ঢাকা ০৫:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুরআনের আয়াত লেখা পাতার সম্মান রক্ষা করা হোক

ফারুক নোমানী

 

মহান আল্লাহর পাক কালাম কুরআনুল কারীম। সর্বোচ্চ পবিত্র ও সম্মানের অধিকারী। কুরআনুল কারীমের সম্মান রক্ষা করা প্রতিটি ঈমানদারের দায়িত্ব ও কর্তব্য। পাক কুরআনের সম্মানদানের গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক হলো তা পবিত্রতা ছাড়া স্পর্শ না করা। মর্যাদাপূর্ণ কুরআনের সম্মান অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে কুরআন স্পর্শ করার জন্য দৈহিক পবিত্রতার শর্তারোপ করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলছেন-‘একে স্পর্শ করে কেবল তারাই, যারা অত্যন্ত পবিত্র।’ (সুরা ওয়াকিয়া ৭৭) এ আয়াতের স্পষ্ট ভাষ্য কুরআন স্পর্শ করার জন্য পবিত্রতা অর্জন করা আবশ্যক।

বিখ্যাত সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন-‘পবিত্র ব্যক্তি ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তি কুরআন স্পর্শ করবে না।’ (আল মু’যামুল কাবীর, ১৩২১৭. আল মু’যামুস সাগীর, ১১৬২)

হাদিসটি সম্পর্কে ইমাম হাইছামি রহ. বলেন, হাদিসটি ইমাম তাবারানি ‘আল মু’যামুল কাবীর’ এবং ‘আল মু’যামুস সাগীর’এ বর্ণনা করেছেন। বর্ণনাকারী সকলেই বিশ্বস্ত এবং গ্রহণযোগ্য (মাজমাউয যাওয়ায়িদ, হাদীস নং, ১৫১২)

হাফেজ বদরুদ্দীন আইনি রহ. বলেন-ইবনে উমরের হাদিসটি ইমাম দারা কুতনি রহ. সহিহ সনদে বর্ণনা করেছেন যে, পবিত্র ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ কুরআন স্পর্শ করতে পারবে না। ( উমদাতুল কারি, ৫/৩৭২)

এ ছাড়াও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমর বিন হাজম রা. এর নিকট যে চিঠি লিখেছিলেন, তাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, কুরআন যেন ওজু ছাড়া স্পর্শ না করে। (মুয়াত্তা মালেক, ৬৮০. মা’রেফাতুস সুনানি ওয়াল আছার, ২০৯. মিশকাতুল মাসাবিহ, ৪৬৫. কানযুল উম্মাল, ২৮২৯ )

পবিত্রতাসহ কুরআন স্পর্শ করার বিষয়ে বিখ্যাত ঘটনাটি প্রায় সকলেরই জানা যে, ইসলাম গ্রহণের আগে হযরত উমর রা. বোন ও ভগ্নিপতির ইসলাম গ্রহণের কথা শুনে রাগান্বিত হয়ে বোনের বাড়ি গিয়েছিলেন। তখন আল্লাহ তাআলা তার মনোজগতে হেদায়েতের আলো জ্বালিয়ে দেন। তিনি বোনের ঘরে থাকা কুরআন খুলে দেখতে চাইলেন। তার বোন তখন কুরআনের আয়াত পড়ে বললেন, ‘এই কুরআন স্পর্শ করতে হলে আপনাকে পবিত্র হতে হবে।’ এসকল আলোচনা থেকে স্পষ্ট হয় যে, কুরআন স্পর্শ করতে হলে অবশ্যই পত্রিতা অর্জন করতে হবে। একই কথা কুরআনের আয়াত স্পর্শ করার ক্ষেত্রেও। ইসলামী আইনবিদগণ সকলেই একমত যে, অপবিত্র অবস্থায় কুরআন বা কুরআনের আয়াত স্পর্শ করা জায়েয নেই। (কিতাবুল মারাসীল, আবু দাউদ, বর্ণনা ৯৪; তাফসীরে ইবনে কাসীর ৭/৫৪৩; আদ্দুররুল মুখতার ১/১৭৩)

