সবুজদেশ ডেস্কঃ

বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নেতৃত্বের গুরুদায়িত্ব পালনে অনীহা প্রকাশ করেছেন। তার পরিবর্তে কে হচ্ছেন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক এ নিয়ে ক্রিকেটপাড়ায় গুঞ্জন।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘মুশফিক-সাকিব যখন অধিনায়ক হয় তখন ওদের বয়সই বা কত ছিল? অনেক খেলোয়াড় আছে, আমরা কেন ভয় পাচ্ছি? তারা অধিনায়কত্ব করতে চাইবে না, তাহলে বাংলাদেশ দল চলবে কীভাবে? সিনিয়র যারা আছে তারা যদি অধিনায়কত্ব না করতে চায় তাহলে তো জুনিয়র কাউকে দেখতেই হবে।’

সুজন আরও বলেন, ‘অনেক সময় শুনি পাইপলাইনে খেলোয়াড় নেই। মোসাদ্দেক, লিটন, মিরাজ- যারা এখন খেলছে তারা কিন্তু সর্বশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের খেলোয়াড়। সাকিবরাও অনূর্ধ্ব-১৯ দলে ছিল। সামনের দিনে হৃদয়, আকবর আলী, তামিমরা আসবে। ওরা তৈরি হচ্ছে। আমি মনে করি সাকিবরা যদি ২২ বছর বয়সে অধিনায়কত্ব করতে পারে তাহলে আরও অনেক তরুণ ছেলে এখন আছে যাদের আমরা দেখি না কারণ আমরা এক জায়গাতেই আটকে আছি।’

তরুণ ক্রিকেটারদের অধিনায়কত্বের সুযোগ দিয়ে তাদের তৈরি করা প্রয়োজন। এমনটি জানিয়ে জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়ক আরও বলেন, ‘কে পারবে কে পারবে না এটা তো বলার কিছু নয়। কাউকে দিয়ে চেষ্টা করা উচিত। দলে অনেক খেলোয়াড় আছে যারা ঘরোয়া বা যুব পর্যায়ে অধিনায়কত্ব করেছে। একজন অধিনায়ক তৈরি করতে তো সময় লাগবে, সহজ হবে না। স্টিভ স্মিথ যখন অস্ট্রেলিয়ায় সুযোগ পেয়েছিল তখন সে একাদশে সুযোগ পাওয়ার মতই ছিল না। সাকিব তো আজীবন খেলবে না। একটা সময় অবসর নেবে, খেলা ছাড়বে। তখন আমাদের অধিনায়ক কে হবে?’

জাতীয় দলের ম্যানেজার আরও বলেন, ‘এখন থেকেই চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। সিনিয়ররা যদি অধিনায়কত্ব করতে না চায়, বাড়তি চাপ মনে করে, পারফরম্যান্সের জন্য চাপ মনে করে, তাহলে অন্য কাউকে চেষ্টা করুন? তরুণদের মধ্যে দেখতে হবে দলে তার জায়গাটা পাকাপোক্ত কি না। মিরাজ নিয়মিত খেলছে। সে অনূর্ধ্ব-১৯ দলে অধিনায়কত্ব করছে।’

অধিনায়ক ইস্যুতে সুজন আরও বলেন, ‘এমন নয় বাংলাদেশ অধিনায়কের জন্য খেলা জিতছে বা হারছে। অবশ্যই অধিনায়কত্ব গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার। দলের বর্তমান পারফরম্যান্সে অধিনায়কত্ব কোনো সমস্যা না। আমাদের অবকাঠামোগত পরিবর্তন খুব জরুরি।’

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here