ঢাকা ০৫:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে রাস্তার ইট চেয়ারম্যানের বাড়িতে

Reporter Name

ঝিনাইদহঃ

নতুন করে রাস্তায় ইটের (এইচ.বি.বি) কাজ হচ্ছে, তাই পুরাতন ইট উঠিয়ে বাড়িতে নিয়ে গেলেন স্থানিয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিদুল ইসলাম। এই ইট তার বাড়িতে রাখা আছে। ৩ শত মিটার গ্রামের রাস্তায় পূর্বে ছিল ইট বিছানো, আর এখন হচ্ছে এইচ.বি.বি। ঘটনাটি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মান্দারবাড়িয়া ইউনিয়নের শংকরহুদা গ্রামের।

অবশ্য চেয়ারম্যান বলছেন, ইটগুলো হাতছাড়া না করে গ্রামের অন্য একটি রাস্তায় ব্যবহারের জন্য তিনি বাড়িতে রেখেছেন। কয়েকদিনের মধ্যে কাজ করে ফেলবেন বলে জানান।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শংকরহুদা গ্রামের মধ্যে বেশ কয়েকটি রাস্তা রয়েছে। যার কিছু আছে পিচঢালা, আবার কিছু আছে ইট বিছানো। তেমনই একটি রাস্তা শংকরহুদা রনজু বিশ্বাসের বাড়ি হতে জামাল হোসেনের বাড়ি পর্যন্ত। এই রাস্তায় দুই বছর পূর্বে স্থানিয় সরকার বিভাগের এলজিএসপি’র অর্থায়নে ৩ শত ফুট ইট বিছানো কাজ করা হয়। যাকে স্থানিয় ভাবে সোলিং বলে। সেই রাস্তায় এবার ৫২ লাখ ১১ হাজার ৪১৫ টাকা ব্যয় করে ১ হাজার মিটার এইচ.বি.বি (হেরিং) করণ কাজ করছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস। ইতিমধ্যে তারা রাস্তাটির কাজ শুরু করেছেন।

এদিকে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সোলিং রাস্তায় এইচ.বি.বি করছে এমন খবর পেয়ে রাস্তার পুরানো ইট তুলে নেন মান্দারবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিদুল ইসলাম। তিনি শ্রমিক নিয়োগ করে সব ইট উঠিয়ে তার বাড়িতে রেখেছেন। স্থানিয়রা বলছেন, ইটগুলো কোন উদ্দেশ্যে তার বাড়িতে নিয়ে রাখা হয়েছে তা তারা বুঝতে পারছেন না। তবে সরকারি ইট এভাবে বাড়িতে রাখা যায় না। এছাড়া শেষ পর্যন্ত ইটের সঠিক হিসাবও থাকবে না বলে জানান স্থানিয়রা।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেরুন নেছা জানান, তারা প্রকল্প নিয়ে দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার নির্বাচন করে কাজ করতে গিয়েছেন। রাস্তায় যে পুরাতন ইট ছিল সেগুলো চেয়ারম্যান সরিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু ইটগুলো কোথায় রেখেছেন সেটা তার জানা নেই। আর চেয়ারম্যান শফিদুল ইসলাম জানান, ইট তিনি বাড়িতে নিয়ে রেখেছেন। এই ইট অন্য একটি রাস্তায় ব্যবহার করা হবে। ইটগুলো নষ্ট না করে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কত ইট উঠানো হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই হিসাব তিনি করেননি। রাস্তায় যে ইট পেয়েছেন সেগুলো উঠিয়ে নিয়ে রেখেছেন।

মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভুমি) সুজন সরকার জানান, রাস্তার কিছু ইট উঠিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের রাখা হয়েছে এমনটি তিনি জানতেন, কিন্তু বাড়িতে রেখেছেন এটা তার জানা নেই। বিয়ষটি তিনি খোজ নিবেন বলে জানান।

Tag :

About Author Information
Update Time : ০৮:২৭:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ মার্চ ২০২০
৭১৮ Time View