ইমাম নববি ও ইমাম তাইমিয়া (রহ.) বলেন, ‘পবিত্র হওয়া ছাড়া কোরআন স্পর্শ করা নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে মতামত দিয়েছেন হজরত আলি (রা.), সা’য়াদ বিন আবি ওয়াক্কাস, আব্দুল্লাহ ইবন ওমর (রা.) প্রমুখ সাহাবি। অন্য সাহাবিদের এর বিপরীতে কোনো অভিমত নেই। (শরহুল মুহাজ্জব, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৮০, মাজমাউল ফাতওয়া খণ্ড ২১, পৃষ্ঠা ২৬৬)

তবে অবাক করার মতো বিষয় হলো, যেখানে পবিত্রতা ছাড়া কুরআন স্পর্শ করা জায়েজ নেই, সেই কুরআনের আয়াত লেখা বইয়ের পাতা রীতিমতো বিভিন্ন দোকানে প্যাকেট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। অনেক সময় ভাজা-মুড়ির দোকানের পাশে পদদলিত হতে দেখা যায় কুরআনের আয়াত সম্বলিত পৃষ্ঠা। যা রীতিমতো বেদনাদায়ক। স্কুলের ইসলাম শিক্ষা ও সরকারি মাদরাসার বইগুলো এক সময় কেজির দরে বিক্রি করে দেওয়া হয় হকারদের কাছে। যারা বিক্রি করেন তারাও জানেন, এটা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্যাকেট তৈরি করা হবে। ব্যবহারের পর তা ফেলে দেওয়া হবে ডাস্টবিনে। কিন্তু সামান্য ক’টা পয়সার জন্য অনেকেই বাস্তবতা জানার পরও কুরআনের আয়াত লেখা বইগুলো বিক্রি করে দেন কেজির দরে। আমাদের হৃদয়ে একটুও কি রেখাপাত করে না এটা? কেজিতে বিক্রি করে আমি কি মহান আল্লাহর পাক কালামের অসম্মানে অংশ নিলাম না? একজন বিশ্বাসী মুমিন হিসেবে আমার এ কাজ বিবেকের আদলতে কতটুকু গ্রহণযোগ্য হবে?

কুরআনুল কারীমের সম্মান প্রদর্শনের ক্ষেত্রে ইসলাম সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছে। তাই পাঠের অনুপযুক্ত কপি সম্মানের সাথে মাটিতে পুঁতে ফেলা, অথবা ব্যবহারের অনুপযোগী কুরআনের ছেঁড়াপাতাগুলো আদবের সাথে আগুনে পুড়িয়ে ফেলার বিধান দেওয়া হয়েছে ইসলামে। যেন অবহেলা ও অযত্নে পতিত না থাকে মহাগ্রন্থ আল কুরআনের কোন অংশ। ঠিক একই কথা ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম’ লেখা লিফলেট, হ্যান্ডবিলসহ মাহফিলের পোস্টারের ক্ষেত্রেও। বিসমিল্লাহ কুরআনের একটি আয়াত। সুতরাং তারও সম্মান করতে হবে। তবে হ্যান্ডবিল ও পোস্টারে লেখা আল্লাহর নাম ও কুরআনের এ আয়াতটিকে মানুষের পায়ের নিচে পদদলিত হতে দেখা যায়। অন্য বিষয় বাদ দিলেও মাহফিলের এন্তেজামিয়া কমিটি অবশ্যই জানেন যে, তাদের লাগানো পোস্টার এক সময় মানুষ ছিঁড়ে ফেলবে। আর ছেঁড়া কাগজটা নিশ্চয় যত্নসহ তুলে রাখবে না মানুষ। আবার মাহফিলের লিফলেটও মানুষ যত্নে তুলে রাখে না। একবার পড়ে তা ফেলে দেয় ময়লা ফেলা ঝাঁপিতে। সুতরাং জেনে বুঝে কুরআনের একটি আয়াত বা মহান আল্লাহর নামকে ময়লার আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া অন্তত কোন বিশ্বাসী মুমিন বান্দার জন্য কখনোই উচিত নয়। তাই দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গকে ইসলাম শিক্ষা বই বা কুরআনের আয়াত লেখা আছে এমন কাগজপত্র বিক্রির ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা আবশ্যক। সাথে সাথে আল্লাহর নামের সম্মান রক্ষার্থে মাহফিলের হান্ডবিল ও পোস্টারে বিসমিল্লাহ না লেখাই উচিত।

লেখক: মুহাদ্দিস, বলিদাপাড়া মাদরাসা, কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ।
ইমাম, মেইন বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদ, কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৬:২৩:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫
২৯ Time View

