরদারী করার জন্য উপজেলা সার্ভেয়ারকে নির্দেশনা প্রদান করেন।

বিষয়টি জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুস্মিতা সাহা বলেন, রূপসা উপজেলাতে যোগদানের পরেই খুলনা জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তত্ত্বাবধানে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বেদখল হওয়া সরকারী সম্পত্তি চিহ্নিতকরন এবং উদ্ধার কাজ শুরু করি। ইতোমধ্যে উপজেলার বেশকিছু মৌজায় এ ধরণের উদ্ধার কাজ করা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকারী বেদখল হওয়া সম্পত্তি চিহ্নিত করে তা উদ্ধার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।

Tag :

About Author Information
Update Time : ০৭:০৫:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ ২০২০
২৭৮ Time View

রূপসায় বেদখল হওয়া সরকারী সম্পত্তি উদ্ধার করলেন এসিল্যান্ড

Update Time : ০৭:০৫:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ ২০২০

খুলনা প্রতিনিধিঃ

খুলনার রূপসা উপজেলাধীন জাবুসা মৌজায় গ্রীনবাংলা হাউজিং লিমিটেড কর্তৃক দখলকৃত সরকারী সম্পত্তি উদ্ধার করলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুস্মিতা সাহা। তালিকাভুক্ত উক্ত পরিত্যক্ত সম্পত্তি সংশ্লিষ্ট মৌজার দাগ, খতিয়ান ও জমির পরিমান উল্লেখ সম্বলিত সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে তা সরকারের হেফাজতে নেয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার এ উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন।

উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক উপজেলার প্রতিটি এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সরকারী সম্পত্তি (ভিপি) চিহ্নিতকরণ কাজ চলমান রয়েছে। এ ব্যাপারে খুলনা জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তত্ত¡বধানে বাস্তবায়নের কাজ করছে উপজেলা ভূমি অফিস। পরিত্যক্ত সম্পত্তির ইউনিয়ন ভিত্তিক চিহ্নিতকরণ কাজ চলমান থাকা অবস্থায় উপজেলাধীন জাবুসা মৌজায় ২৩০ ও ২৪৫ নং খতিয়ানের ৮৩৯ ও ৯৭৫ নং দাগে ০.৬০ একর এবং একই মৌজায় ২২৫ নং খতিয়ানের ৮৩৯ ও ৯৭৫ নং দাগে ০.৬০ একর একটি মহল বেআইনীভাবে দখল নিয়েছে।

সূত্রে জানায়, গ্রীনবাংলা হাউজিং লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট মৌজায় উল্লেখিত স্থান সংলগ্ন কিছু জমি ক্রয় করে। তাদের ক্রয়কৃত জমির সাথে চতুরতাপূর্বক সরকারের এ সম্পত্তি তারা দখলে নিয়ে নেয়। পাশাপাশি নিজেদের জমি হিসেবে তারা সেখানে সীমানা প্রাচীর নির্মান কাজ শুরু করে। এ ঘটনায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুস্মিতা সাহা নিজ অফিসের সার্ভেয়ার মো. আতিকুর রহমান, চেইনম্যান মাহবুবুর রহমানসহ অন্যান্য সহকর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তা সরকারের হেফাজতে আনেন। জমি উদ্ধারকালে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কোন লোককে সেখানে পাওয়া যায়নি বলে জানা যায়। এ অবস্থায় সেখানে সরকারী সম্পত্তি উল্লেখপূর্বক সংশ্লিষ্ট মৌজার দাগ, খতিয়ান ও জমির পরিমান সম্বলিত সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেন। পাশাপাশি বিষয়টির ওপর নজরদারী করার জন্য উপজেলা সার্ভেয়ারকে নির্দেশনা প্রদান করেন।

বিষয়টি জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুস্মিতা সাহা বলেন, রূপসা উপজেলাতে যোগদানের পরেই খুলনা জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তত্ত্বাবধানে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বেদখল হওয়া সরকারী সম্পত্তি চিহ্নিতকরন এবং উদ্ধার কাজ শুরু করি। ইতোমধ্যে উপজেলার বেশকিছু মৌজায় এ ধরণের উদ্ধার কাজ করা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকারী বেদখল হওয়া সম্পত্তি চিহ্নিত করে তা উদ্ধার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।