কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ

করোনা প্রতিরোধে সাহসী ভূমিকা পালন করছে কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার ওসির নেতৃত্বে থানা পুলিশের সদস্যরা। করোনা পরিস্থিতিতে পুলিশ সদস্যরা আক্রান্ত হলেও তবুও থেমে নেই করোনা প্রতিরোধে তাদের কার্যক্রম। দিনরাত থানা এলাকার মানুষের সুরক্ষা দিতে ও করোনার ভয়াবহতা প্রতিরোধে মানুষকে সচেতন করতে মাঠপর্যায়ে প্রচারপত্র বিতরণ করা হচ্ছে।

উপজেলার এলাকার বিভিন্ন হাট-বাজারে গ্রামে-গঞ্জে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত পিপি এম (বার) এর নির্দেশনায় মিরপুর থানার (ওসি) আবুল কালাম সহ পুলিশ সদস্যরা সর্বস্তরের মানুষকে মাইকিং করে মানুষের মাঝে করোনা প্রতিরোধের জন্য সামাজিক দূরত্ব মানতে উৎসাহিত করে চলেছেন। গত মার্চ থেকে করোনা প্রতিরোধে কাজ করতে গিয়ে পুলিশ সদস্যদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা রয়েছে এখানে। তবে কাজ থেমে নেই তাদের। কখনও খাদ্য সামগ্রী নিয়ে কখনও আবার বাজার সদায় নিয়ে ঘরবন্দী মানুষের বাড়ি বাড়ি যেতে দেখা গেছে পুলিশ সদস্যদের। করোনা কালে মিরপুর থানা পুলিশ অনন্য ভূমিকা পালন করে চলেছেন।

মিরপুর নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক নজরুল করিম বলেন, করোনায় মিরপুর থানা পুলিশ অনন্য ভূমিকা পালন করে চলেছেন। সত্যি আমরা একজন ভালো মানুষকে এই থানার ওসি হিসেবে পেয়েছি। করোনা কালে উপজেলা এলাকাকে করোনামুক্ত করতে সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাচ্ছে এ থানা পুলিশ সদস্যরা। ওসির এমন কর্মকান্ডে অন্তন্ত খুশি উপজেলা এলাকার মানুষ।

মিরপুর থানার (ওসি) আবুল কালাম বলেন, কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভির আরাফাত পিপি এম (বার) স্যার এর নির্দেশনায় করোনা প্রতিরোধে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছি। মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড ওয়াশ ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা এ কার্যক্রম করে চলেছি। এক্ষেত্রে থানার এলাকার মানুষকে সচেতন করতে পাড়া মহল্লায় মাইকিং করে মানুষের মাঝে করোনা প্রতিরোধের জন্য সামাজিক দূরত্ব মানতে উৎসাহিত করে চলেছি প্রতিমুহুর্তে। শুধু তাই নয়, নিজেদের অর্থায়নে ও বিভিন্ন ব্যক্তিকে সহায়তায় এসব কার্যক্রম এখনও চালিয়ে যাচ্ছি। করোনা পরিস্থিতিতে শ্রমজীবী মানুষের পাশাপাশি নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো খাদ্য সংকটে পড়লে পুলিশকে জানালে পুলিশের উদ্যোগে তাদের মাঝে খাদ্য সরবরাহ এখনও অব্যাহত রয়েছে। যারা নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবার তারা সবচেয়ে সংকটে রয়েছে। কারণ তারা প্রকাশ্যে সহায়তা চাইতে পারছেন না। এমন পরিবারের সদস্যদের মাঝে গোপনে খাদ্য সহায়তা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। জনগনকে সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাচ্ছে পুলিশ সদস্যরা।

ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর থেকে অনেকেই এলাকায় এসেছেন। তাদেরও তালিকা করেছি। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে সরবরাহ করেছি। তাদের বাড়ি বাড়ি লাল নিশান টাকিয়ে দিয়েছি। তাদেরও ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার ব্যবস্থা করার কাজটিও করেছে পুলিশ সদস্যরা। বলা যেতেই পারে করোনা কালে মিরপুর থানা পুলিশ অনন্য ভূমিকা পালন করে চলেছে। মিরপুর উপজেলাকে করোনামুক্ত করতে সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাচ্ছে এখানকার পুলিশ সদস্যরা।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here