কুরআনের আয়াত লেখা পাতার সম্মান রক্ষা করা হোক

আপডেট সময় : ০৬:২৩:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫

 

মহান আল্লাহর পাক কালাম কুরআনুল কারীম। সর্বোচ্চ পবিত্র ও সম্মানের অধিকারী। কুরআনুল কারীমের সম্মান রক্ষা করা প্রতিটি ঈমানদারের দায়িত্ব ও কর্তব্য। পাক কুরআনের সম্মানদানের গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক হলো তা পবিত্রতা ছাড়া স্পর্শ না করা। মর্যাদাপূর্ণ কুরআনের সম্মান অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে কুরআন স্পর্শ করার জন্য দৈহিক পবিত্রতার শর্তারোপ করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলছেন-‘একে স্পর্শ করে কেবল তারাই, যারা অত্যন্ত পবিত্র।’ (সুরা ওয়াকিয়া ৭৭) এ আয়াতের স্পষ্ট ভাষ্য কুরআন স্পর্শ করার জন্য পবিত্রতা অর্জন করা আবশ্যক।

বিখ্যাত সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন-‘পবিত্র ব্যক্তি ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তি কুরআন স্পর্শ করবে না।’ (আল মু’যামুল কাবীর, ১৩২১৭. আল মু’যামুস সাগীর, ১১৬২)

হাদিসটি সম্পর্কে ইমাম হাইছামি রহ. বলেন, হাদিসটি ইমাম তাবারানি ‘আল মু’যামুল কাবীর’ এবং ‘আল মু’যামুস সাগীর’এ বর্ণনা করেছেন। বর্ণনাকারী সকলেই বিশ্বস্ত এবং গ্রহণযোগ্য (মাজমাউয যাওয়ায়িদ, হাদীস নং, ১৫১২)

হাফেজ বদরুদ্দীন আইনি রহ. বলেন-ইবনে উমরের হাদিসটি ইমাম দারা কুতনি রহ. সহিহ সনদে বর্ণনা করেছেন যে, পবিত্র ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ কুরআন স্পর্শ করতে পারবে না। ( উমদাতুল কারি, ৫/৩৭২)

এ ছাড়াও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমর বিন হাজম রা. এর নিকট যে চিঠি লিখেছিলেন, তাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, কুরআন যেন ওজু ছাড়া স্পর্শ না করে। (মুয়াত্তা মালেক, ৬৮০. মা’রেফাতুস সুনানি ওয়াল আছার, ২০৯. মিশকাতুল মাসাবিহ, ৪৬৫. কানযুল উম্মাল, ২৮২৯ )

পবিত্রতাসহ কুরআন স্পর্শ করার বিষয়ে বিখ্যাত ঘটনাটি প্রায় সকলেরই জানা যে, ইসলাম গ্রহণের আগে হযরত উমর রা. বোন ও ভগ্নিপতির ইসলাম গ্রহণের কথা শুনে রাগান্বিত হয়ে বোনের বাড়ি গিয়েছিলেন। তখন আল্লাহ তাআলা তার মনোজগতে হেদায়েতের আলো জ্বালিয়ে দেন। তিনি বোনের ঘরে থাকা কুরআন খুলে দেখতে চাইলেন। তার বোন তখন কুরআনের আয়াত পড়ে বললেন, ‘এই কুরআন স্পর্শ করতে হলে আপনাকে পবিত্র হতে হবে।’ এসকল আলোচনা থেকে স্পষ্ট হয় যে, কুরআন স্পর্শ করতে হলে অবশ্যই পত্রিতা অর্জন করতে হবে। একই কথা কুরআনের আয়াত স্পর্শ করার ক্ষেত্রেও। ইসলামী আইনবিদগণ সকলেই একমত যে, অপবিত্র অবস্থায় কুরআন বা কুরআনের আয়াত স্পর্শ করা জায়েয নেই। (কিতাবুল মারাসীল, আবু দাউদ, বর্ণনা ৯৪; তাফসীরে ইবনে কাসীর ৭/৫৪৩; আদ্দুররুল মুখতার ১/১৭৩)

