ঢাকা ০৬:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি নেতা আমীর খসরুর রিট খারিজ

Reporter Name

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে দুদকে হাজির হতে দেওয়া নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তাঁর করা রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এই আদেশ দেন।

হাইকোর্টের এই আদেশের ফলে আমীর খসরুকে দুদকে হাজির হতে যে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল, তা বৈধ বলে জানান সংস্থাটির আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

আদালতে আমীর খসরুর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মওদুদ আহমদ ও আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

পরে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, রিট খারিজ হওয়ায় আমীর খসরুর দ্রুত দুদকে হাজির হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।

এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দ্বিতীয় দফা তলবেও হাজির হননি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সংস্থাটির কাছে আইনজীবীর মাধ্যমে চিঠি দেন তিনি। চিঠিতে অনুরোধ করেন উচ্চ আদালতে করা রিটের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা না নিতে।

দুদক সূত্র জানায়, গত ১৩ আগস্ট সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির জ্যেষ্ঠ এ নেতার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকে হাজির হতে চিঠি দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, বেনামে পাঁচ তারকা হোটেল ব্যবসা, ব্যাংকে কোটি কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনসহ মানিলন্ডারিং করে বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এ ছাড়া স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ নিজ নামে শেয়ার কেনাসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগও অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

পরে আমীর খসরুর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে ১০ সেপ্টেম্বর হাজির হওয়ার সময় দেওয়া হয়।

এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭(২) ধারায় এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয় চট্টগ্রামে। মামলার এজাহারে বলা হয়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছিলেন। ইলেকট্রনিকস ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে রাষ্ট্রে নৈরাজ্য সৃষ্টির উদ্দেশে তিনি উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। এটি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ক্লিপে কুমিল্লা থেকে নওমী নামের এক কর্মীর সঙ্গে একজনকে কথা বলতে শোনা যায়। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে লোকজনকে নামানোর জন্য কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে।

এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে বিএনপির শীর্ষ আট নেতার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক। তাঁদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, সন্দেহজনক ব্যাংক লেনদেনসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে বলে দুদক বলেছে।

Tag :

About Author Information
Update Time : ০৪:০৬:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮
৭৯৫ Time View

বিএনপি নেতা আমীর খসরুর রিট খারিজ

Update Time : ০৪:০৬:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে দুদকে হাজির হতে দেওয়া নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তাঁর করা রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এই আদেশ দেন।

হাইকোর্টের এই আদেশের ফলে আমীর খসরুকে দুদকে হাজির হতে যে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল, তা বৈধ বলে জানান সংস্থাটির আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

আদালতে আমীর খসরুর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মওদুদ আহমদ ও আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

পরে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, রিট খারিজ হওয়ায় আমীর খসরুর দ্রুত দুদকে হাজির হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।

এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দ্বিতীয় দফা তলবেও হাজির হননি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সংস্থাটির কাছে আইনজীবীর মাধ্যমে চিঠি দেন তিনি। চিঠিতে অনুরোধ করেন উচ্চ আদালতে করা রিটের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা না নিতে।

দুদক সূত্র জানায়, গত ১৩ আগস্ট সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির জ্যেষ্ঠ এ নেতার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকে হাজির হতে চিঠি দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, বেনামে পাঁচ তারকা হোটেল ব্যবসা, ব্যাংকে কোটি কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনসহ মানিলন্ডারিং করে বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এ ছাড়া স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ নিজ নামে শেয়ার কেনাসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগও অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

পরে আমীর খসরুর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে ১০ সেপ্টেম্বর হাজির হওয়ার সময় দেওয়া হয়।

এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭(২) ধারায় এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয় চট্টগ্রামে। মামলার এজাহারে বলা হয়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছিলেন। ইলেকট্রনিকস ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে রাষ্ট্রে নৈরাজ্য সৃষ্টির উদ্দেশে তিনি উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। এটি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ক্লিপে কুমিল্লা থেকে নওমী নামের এক কর্মীর সঙ্গে একজনকে কথা বলতে শোনা যায়। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে লোকজনকে নামানোর জন্য কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে।

এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে বিএনপির শীর্ষ আট নেতার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক। তাঁদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, সন্দেহজনক ব্যাংক লেনদেনসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে বলে দুদক বলেছে।