ঢাকা ০৪:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার হাতে যা লিখলেন পরীমনি

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্ক:

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় জামিন পেয়ে গেল ১ সেপ্টেম্বর কারামুক্ত হয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। বের হওয়ার সময় কারাফটকে তিনি উপস্থিত জনতাকে হাত তুলে শুভেচ্ছা জানান। সেসময় তার হাতে লেখা ছিল, ‘Dont ও লাভ চিহ্ন, এরপর me Bitch’ (ডোন্ট লাভ মি বিচ)।

মেহেদির রঙে হাতে লেখা সেই বার্তার জন্য ভক্তদের চোখে দৃঢ়চেতা পরীমনির প্রশংসা হয়েছে। তবে সমালোচনাও কম হয়নি। যারা তার জামিন চেয়ে আন্দোলনের জন্য মাঠে ছিলেন তাদেরও অনেকে আহত হয়েছিলেন পরীমনির এমন পাগলামিতে। তাদের মতে, কারাবাস শেষে পরীর আরও সংযত হওয়া উচিত ছিলো।

আলোচনা-সমালোচনা যাই হোক বিখ্যাত ইংরেজি গানের লাইনটি পরীমনিকে আন্তর্জাতিক মিডিয়াতেও জায়গা করে দিয়েছিলো।

আবারও পরীমনি হাজির হলেন হাতে মেহেদির রঙে নতুন লেখা নিয়ে। এবার তিনি লিখলেন, ‘…ক মি মোর’।

আজ ১৫ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজিরা দিতে যান তিনি। এসময় তার হাতে দেখা যায় এ লেখা। আগেরবারের মতোই এবারের লেখাটিও নজর কেড়েছে সবার। হচ্ছে সমালোচনাও। পরীর ঘনিষ্টজনরা জানিয়েছেন, এ লেখায় তিনি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। তবে কাকে কি উদ্দেশ্যে সেই চ্যালেঞ্জ তা জানা যায়নি।

অপরদিকে এদিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় বিচারক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।

এর আগে ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে কারামুক্তি হন পরীমনি।

গত ৪ আগস্ট সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।

ওইদিনই রাত ৮টা ১০ মিনিটে পরীমনিকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে র্যাব সদরদফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাত ১২টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাব। পরদিন ৫ আগস্ট বিকেল ৫টা ১২ মিনিটে পরীমনি, চলচ্চিত্র প্রযোজক রাজ ও তাদের দুই সহযোগীকে কালো একটি মাইক্রোবাসে বনানী থানার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়।

এরপর র্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমনি ও তার সহযোগী দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে।

এরপর তাকে আদালতে হাজির করলে প্রথমে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে আরও দুই দফায় তিন দিনের রিমান্ডে তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদকসেবন করতেন। এমনকি এলএসডি ও আইসও সেবন করতেন তিনি। এজন্য বাসায় একটি ‘মিনিবার’ তৈরি করেন। বাসায় নিয়মিত ‘মদের পার্টি’ করতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ আরও অনেকে তার বাসায় অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের সরবরাহ করতেন ও পার্টিতে অংশ নিতেন।

২০১৪ সালে সিনেমায় ক্যারিয়ার শুরু করা পরীমনি এ পর্যন্ত ৩০টি সিনেমা ও বেশ কয়েকটি টিভিসিতে অভিনয় করেছেন। পিরোজপুরের মেয়ে পরীমনিকে চলচ্চিত্র জগতে নিয়ে আসেন প্রযোজক রাজ।

About Author Information
আপডেট সময় : ০১:৩৫:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
২৫১ Time View

এবার হাতে যা লিখলেন পরীমনি

আপডেট সময় : ০১:৩৫:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

সবুজদেশ ডেস্ক:

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় জামিন পেয়ে গেল ১ সেপ্টেম্বর কারামুক্ত হয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। বের হওয়ার সময় কারাফটকে তিনি উপস্থিত জনতাকে হাত তুলে শুভেচ্ছা জানান। সেসময় তার হাতে লেখা ছিল, ‘Dont ও লাভ চিহ্ন, এরপর me Bitch’ (ডোন্ট লাভ মি বিচ)।

মেহেদির রঙে হাতে লেখা সেই বার্তার জন্য ভক্তদের চোখে দৃঢ়চেতা পরীমনির প্রশংসা হয়েছে। তবে সমালোচনাও কম হয়নি। যারা তার জামিন চেয়ে আন্দোলনের জন্য মাঠে ছিলেন তাদেরও অনেকে আহত হয়েছিলেন পরীমনির এমন পাগলামিতে। তাদের মতে, কারাবাস শেষে পরীর আরও সংযত হওয়া উচিত ছিলো।

আলোচনা-সমালোচনা যাই হোক বিখ্যাত ইংরেজি গানের লাইনটি পরীমনিকে আন্তর্জাতিক মিডিয়াতেও জায়গা করে দিয়েছিলো।

আবারও পরীমনি হাজির হলেন হাতে মেহেদির রঙে নতুন লেখা নিয়ে। এবার তিনি লিখলেন, ‘…ক মি মোর’।

আজ ১৫ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজিরা দিতে যান তিনি। এসময় তার হাতে দেখা যায় এ লেখা। আগেরবারের মতোই এবারের লেখাটিও নজর কেড়েছে সবার। হচ্ছে সমালোচনাও। পরীর ঘনিষ্টজনরা জানিয়েছেন, এ লেখায় তিনি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। তবে কাকে কি উদ্দেশ্যে সেই চ্যালেঞ্জ তা জানা যায়নি।

অপরদিকে এদিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় বিচারক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।

এর আগে ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে কারামুক্তি হন পরীমনি।

গত ৪ আগস্ট সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।

ওইদিনই রাত ৮টা ১০ মিনিটে পরীমনিকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে র্যাব সদরদফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাত ১২টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাব। পরদিন ৫ আগস্ট বিকেল ৫টা ১২ মিনিটে পরীমনি, চলচ্চিত্র প্রযোজক রাজ ও তাদের দুই সহযোগীকে কালো একটি মাইক্রোবাসে বনানী থানার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়।

এরপর র্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমনি ও তার সহযোগী দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে।

এরপর তাকে আদালতে হাজির করলে প্রথমে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে আরও দুই দফায় তিন দিনের রিমান্ডে তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদকসেবন করতেন। এমনকি এলএসডি ও আইসও সেবন করতেন তিনি। এজন্য বাসায় একটি ‘মিনিবার’ তৈরি করেন। বাসায় নিয়মিত ‘মদের পার্টি’ করতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ আরও অনেকে তার বাসায় অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের সরবরাহ করতেন ও পার্টিতে অংশ নিতেন।

২০১৪ সালে সিনেমায় ক্যারিয়ার শুরু করা পরীমনি এ পর্যন্ত ৩০টি সিনেমা ও বেশ কয়েকটি টিভিসিতে অভিনয় করেছেন। পিরোজপুরের মেয়ে পরীমনিকে চলচ্চিত্র জগতে নিয়ে আসেন প্রযোজক রাজ।