ঢাকা ০১:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পানে জর্দা খেয়ে প্রাণ গেল স্কুলছাত্রের

Reporter Name

পাবনা প্রতিনিধিঃ

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় একটি কোম্পানীর উৎপাদিত জর্দা খেয়ে ইমরান হোসেন (১০) নামে এক স্কুলছাত্র মারা গেছে। শনিবার (৭ মার্চ) বিকেলে সে নিজ বাড়িতে মারা যায়। ইমরান উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের মহিষবাতান গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে ও নুন্দীমরিচ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র।

নিহতর স্বজনরা জানান, ইমরানের মা ও বাবা নিয়মিত জর্দা ও পান খান। মা-বাবার সাথে একপর্যায়ে ইমরান নিজেও জর্দা খেতে শেখে। এতে জর্দায় আসক্ত হয়ে গত কয়েক মাস ধরে সে বাড়িতে রাখা জর্দা খেত। এ অবস্থায় শনিবার বিকেলে ইমরান স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে এসে জর্দা খায়। কিন্তু খাওয়ার পরিমাণটা বেশি হওয়ায় সে মাথা ঘুরে পড়ে যায়। তখন বাড়ির লোকজন তার মাথায় পানি ঢেলে সুস্থ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই সে মারা যায়।

ইমরানের নিকটাত্মীয় হেলাল খান বলেন, মা-বাবার সাথে ইমরান পান ও জর্দা খাওয়া শিখেছিল। একপর্যায়ে ইমরান জর্দার নেশায় প্রচন্ড আসক্ত হয়ে পড়ে। এ আসক্ত থেকে শনিবার সে বেশি পরিমাণে জর্দা খেয়ে ফেলে। এতে সে মারা যায়।

মহিষবাতান গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ কালু মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরিবারের সদস্যদের অসচেতনতার কারণে ইমরান জর্দায় আসক্ত হয়ে পড়ে। পরে এই জর্দা খেয়ে তাকে মরতে হলো।

এদিকে ইমরান মারা যাওয়ার পর থেকেই ওই বাড়িতে ও গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

Tag :

About Author Information
Update Time : ০১:৫৭:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ মার্চ ২০২০
৩৫৮ Time View

পানে জর্দা খেয়ে প্রাণ গেল স্কুলছাত্রের

Update Time : ০১:৫৭:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ মার্চ ২০২০

পাবনা প্রতিনিধিঃ

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় একটি কোম্পানীর উৎপাদিত জর্দা খেয়ে ইমরান হোসেন (১০) নামে এক স্কুলছাত্র মারা গেছে। শনিবার (৭ মার্চ) বিকেলে সে নিজ বাড়িতে মারা যায়। ইমরান উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের মহিষবাতান গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে ও নুন্দীমরিচ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র।

নিহতর স্বজনরা জানান, ইমরানের মা ও বাবা নিয়মিত জর্দা ও পান খান। মা-বাবার সাথে একপর্যায়ে ইমরান নিজেও জর্দা খেতে শেখে। এতে জর্দায় আসক্ত হয়ে গত কয়েক মাস ধরে সে বাড়িতে রাখা জর্দা খেত। এ অবস্থায় শনিবার বিকেলে ইমরান স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে এসে জর্দা খায়। কিন্তু খাওয়ার পরিমাণটা বেশি হওয়ায় সে মাথা ঘুরে পড়ে যায়। তখন বাড়ির লোকজন তার মাথায় পানি ঢেলে সুস্থ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই সে মারা যায়।

ইমরানের নিকটাত্মীয় হেলাল খান বলেন, মা-বাবার সাথে ইমরান পান ও জর্দা খাওয়া শিখেছিল। একপর্যায়ে ইমরান জর্দার নেশায় প্রচন্ড আসক্ত হয়ে পড়ে। এ আসক্ত থেকে শনিবার সে বেশি পরিমাণে জর্দা খেয়ে ফেলে। এতে সে মারা যায়।

মহিষবাতান গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ কালু মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরিবারের সদস্যদের অসচেতনতার কারণে ইমরান জর্দায় আসক্ত হয়ে পড়ে। পরে এই জর্দা খেয়ে তাকে মরতে হলো।

এদিকে ইমরান মারা যাওয়ার পর থেকেই ওই বাড়িতে ও গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।