ঢাকাঃ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরকে ডাকসুতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন ছাত্র সংসদটির সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানী। ভিপিকে ডাকসুতে আর ঢুকতে দেবেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে ডাকসুতে নুর ও তার সহযোগীদের ওপর একটি পক্ষের হামলার পর রাব্বানী এ ঘোষণা দেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডাকসু ভবনের মূল ফটক ও ভেতরে লাইট বন্ধ করে নুরের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করা হয়। এছাড়া বাইরে থেকেও ইটপাটকেল ছোড়া হয়।

নুরের সহযোগীদের অভিযোগ, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালিয়েছেন। এতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন।

তবে ডাকসু চত্বরে জিএস রাব্বানী সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, নিজের দুর্নীতি ঢাকতে বহিরাগতদের নিয়ে ডাকসুকে ব্যবহার করে অরাজকতা করছেন ভিপি নুর। সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের নিয়ে ডাকসুতে জড়ো হন তিনি। এসময় তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র, রড ও লাঠি ছিল। পরে ডাকসু ভবনের ওপর থেকে নুরের নেতৃত্বে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে।

গোলাম রাব্বানী বলেন, নুরকে আর ডাকসুতে ঢুকতে দেয়া হবে না। তার পদত্যাগের মাধ্যমে ডাকসু শান্ত হবে।

এদিকে হামলায় ভিপি নুরসহ অন্তত ৩২ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে আরও রয়েছেন- সোহেল, ইমরান, হাসান মামুন, নাজমুল, মামুন, জাহিদ, বিপ্লব, আরিফ, সুমন, আমিনুল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী এ হামলায় অংশ নেন। এ সময় ডাকসুর সদস্য ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য তাদের বাধা দিতে গেলে তাকেও শিবির আখ্যা দিয়ে লাঞ্ছিত করেন মঞ্চের নেতাকর্মীরা।

পরে সূর্যসেন হল সংসদের ভিপি মারিয়াম জামান সোহান এবং জিএস সিয়াম হামলায় অংশ নেন। তারাও লাঠিসোটা নিয়ে ভিপি নুর এবং অনুসারীদের মারধর শুরু করেন।

জানা গেছে, ঘটনার সময় ভিপি নুরের কক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন। সবাই মিলে মারধর করে নুরের কক্ষ থেকে পাঁচজনকে বের করে দেন।

একপর্যায়ে সনজিত ও সাদ্দাম সেখান থেকে বেরিয়ে এলে অন্য একটি গ্রুপ ডাকসু ভবনে প্রবেশ করে। নুরসহ সবাইকে কক্ষের লাইট অফ করে মারধর করা হয়। আহত হয়ে কয়েকজন সেখানেই পড়েছিলেন। প্রক্টরিয়াল টিম গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। কয়েকজনকে অ্যাম্বুলেন্স এবং রিকশাযোগে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here