নড়াইলঃ
নড়াইলের কালিয়ায় নৌকার নির্বাচনী কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তির স্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেত্রী চন্দনা হক এবং মেয়র প্রার্থী ফকির মুশফিকুর রহমানসহ ৬৫ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. ওয়াহিদুজ্জামান হীরা বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৩ জানুয়ারি শনিবার দিবাগত রাত একটার দিকে কালিয়া শহরের বড়কালিয়ার ঘোষপাড়ায় নৌকার নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন দেয় আসামিরা। এতে কার্যালয়টির সাথে নৌকার প্রতিকৃতিও পুড়ে যায়। এসময় ৩-৪টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে দুটি বোমাসদৃশ বস্তু ও দুটি ছ্যান দা উদ্ধার করে পুলিশ।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, নির্বাচনকে সামনে রেখে ত্রাস সৃষ্টি করতে সংসদ সদস্যের স্ত্রী চন্দনা হক ও মেয়র প্রার্থী ফকির মুশফিকুর রহমানের নির্দেশে অপর আসামিরা এ ঘটনা ঘটায়।
তবে মেয়র প্রার্থী ফকির মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা সাজানো নাটক। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমার সমর্থকদের মাঠছাড়া করতে নিজেরা এটি ঘটিয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নৌকার প্রার্থী।’
কালিয়া থানার ওসি শেখ কনি মিয়া বলেন, নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর দেওয়া অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় কালিয়া পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়াহিদুজ্জামান (হীরা)। আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান মেয়র ফকির মুশফিকুর রহমান। তিনি কালিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক আহ্বায়ক। বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন দলের উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ও জেলা সহসভাপতি এস এম ওয়াহিদুজ্জামান (মিলু)।