ঢাকা ১২:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কলকাতায় বাংলাদেশি পণ্যের প্রদর্শনী কেন্দ্র হচ্ছে

Reporter Name

কলকাতায় বাংলাদেশের পণ্য প্রদর্শনের জন্য একটি স্থায়ী প্রদর্শন কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই লক্ষ্যে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কনফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনস এবং ইন্দো-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে একটি সমাঝোতাপত্র স্বাক্ষর হয়।
এর আগে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার লক্ষ্য নিয়ে আজ দুই দেশের শিল্পপতিদের এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। কলকাতার একটি অভিজাত হোটেলে এই বৈঠকের আয়োজন করে কলকাতার ‘কনফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনস’ বা সিডব্লিওবিটিএ এবং ‘ইন্দো-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’। সহযোগিতায় ছিল কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশন।
আজ সকালে প্রদীপ জ্বালিয়ে এই সেমিনারের উদ্বোধন করা হয়। এই সেমিনারে বাংলাদেশ থেকে যোগ দেন ইন্দো-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাতলুব আহমাদ এবং সহসভাপতি সোয়েব চৌধুরী। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দেন পশ্চিমবঙ্গের পৌর ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আলোচনায় তাঁরা ছাড়া অংশ নেন সিডব্লিওবিটিএর সভাপতি সুশীল পোদ্দার, কার্যকরী সভাপতি পবন জাজোদিয়া, সাধারণ সম্পাদক রাজেশ ভাটিয়া এবং কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) মো. সাইফুল ইসলামসহ অন্যরা।
সেমিনারে বক্তব্য দেন ইন্দো-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাতলুব আহমাদ। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি সেমিনারে বক্তব্য দেন ইন্দো-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাতলুব আহমাদ। আলোচনায় আলোচকেরা দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ করার লক্ষ্যে আরও বেশি করে দুই দেশের পণ্য আমদানি এবং রপ্তানি বৃদ্ধি করার ওপর জোর দেন। বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারত দুই বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশ। এই দুই দেশকে অর্থনৈতিক দিক থেকে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে আরও বেশি করে পণ্য আমদানি-রপ্তানির ওপর জোর দিতে হবে। পাশাপাশি আলোচনা সভায় এ কথাও উঠে আসে, বাংলাদেশে এখন দ্রুত বাড়ছে আর্থিক প্রবৃদ্ধি। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। উন্নয়নশীল দেশের তকমা পেতে চলেছে বাংলাদেশ। তাই বাংলাদেশের পণ্য ভারতে যাতে আরও বেশি করে আমদানি করা হয়, সেদিকে দুই দেশের শিল্পপতিদের উদ্যোগ নিতে হবে। আমদানি-রপ্তানির যাবতীয় বাধা দূর করতে হবে। সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে হবে দুই দেশের বণিক সভাগুলোর মধ্যে।

বিকেলে স্বাক্ষরিত সমাঝোতাপত্রে স্বাক্ষর করেন কনফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনসের সভাপতি সুশীল পোদ্দার এবং ইন্দো-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাতলুব আহামাদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে নিযুক্ত বাংলাদেশের প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) মো. সাইফুল ইসলাম। এ দিন বাণিজ্য ও ব্যবসা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য দুই দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতিকে পুরস্কৃত করা হয়।

Tag :

About Author Information
Update Time : ০১:০৫:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অগাস্ট ২০১৮
৫০৭ Time View

কলকাতায় বাংলাদেশি পণ্যের প্রদর্শনী কেন্দ্র হচ্ছে

Update Time : ০১:০৫:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অগাস্ট ২০১৮

কলকাতায় বাংলাদেশের পণ্য প্রদর্শনের জন্য একটি স্থায়ী প্রদর্শন কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই লক্ষ্যে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কনফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনস এবং ইন্দো-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে একটি সমাঝোতাপত্র স্বাক্ষর হয়।
এর আগে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার লক্ষ্য নিয়ে আজ দুই দেশের শিল্পপতিদের এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। কলকাতার একটি অভিজাত হোটেলে এই বৈঠকের আয়োজন করে কলকাতার ‘কনফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনস’ বা সিডব্লিওবিটিএ এবং ‘ইন্দো-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’। সহযোগিতায় ছিল কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশন।
আজ সকালে প্রদীপ জ্বালিয়ে এই সেমিনারের উদ্বোধন করা হয়। এই সেমিনারে বাংলাদেশ থেকে যোগ দেন ইন্দো-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাতলুব আহমাদ এবং সহসভাপতি সোয়েব চৌধুরী। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দেন পশ্চিমবঙ্গের পৌর ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আলোচনায় তাঁরা ছাড়া অংশ নেন সিডব্লিওবিটিএর সভাপতি সুশীল পোদ্দার, কার্যকরী সভাপতি পবন জাজোদিয়া, সাধারণ সম্পাদক রাজেশ ভাটিয়া এবং কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) মো. সাইফুল ইসলামসহ অন্যরা।
সেমিনারে বক্তব্য দেন ইন্দো-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাতলুব আহমাদ। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি সেমিনারে বক্তব্য দেন ইন্দো-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাতলুব আহমাদ। আলোচনায় আলোচকেরা দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ করার লক্ষ্যে আরও বেশি করে দুই দেশের পণ্য আমদানি এবং রপ্তানি বৃদ্ধি করার ওপর জোর দেন। বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারত দুই বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশ। এই দুই দেশকে অর্থনৈতিক দিক থেকে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে আরও বেশি করে পণ্য আমদানি-রপ্তানির ওপর জোর দিতে হবে। পাশাপাশি আলোচনা সভায় এ কথাও উঠে আসে, বাংলাদেশে এখন দ্রুত বাড়ছে আর্থিক প্রবৃদ্ধি। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। উন্নয়নশীল দেশের তকমা পেতে চলেছে বাংলাদেশ। তাই বাংলাদেশের পণ্য ভারতে যাতে আরও বেশি করে আমদানি করা হয়, সেদিকে দুই দেশের শিল্পপতিদের উদ্যোগ নিতে হবে। আমদানি-রপ্তানির যাবতীয় বাধা দূর করতে হবে। সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে হবে দুই দেশের বণিক সভাগুলোর মধ্যে।

বিকেলে স্বাক্ষরিত সমাঝোতাপত্রে স্বাক্ষর করেন কনফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনসের সভাপতি সুশীল পোদ্দার এবং ইন্দো-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাতলুব আহামাদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে নিযুক্ত বাংলাদেশের প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) মো. সাইফুল ইসলাম। এ দিন বাণিজ্য ও ব্যবসা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য দুই দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতিকে পুরস্কৃত করা হয়।