সবুজদেশ ডেক্সঃ ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জের মেইন বাস স্টান্ড থেকে শুরু করে বাজার রোড পুরাতন বাজার সহ মেইন মেইন পয়েন্ট শহরের। ঘিঞ্জি পরিবেশে গড়ে উঠেছে কাপড়ের দোকান। তবে কোনো দোকানে নেই আগুন নিয়ন্ত্রণের নিজস্ব ব্যবস্থা। দুর্ঘটনাবশত আগুন লাগলে পুড়ে যাবে শত শত দোকান। উপজেলা শহরের প্রতিটা মার্কেট ও বিপনী বিতানগুলোর একই দশা। আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো প্রকার ব্যবস্থা নেই তাদের। আগুন লাগলে নির্ভর করতে হয় দমকল বাহিনীর কর্মীদের উপর। শহরের বড় মার্কেট মুনছুর প্রাজা, রহমানিয়া মার্কেট, জহুরা প্লাজা, লস্কার টাওয়ার, জহুরুল মার্কেট কোনটাতে নেয় কোন আগুন নেভানোর কোন ব্যাবস্তা। দোকানিরা জানেন না কিভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। অথচ মাত্র দেড় হাজার টাকা দিয়ে একটি ফায়ার ইস্টিংগুইসার কিনে দোকানে রাখলে প্রাথমিকভাবে আগুন নিভানো সম্ভব বলে জানান ফায়ার ব্রিগেডের স্থানীয় কর্মকর্তারা। কালীগঞ্জ শহরের মধুগঞ্জ বাজার সড়কের ব্যবসায়ী সেলিম রেজা বলেন, মার্কেটের মালিক অগ্নি নির্বাপণের ব্যবস্থা রাখেননি। দোকানগুলোতেও ফায়ার ইস্টিংগুইসার নেই। আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। কালীগঞ্জ মনছুর মার্কেট সভাপতি মুোক্তার হোসেন বলেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাটের নিজস্ব অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। তিনি বলেন, ফায়ার ইস্টিংগুইসার নিতে জটিলতা আছে। তিনি বলেন, দোকানে দোকানে ফায়ার ইস্টিংগুইসার রাখার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে। আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিস খবর দেওয়া ছাড়া কোন উপায় নেয়। ঝিনাইদহ ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার দীলিপ কুমার সরকার বলেন, কালীগঞ্জ শহরের মার্কেটগুলোর ভিতরে ঢোকার রাস্তা সরু। ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি ঢোকে না। আছে পানির সমস্যা। শহরের ভিতর পুকুর জলাশয় নেই। ফায়ার ব্রিগেডের গাড়িতে ৪৩ লিটার পানি থাকে। এ পানি দিয়ে ২০ মিনিট আগুন নিভানো যায়। এরপর স্টেশনে ফিরে এসে ফের পানি ভরে নিয়ে যেতে হয়। শহরের পাশে চিত্রা নদীটি শুকিয়ে গেছে। তিনি বলেন, নাগরিক সচেতনার অভাব রয়েছে। শহরের ইজিবাইকগুলো ফায়ার সার্ভিসের অ্যালার্ম শুনলেও সাইড দেয় না। আরও বলেন, কালীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালেও অগ্নি নির্বাপণের ব্যবস্থা নেই। তিনি আরও বলেন, জেলার শৈলকুপা, কালীগঞ্জ, হরিণাকুন্ডু, মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর শহরে দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও নিজস্ব অগ্নি নির্বাপনের ব্যবস্থা নেই। এর ফলে ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here