ঢাকা ০৫:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহ স্বাস্থ্য বিভাগের পিপিই আটকে গেছে কুরিয়ারে!

Reporter Name

ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহ স্বাস্থ্য বিভাগের জন্য বরাদ্দ করা ৩০টি নিরাপত্তা সরঞ্জাম (পার্সোনাল প্রকেটশন ইকুইপমেন্ট-পিপিই) সুন্দরবন কুরিয়ারে আটকে গেছে। গেল কয়েক দিন আগে এগুলো ঢাকা থেকে পাঠানো হয়েছে। এর আগে পাঠানো ২৬৮ নিরাপত্তা সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মাত্র কয়েকটি মজুদ রাখা হয়েছে জেলা ওষুধ ভাণ্ডারে (স্টোরে)। ওয়ান টাইম ব্যবহারযোগ্য এসব নিরাপত্তা সরঞ্জাম শুধু করোনা আক্রান্ত রোগীর কাছে যাওয়ার জন্য বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।

তিনি বলেন, নিরাপত্তা সরঞ্জাম যেগুলো পাওয়া গেছে, সেগুলো শুধু ডাক্তার ও নার্সদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, এমন প্রশ্ন ছিল তার (সিভিল সার্জন) কাছে।

তিনি বলেন, এখনও তাদের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এ নিয়ে সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে।

অপরদিকে, ঝিনাইদহে ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ জন বিদেশ ফেরত ব্যক্তি রয়েছেন। এ পর্যন্ত জেলার ৬ উপজেলায় ৯৪২ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৪০২ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৪০ জন। ৫ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। একজনের নমুনা সংগ্রহ করা হলেও পরীক্ষার ফলাফল শনিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত জানা যায়নি।

সর্বশেষ স্বাস্থ্য অধিদফতর খুলনা বিভাগীয় পরিচালকের দফতর সূত্রে জানা যায়, খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় ১০৪৪৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় ১ ও খুলনা জেলায় ৫ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তাদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

কর্মস্থলে অনুপস্থিত কতিপয় কর্মকর্তা : এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের মেডিকেল অফিসার ডা. গুলশানারা লিমা বলেন, সনদপত্রে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার স্বাক্ষর করার বিধান রয়েছে। স্যার অফিসে আসেননি। যে কারণে বাধ্য হয়ে দু’জন বিদেশ ফেরত পাসপোর্টধারীর স্বাস্থ্য সনদপত্রে স্বাক্ষর করেছেন তিনি।

ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম বলেন, ইতিমধ্যে ৩ দফায় ওই কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারী এবং কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডারেরা করোনা আতঙ্কের মধ্যেও স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে নিয়মিত অফিসে আসছেন এবং খবর পাওয়ামাত্রই প্রবাসীদের সন্ধানে পাড়া-মহল্লায় গ্রামে-গঞ্জে ছুটছেন তারা।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদফতর খুলনা বিভাগের পরিচালক ডা. রাশিদা সুলতানার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, যারা নিয়মিত অফিস করেন না তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Tag :

About Author Information
Update Time : ১০:৫৩:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ মার্চ ২০২০
৩৪৬ Time View

ঝিনাইদহ স্বাস্থ্য বিভাগের পিপিই আটকে গেছে কুরিয়ারে!

Update Time : ১০:৫৩:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ মার্চ ২০২০

ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহ স্বাস্থ্য বিভাগের জন্য বরাদ্দ করা ৩০টি নিরাপত্তা সরঞ্জাম (পার্সোনাল প্রকেটশন ইকুইপমেন্ট-পিপিই) সুন্দরবন কুরিয়ারে আটকে গেছে। গেল কয়েক দিন আগে এগুলো ঢাকা থেকে পাঠানো হয়েছে। এর আগে পাঠানো ২৬৮ নিরাপত্তা সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মাত্র কয়েকটি মজুদ রাখা হয়েছে জেলা ওষুধ ভাণ্ডারে (স্টোরে)। ওয়ান টাইম ব্যবহারযোগ্য এসব নিরাপত্তা সরঞ্জাম শুধু করোনা আক্রান্ত রোগীর কাছে যাওয়ার জন্য বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।

তিনি বলেন, নিরাপত্তা সরঞ্জাম যেগুলো পাওয়া গেছে, সেগুলো শুধু ডাক্তার ও নার্সদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, এমন প্রশ্ন ছিল তার (সিভিল সার্জন) কাছে।

তিনি বলেন, এখনও তাদের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এ নিয়ে সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে।

অপরদিকে, ঝিনাইদহে ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ জন বিদেশ ফেরত ব্যক্তি রয়েছেন। এ পর্যন্ত জেলার ৬ উপজেলায় ৯৪২ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৪০২ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৪০ জন। ৫ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। একজনের নমুনা সংগ্রহ করা হলেও পরীক্ষার ফলাফল শনিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত জানা যায়নি।

সর্বশেষ স্বাস্থ্য অধিদফতর খুলনা বিভাগীয় পরিচালকের দফতর সূত্রে জানা যায়, খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় ১০৪৪৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় ১ ও খুলনা জেলায় ৫ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তাদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

কর্মস্থলে অনুপস্থিত কতিপয় কর্মকর্তা : এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের মেডিকেল অফিসার ডা. গুলশানারা লিমা বলেন, সনদপত্রে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার স্বাক্ষর করার বিধান রয়েছে। স্যার অফিসে আসেননি। যে কারণে বাধ্য হয়ে দু’জন বিদেশ ফেরত পাসপোর্টধারীর স্বাস্থ্য সনদপত্রে স্বাক্ষর করেছেন তিনি।

ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম বলেন, ইতিমধ্যে ৩ দফায় ওই কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারী এবং কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডারেরা করোনা আতঙ্কের মধ্যেও স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে নিয়মিত অফিসে আসছেন এবং খবর পাওয়ামাত্রই প্রবাসীদের সন্ধানে পাড়া-মহল্লায় গ্রামে-গঞ্জে ছুটছেন তারা।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদফতর খুলনা বিভাগের পরিচালক ডা. রাশিদা সুলতানার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, যারা নিয়মিত অফিস করেন না তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।