ঝিনাইদহে রাস্তার ইট চেয়ারম্যানের বাড়িতে

Update Time : ০৮:২৭:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ মার্চ ২০২০

ঝিনাইদহঃ

নতুন করে রাস্তায় ইটের (এইচ.বি.বি) কাজ হচ্ছে, তাই পুরাতন ইট উঠিয়ে বাড়িতে নিয়ে গেলেন স্থানিয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিদুল ইসলাম। এই ইট তার বাড়িতে রাখা আছে। ৩ শত মিটার গ্রামের রাস্তায় পূর্বে ছিল ইট বিছানো, আর এখন হচ্ছে এইচ.বি.বি। ঘটনাটি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মান্দারবাড়িয়া ইউনিয়নের শংকরহুদা গ্রামের।

অবশ্য চেয়ারম্যান বলছেন, ইটগুলো হাতছাড়া না করে গ্রামের অন্য একটি রাস্তায় ব্যবহারের জন্য তিনি বাড়িতে রেখেছেন। কয়েকদিনের মধ্যে কাজ করে ফেলবেন বলে জানান।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শংকরহুদা গ্রামের মধ্যে বেশ কয়েকটি রাস্তা রয়েছে। যার কিছু আছে পিচঢালা, আবার কিছু আছে ইট বিছানো। তেমনই একটি রাস্তা শংকরহুদা রনজু বিশ্বাসের বাড়ি হতে জামাল হোসেনের বাড়ি পর্যন্ত। এই রাস্তায় দুই বছর পূর্বে স্থানিয় সরকার বিভাগের এলজিএসপি’র অর্থায়নে ৩ শত ফুট ইট বিছানো কাজ করা হয়। যাকে স্থানিয় ভাবে সোলিং বলে। সেই রাস্তায় এবার ৫২ লাখ ১১ হাজার ৪১৫ টাকা ব্যয় করে ১ হাজার মিটার এইচ.বি.বি (হেরিং) করণ কাজ করছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস। ইতিমধ্যে তারা রাস্তাটির কাজ শুরু করেছেন।

এদিকে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সোলিং রাস্তায় এইচ.বি.বি করছে এমন খবর পেয়ে রাস্তার পুরানো ইট তুলে নেন মান্দারবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিদুল ইসলাম। তিনি শ্রমিক নিয়োগ করে সব ইট উঠিয়ে তার বাড়িতে রেখেছেন। স্থানিয়রা বলছেন, ইটগুলো কোন উদ্দেশ্যে তার বাড়িতে নিয়ে রাখা হয়েছে তা তারা বুঝতে পারছেন না। তবে সরকারি ইট এভাবে বাড়িতে রাখা যায় না। এছাড়া শেষ পর্যন্ত ইটের সঠিক হিসাবও থাকবে না বলে জানান স্থানিয়রা।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেরুন নেছা জানান, তারা প্রকল্প নিয়ে দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার নির্বাচন করে কাজ করতে গিয়েছেন। রাস্তায় যে পুরাতন ইট ছিল সেগুলো চেয়ারম্যান সরিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু ইটগুলো কোথায় রেখেছেন সেটা তার জানা নেই। আর চেয়ারম্যান শফিদুল ইসলাম জানান, ইট তিনি বাড়িতে নিয়ে রেখেছেন। এই ইট অন্য একটি রাস্তায় ব্যবহার করা হবে। ইটগুলো নষ্ট না করে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কত ইট উঠানো হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই হিসাব তিনি করেননি। রাস্তায় যে ইট পেয়েছেন সেগুলো উঠিয়ে নিয়ে রেখেছেন।

মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভুমি) সুজন সরকার জানান, রাস্তার কিছু ইট উঠিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের রাখা হয়েছে এমনটি তিনি জানতেন, কিন্তু বাড়িতে রেখেছেন এটা তার জানা নেই। বিয়ষটি তিনি খোজ নিবেন বলে জানান।