ফাইল ছবি

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

করোনা ভাইরাসে সারা বিশ্বই আতঙ্কে। দিনদিন আক্রান্ত আর মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তেই আছে। এদিক দিয়ে বাংলাদেশেও করোনার প্রভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়েছে সরকারকে। গত ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছে।

আর এ সময়ের মধ্যে কোন পাবলিক পরীক্ষা গ্রহণ করতে পারেনি সরকার। সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়, পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনীর মতো এইচএসসি পরীক্ষাও নেওয়া যাচ্ছে না। আর এইচএসসির এই অটোপাশ নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।

গত ৭ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসির ফলাফলের গড় করে ২০২০ সালের এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হবে। জেএসসি-জেডিসির ফলাফলকে ২৫ এবং এসএসসির ফলকে ৭৫ শতাংশ বিবেচনায় নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘোষিত হবে।

কিন্তু আইনে পরীক্ষা নিয়ে ফল প্রকাশের বিধান থাকায় তা সংশোধন করে বিশেষ পরিস্থিতিতে পরীক্ষা ছাড়াই ফল প্রকাশের বিধান যুক্ত করতে হয়েছে, যা গত সপ্তাহে জাতীয় সংসদের অনুমোদন পায়।

সংসদে পাস হওয়া তিনটি বিলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সই করার পর সোমবার রাতে ‘ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট-২০২১’ ‘বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) অ্যাক্ট-২০২১’, ‘বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) অ্যাক্ট-২০২১’ গেজেট আকারে জারি কর সরকার।

এরপর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রস্তুত, ঘোষণা ও সনদ বিতরণের জন্য শিক্ষা বোর্ডগুলোকে ক্ষমতা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আর এই অটোপাশ নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। অনেক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, পরীক্ষা দিলে বোঝা যায় ফলাফল কেমন হবে। কিন্তু পরীক্ষা বাদেই ফল ঘোষণা হবে এ নিয়ে একটু চিন্তা হচ্ছে তাদের।  

১১ শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ শিক্ষার্থীর এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১ এপ্রিল থেকে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here