হাবিব ওসমান,(নিজস্য প্রতিনিধি)ঃঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার খয়েরতলা গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলায় ২ জন গুরুত্বর আহত হয়েছে।
হামলার শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা গেলাম রসূলের স্ত্রী লালবানু, ছেলে লিটন হোসেনকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ছেলে লিটনের অবস্থা অবনতি হওয়ায় ডাক্তারা তাকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে সিটি স্ক্যান করার পরামর্শ দিয়েছেন। কারন রোগী বারবার বমি করছে এতে ডাক্তাররা সন্দেহে করছে তার মাথায় বড় রকমের আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে। ডাক্তারদের পরামর্শে তাকে শনিবার বিকেলে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার বেলা ৩ টার সময় হামলাকারীরা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটিকে লোহার রড, দা ও বাঁশের লাঠি দিয়ে বেদম মারধর করে।
আহত মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী লালবানু জানান, একই গ্রামের মৃত ইসাহক আলীর পূত্র পাশের বাড়ির বাহজ্জেল হোসেন ওরফে পকু এসে আমার অসুস্থ্য স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রসূল (৭৫) কে একটি সাদা কাগজে সই করতে বলে। এতে তার ছেলে লিটন হোসেন বাঁধা দিলে বাহাজ্জেল হোসেন পকু তার স্ত্রী, মেয়ে তারিনসহ ঐ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা আমাদের বাড়িতে এসে এই হামলা চালায়। এরপর রাত ২ টার দিকে বাহাজ্জেল হোসেন ওরফে পকু ও তার দলবল আমাদের বাড়িতে একটা বোমার বিষ্ফোরন ঘটায় বলে অভিযোগ করেন। হামলার শিকার মুক্তিযোদ্ধা পরিবারসহ গ্রামবাসীরা জানান, বাহাজ্জেল হোসেন পকু এবং তার পরিবারের সদস্যরা এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাদকের ব্যবসা করে আসছে। সে প্রায় সব সময় মাদক সেবন করে মাতলামি করে পথচারীদের মারধর করে। তারা আরো জানান, সে একজন নামকরা সুদে ব্যবসায়ী। অধিক সুদে সাধারন গরীব মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে টাকা দিয়ে জোর জবরদোস্তী ও মারধর করে টাকা আদায় করে।
হামলাকারীরা মুক্তিযোদ্ধার ছেলে লিটন হোসেনকে মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং তার স্ত্রী লালবানুকে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে আঘাত করে আহত করে। মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। থানায় অভিযোগ করার কারনে এই পরিবারটিকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দেওয়া অব্যাহত রেখেছে পকু এবং তার পরিবারের সদস্যরা। বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা এই পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানান।
এ ব্যপারে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইউনুচ আলী জানান, সেখানে গোলযোগের খবর পেয়ে আমি নিজে ফোর্স নিয়ে সেখানে গিয়েছিলাম হামলাকারীদের বাড়িতে ঐ সময় কাউকে পাওয়া যায়নি। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। হামলাকারীদের আটকের চেষ্ঠা করা হচ্ছে। পালাতক থাকার কারনে এখনও আটক করা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে বাহাজ্জেল হোসেন পকুর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে সে জানায় আমাদের দুই পরিবারের মাঝে একটু ভূল বোঝাবুঝির কারনে একটু মারধরের ঘটনা ঘটেছে। জনপ্রতিনিধিদের এ বিষয়টা জানানো হয়েছে সন্ধ্যায় বসা ওঠা করে অনাকাঙ্খিত ঘটে যাওয়া ঘটনা মিমাংসার আশ^াস দিয়েছে তারা। বোমা বিষ্ফোরনের ঘটনা কে কারা ঘটায়েছে তা আমার জানা নাই।