চুয়াডাঙ্গাঃ

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী বাজারে দিনে-দুপুরে সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দল এ সময় অস্ত্রের মুখে ব্যাংকের সবাইকে জিম্মি করে নগদ ৯ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। রোববার (১৫ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে দ্রুত উথলী বিশেষ ক্যাম্পের বিজিবি ও জীবননগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ডাকাত দলের ফেলে যাওয়া পিস্তলের ম্যাগাজিন উদ্ধার করেছে।

সোনালী ব্যাংকের উথলী শাখার ব্যবস্থাপক আবু বক্কর সিদ্দিকী জানান, দুপুর সোয়া ১টার দিকে হেলমেট পরিহিত অবস্থায় মোটরসাইকেল যোগে তিনজন এসে ব্যাংকে প্রবেশ করে। এরপর তারা পিস্তল উঁচিয়ে ব্যাংকের দরজা বন্ধ করে দেয়। এরপর ব্যাংকের সবার মোবাইলগুলো নিয়ে নেয় এবং একটি কক্ষে সবাইকে আটকে রাখে। পরবর্তীতে ব্যাংকের কাউন্টারে থাকা ৯ লাখ টাকা লুট করে নেয় তারা।

এ সময় টাকা তুলতে আসা এক গ্রাহক চিৎকার শুরু করলে বাজারের লোকজন ডাকাতদের ধাওয়া করে। তারা পিস্তল উঁচিয়ে লোকজনকে গুলি করার হুমকি দিলে লোকজন তাদেরকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল মারতে থাকে। ডাকাতরা মোটরসাইকেলযোগে দ্রুত পালিয়ে যায়। সব মিলিয়ে মাত্র পাঁচ মিনিটের ভেতর টাকা লুট করাসহ পালিয়ে যায় ডাকাতরা।

মন্টু নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, মোটরসাইকেলযোগে তারা পালানোর সময় ইট-পাটকেল মারা শুরু করলে ডাকাত দলের এক সদস্যের মাথায় লাগে। ডাকাত দলের এক সদস্য পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করতে উদ্যত হলে আমরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ি। এ সময় তারা মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়।

এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী হাফিজুর রহমান, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মুনিল লিংকন, চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু রাসেল, সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার খন্দকার আবুল কালাম আজাদ, সহকারী ব্যবস্থাপক আনিসুর রহমান প্রমুখ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

চুয়াডাঙ্গার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) আবু রাসেল বলেন, ডাকাত দলকে গ্রেফতারে পুলিশ মাঠে নেমেছে। টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here