ঢাকা ০৯:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে ছিটে রুটি ও মুরগির গোস্ত ছাড়া মেলেনা কৃষি ঋণ!

Reporter Name

ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের কৃষি ব্যাংকে ঋন নিতে গেলে ঘুষের সাথে ছিটে রুটি ও দেশী মুরগির গোস্ত দিতে হয়। তা নাহলে মেলেনা কৃষি ঋণ। ভুক্তভোগী ৭ জন কৃষক কৃষি ব্যাংকের আঞ্চলিক অফিসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

চিঠিতে তারা ঘুষের টাকা ফেরৎ ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন। কৃষকদের অভিযোগ তারা ঋন নিতে গেলে ব্যাংক ম্যানেজার রুবায়েত হাসান তাদেরকে আলোচনার জন্য ব্যাংকের আইও আশরাফুল ইসলাম, অসীম কুমার সাহা, সিদ্দিকুর রহমান ও আক্তারুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।

কৃষদের কাগজপত্র ও ঋন নিতে সব শর্ত পুরণ করা হলেও ঋন দিতে প্রথমে অপরগতা ও পরে ঘুষের প্রস্তাব দেন। কৃষক ঠান্ডু মিয়া জানান, ঘুষ দেওয়ার কথা স্বীকার করলে কৃষকদের বাড়িতে দাওয়াত করে ব্যাংকের আই দের ছিটে রুটি ও দেশী মুরগীর গোস্ত দিয়ে আপ্যায়ন করতে হয়। তাদের অভিযোগে যারা ঘুষ ও আপ্যায়ন করতে পেরেছে কেবল তাদেরই ঋণ দেওয়া হয়েছে।

লিখিত অভিযোগে যারা সাক্ষর করেছেন তারা হলেন, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বেতাই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে ফজলুর হক, কুঠি দুর্গাপুর গ্রামের গোলাম রহমানের স্ত্রী মালেকা খাতুন, একই গ্রামের মৃতজুমাত আলীর ছেলে সামছুল হক,সিরাজ উদ্দিনে ছেলে সোহেল উদ্দিন, চান্দেরপোল গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে আবু তালেব, ঠান্ডু মিয়া, পটল বিশ্বাস ও রনজিৎ বিশ্বাস।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, কৃষি ব্যাংক থেকে ঋন নিয়ে একটি সিন্ডিকেট নামে বেনামে ঋন নিয়ে দেদারছে সুদে ব্যবসা ও এনজিও চালিয়ে যাচ্ছেন। অথচ কৃষকরা ঘুষ ছাড়া ঋন পাচ্ছে না।

এ ব্যাপারে কৃষি ব্যাংক আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তা এনায়েত করিম লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, ব্যাংকে এ ধরনের অভিযোগের কথা শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Tag :

About Author Information
Update Time : ০৮:৪৫:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ মার্চ ২০২০
৬৮৬ Time View

ঝিনাইদহে ছিটে রুটি ও মুরগির গোস্ত ছাড়া মেলেনা কৃষি ঋণ!

Update Time : ০৮:৪৫:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ মার্চ ২০২০

ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের কৃষি ব্যাংকে ঋন নিতে গেলে ঘুষের সাথে ছিটে রুটি ও দেশী মুরগির গোস্ত দিতে হয়। তা নাহলে মেলেনা কৃষি ঋণ। ভুক্তভোগী ৭ জন কৃষক কৃষি ব্যাংকের আঞ্চলিক অফিসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

চিঠিতে তারা ঘুষের টাকা ফেরৎ ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন। কৃষকদের অভিযোগ তারা ঋন নিতে গেলে ব্যাংক ম্যানেজার রুবায়েত হাসান তাদেরকে আলোচনার জন্য ব্যাংকের আইও আশরাফুল ইসলাম, অসীম কুমার সাহা, সিদ্দিকুর রহমান ও আক্তারুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।

কৃষদের কাগজপত্র ও ঋন নিতে সব শর্ত পুরণ করা হলেও ঋন দিতে প্রথমে অপরগতা ও পরে ঘুষের প্রস্তাব দেন। কৃষক ঠান্ডু মিয়া জানান, ঘুষ দেওয়ার কথা স্বীকার করলে কৃষকদের বাড়িতে দাওয়াত করে ব্যাংকের আই দের ছিটে রুটি ও দেশী মুরগীর গোস্ত দিয়ে আপ্যায়ন করতে হয়। তাদের অভিযোগে যারা ঘুষ ও আপ্যায়ন করতে পেরেছে কেবল তাদেরই ঋণ দেওয়া হয়েছে।

লিখিত অভিযোগে যারা সাক্ষর করেছেন তারা হলেন, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বেতাই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে ফজলুর হক, কুঠি দুর্গাপুর গ্রামের গোলাম রহমানের স্ত্রী মালেকা খাতুন, একই গ্রামের মৃতজুমাত আলীর ছেলে সামছুল হক,সিরাজ উদ্দিনে ছেলে সোহেল উদ্দিন, চান্দেরপোল গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে আবু তালেব, ঠান্ডু মিয়া, পটল বিশ্বাস ও রনজিৎ বিশ্বাস।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, কৃষি ব্যাংক থেকে ঋন নিয়ে একটি সিন্ডিকেট নামে বেনামে ঋন নিয়ে দেদারছে সুদে ব্যবসা ও এনজিও চালিয়ে যাচ্ছেন। অথচ কৃষকরা ঘুষ ছাড়া ঋন পাচ্ছে না।

এ ব্যাপারে কৃষি ব্যাংক আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তা এনায়েত করিম লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, ব্যাংকে এ ধরনের অভিযোগের কথা শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।