আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ইরানের শীর্ষ পরমাণুবিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহ হত্যা সম্পর্কে কোনো ক্লু নেই বলে দাবি করেছে ইসরাইল।
দেশটির বসতি স্থাপনবিষয়ক মন্ত্রী তাজাচি হানেগবি বলেছেন, ফাখরিজাদেহকে কে বা কারা হত্যা করেছে- এ বিষয়ে তাদের কাছে কোনো ক্লু নেই।
শীর্ষ পরমাণুবিজ্ঞানী হত্যার জন্য শুরু থেকে ইসরাইলকে দায়ী করে আসছে ইরান। এমনকি খোদ যুক্তরাষ্ট্রও ইঙ্গিত দিয়েছে, ফাখরিজাদেহকে হত্যার পেছনে ইসরাইলের হাত রয়েছে।
আলজাজিরা জানিয়েছে, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বিজ্ঞানী হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হবে বলে জানিয়েছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, বাইডেন প্রশাসনের সম্পর্কোন্নয়নের দিকে তাকিয়ে থাকায় এখনই কোনো ধরনের প্রতিশোধের পথে হাঁটবে না তেহরান।
ইসরাইলি মন্ত্রী তাজাচি হানেগবি বলেন, কে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে আমার কাছে কোনো ক্লু নেই। এ ঘটনায় আমি দায়ী বলে মুখ বন্ধ রাখব, ব্যাপারটা তা নয়। আসলেই এর কোনো ক্লু নেই আমার কাছে।
তিনি ইসরাইলের এন-১২ টিভির মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর খুব ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এই মন্ত্রী।
শুক্রবার ইরানের রাজধানী তেহরানের পূর্বাঞ্চলে আবসার্ড এলাকায় নিজের গাড়িতে থাকা অবস্থায় সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে ফাখরিজাদেহকে।
প্রথমে তাকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে পরে তিনি মারা যান। তাকে শহীদ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শীর্ষ পরমাণুবিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহকে হত্যার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।
একই সঙ্গে হত্যার বদলা নেয়ার হুমকি দিয়েছেন ইরানের ধর্মীয় নেতারা ও সেনাবাহিনী।
তাকে হত্যার জন্য ইরান যেমন ইসরাইলকে দায়ী করছে, তেমনি মোসাদের ঘনিষ্ঠ এক ইসরাইলি সাংবাদিকের টুইট রি-টুইট করেছেন ইসরাইলের দিকে হত্যার ইঙ্গিত করেছেন ট্রাম্প।
এছাড়া ফাখরিজাদেহকে হত্যার পেছনে ইসরাইলের হাত রয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের একজন সরকারি কর্মকর্তা ও দুজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
পশ্চিমাদের চোখে ইরানে ‘গোপনে পারমাণবিক বোমা কর্মসূচির’ মূল কারিগর ফাখরিজাদেহকে দীর্ঘদিন ধরে অনুসরণ করে আসছে মোসাদ। এ কারণে নতুন করে উত্তেজনার পারদ উপরে উঠছে।
শুক্রবার হত্যার ঘটনার পর থেকে ক্ষোভে ফুঁসছে ইরান। প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছে মানুষ।