পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জাকির হোসেন (৫৫) ওরফে বুড়ো জাকির নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিকে আন্তজেলা ডাকাত দলের সরদার বলছে পুলিশ।

গতকাল শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার পত্তাশা বটতলা এলাকার তিন রাস্তা মোড়ে কথিত এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

নিহত জাকিরের বাড়ি পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার জোলাগাতি গ্রামে। বাবার নাম ফজলুল হক।

পুলিশের ভাষ্য, বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় তাদের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন ইন্দুরকানী থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহাদাৎ হোসেন ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কনস্টেবল নাসির উদ্দিন। তাঁদের পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, তিনটি রাইফেলের গুলি, দুটি বন্দুকের গুলি, ১২টি কার্তুজ, একটি চায়নিজ কুড়াল ও একটি দা উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।

ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিনের ভাষ্য, গত শুক্রবার দুপুরে খুলনা নগরীর মোহাম্মদনগর এলাকা থেকে জাকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে অস্ত্রের তথ্য দেন জাকির। গতকাল রাতে জাকিরকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার ও তাঁর সহযোগীদের ধরতে অভিযানে যায় পুলিশ। পত্তাশা বটতলা এলাকার তিন রাস্তা মোড়ে গেলে জাকিরের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। তারা জাকিরকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ গুলি ছোড়ে। ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে জাকির ও পুলিশের দুই সদস্য গুলিবিদ্ধ হন। জাকিরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শংকর কুমার ঘোষ বলেন, জাকিরকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।

পিরোজপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক এ কে এম মিজানুল হক জানান, জাকিরের বিরুদ্ধে পিরোজপুর, বাগেরহাট ও ঝালকাঠি জেলার বিভিন্ন থানায় ১১টি ডাকাতির মামলা রয়েছে। তিনি আন্তজেলা ডাকাত দলের সরদার ছিলেন।

ইন্দুরকানী থানার ওসি নাসির উদ্দিন বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য জাকিরের লাশ আজ রোববার সকালে পিরোজপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here