ইমাম নববি ও ইমাম তাইমিয়া (রহ.) বলেন, ‘পবিত্র হওয়া ছাড়া কোরআন স্পর্শ করা নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে মতামত দিয়েছেন হজরত আলি (রা.), সা’য়াদ বিন আবি ওয়াক্কাস, আব্দুল্লাহ ইবন ওমর (রা.) প্রমুখ সাহাবি। অন্য সাহাবিদের এর বিপরীতে কোনো অভিমত নেই। (শরহুল মুহাজ্জব, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৮০, মাজমাউল ফাতওয়া খণ্ড ২১, পৃষ্ঠা ২৬৬)

তবে অবাক করার মতো বিষয় হলো, যেখানে পবিত্রতা ছাড়া কুরআন স্পর্শ করা জায়েজ নেই, সেই কুরআনের আয়াত লেখা বইয়ের পাতা রীতিমতো বিভিন্ন দোকানে প্যাকেট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। অনেক সময় ভাজা-মুড়ির দোকানের পাশে পদদলিত হতে দেখা যায় কুরআনের আয়াত সম্বলিত পৃষ্ঠা। যা রীতিমতো বেদনাদায়ক। স্কুলের ইসলাম শিক্ষা ও সরকারি মাদরাসার বইগুলো এক সময় কেজির দরে বিক্রি করে দেওয়া হয় হকারদের কাছে। যারা বিক্রি করেন তারাও জানেন, এটা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্যাকেট তৈরি করা হবে। ব্যবহারের পর তা ফেলে দেওয়া হবে ডাস্টবিনে। কিন্তু সামান্য ক’টা পয়সার জন্য অনেকেই বাস্তবতা জানার পরও কুরআনের আয়াত লেখা বইগুলো বিক্রি করে দেন কেজির দরে। আমাদের হৃদয়ে একটুও কি রেখাপাত করে না এটা? কেজিতে বিক্রি করে আমি কি মহান আল্লাহর পাক কালামের অসম্মানে অংশ নিলাম না? একজন বিশ্বাসী মুমিন হিসেবে আমার এ কাজ বিবেকের আদলতে কতটুকু গ্রহণযোগ্য হবে?

কুরআনুল কারীমের সম্মান প্রদর্শনের ক্ষেত্রে ইসলাম সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছে। তাই পাঠের অনুপযুক্ত কপি সম্মানের সাথে মাটিতে পুঁতে ফেলা, অথবা ব্যবহারের অনুপযোগী কুরআনের ছেঁড়াপাতাগুলো আদবের সাথে আগুনে পুড়িয়ে ফেলার বিধান দেওয়া হয়েছে ইসলামে। যেন অবহেলা ও অযত্নে পতিত না থাকে মহাগ্রন্থ আল কুরআনের কোন অংশ। ঠিক একই কথা ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম’ লেখা লিফলেট, হ্যান্ডবিলসহ মাহফিলের পোস্টারের ক্ষেত্রেও। বিসমিল্লাহ কুরআনের একটি আয়াত। সুতরাং তারও সম্মান করতে হবে। তবে হ্যান্ডবিল ও পোস্টারে লেখা আল্লাহর নাম ও কুরআনের এ আয়াতটিকে মানুষের পায়ের নিচে পদদলিত হতে দেখা যায়। অন্য বিষয় বাদ দিলেও মাহফিলের এন্তেজামিয়া কমিটি অবশ্যই জানেন যে, তাদের লাগানো পোস্টার এক সময় মানুষ ছিঁড়ে ফেলবে। আর ছেঁড়া কাগজটা নিশ্চয় যত্নসহ তুলে রাখবে না মানুষ। আবার মাহফিলের লিফলেটও মানুষ যত্নে তুলে রাখে না। একবার পড়ে তা ফেলে দেয় ময়লা ফেলা ঝাঁপিতে। সুতরাং জেনে বুঝে কুরআনের একটি আয়াত বা মহান আল্লাহর নামকে ময়লার আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া অন্তত কোন বিশ্বাসী মুমিন বান্দার জন্য কখনোই উচিত নয়। তাই দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গকে ইসলাম শিক্ষা বই বা কুরআনের আয়াত লেখা আছে এমন কাগজপত্র বিক্রির ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা আবশ্যক। সাথে সাথে আল্লাহর নামের সম্মান রক্ষার্থে মাহফিলের হান্ডবিল ও পোস্টারে বিসমিল্লাহ না লেখাই উচিত।

লেখক: মুহাদ্দিস, বলিদাপাড়া মাদরাসা, কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ।
ইমাম, মেইন বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদ, কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ।