ফাইল ফটো।

সবুজদেশ রিপোর্টঃ

গত চারদিন ধরে মাঝারি ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে কুড়িগ্রামের মানুষ। রাতে ঘন কুয়াশা আর হিমেল ঠান্ডা হাওয়ায় গড়ম কাপড়েও কমছে না শীত। নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো রয়েছে চরম দুর্ভোগে। বাগেরহাটের চিতলমারীতে হাড় কাঁপানো শীতে দুর্বল হয়ে পড়ছে গবাদি পশুসহ প্রাণিকুল।

নওগাঁয় শীতজনিত কারণে বাড়ছে বিভিন্ন রোগ। বিশেষ করে শিশু-বৃদ্ধরা ডায়রিয়া ও নিয়উমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালগুলোয় বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

কুড়িগ্রাম: ঠান্ডার কারণে দুর্ভোগে রয়েছেন দিনমজুর, ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা। বুধবার জেলায় সর্বনিু তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস বলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলছে এ জেলার উপর দিয়ে, যা আরও কয়েকদিন থাকবে।

চিতলমারী (বাগেরহাট): সপ্তাহজুড়ে এ উপজেলায় শীত জেঁকে বসেছে। অনেকে খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বলিয়ে শীত নিবরাণের চেষ্টা করছে। বিশেষ করে যেসব শ্রমজীবী মানুষ খুব ভোরে কাজের সন্ধানে বের হন, তারা পড়েছেন দুর্ভোগে।

নওগাঁ: গত কয়েকদিন থেকে সন্ধ্যার পর উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। হাড় কাঁপানো শীতের কারণে জবুথবু হয়ে পড়েছে মানুষ। কর্মজীবী মানুষ পড়েছেন বিপাকে। বেলা ১১টার পর সূর্যের দেখা মিললেও তীব্রতা নেই। বদলগাছী আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, বুধবারের তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নওগাঁ জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর-এ-মোর্শেদ বলেন, শীতজনিত রোগে আতঙ্কিত হওয়ার মতো এখনো কিছু হয়নি।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here