সবুজদেশ ডেস্কঃ

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নিউইয়র্ক স্টেট, বিশেষ করে নিউইয়র্ক শহর।

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, শুধু নিউইয়র্ক সিটিতেই মারা গেছেন ৭৮০ জন, আক্রান্তের সংখ্যা কমপক্ষে ৩৪ হাজার।

সেফেস্ট নামে একটি সামাজিক সংগঠন ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের নানা সংগঠনের বরাত দিয়ে নিউইয়র্কের সাংবাদিক লাভলু আনসার বলেন, গত ১০ দিনে নিউইয়র্ক সিটিতে কমপক্ষে ১৫ জন প্রবাসী বাংলাদেশি মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ছয়জন নারী।

এছাড়া, একশরও বেশি বাংলাদেশি বিভিন্ন হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছেন বলে জানা গেছে। খবর বিবিসি বাংলা

লাভলু আনসার বলেন, বাংলাদেশি অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটস এলাকার কাছে এম্‌হার্স্ট নামে একটি হাসপাতালে গত সপ্তাহে একদিনে ২৩ জন করোনাভাইরাস রোগীর মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে চারজন ছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত।

তিনি বলেন, হাসপাতালে বেড এবং ভেন্টিলেটর মেশিন না থাকায় অনেক রোগী অপেক্ষারত অবস্থাতে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন।

এসব মৃত্যুর ঘটনায় গভীর ক্ষোভ এবং শোক প্রকাশ করেছেন নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু ক্যুমো।

লাভলু আনসার বলছেন, এত মৃত্যুর ঘটনায় নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কম্যুনিটিতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

তিনি বলেন, নিউইয়র্কের পরিস্থিতি ভয়াবহ এবং শুধু বাংলাদেশি নয় নিউইয়র্কে অন্যান্য সব কম্যুনিটির লোকও মারা যাচ্ছে। ১৯ মার্চ রাজ্যে লকডাউন ঘোষণার পর প্রথমদিকে বহু বাংলাদেশি তাকে তেমন গুরুত্ব দেননি।

লাভলু বলেন, অনেক বাংলাদেশি তেমন গায়ে মাখেনি। জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকার বাংলাদেশি গ্রোসারিগুলোর বাইরে তাদের আড্ডা মারতে দেখা গেছে। একসাথে অনেক মানুষ দোকানে ঢুকে কেনাকাটা করেছেন। অনেকেই মাঝেই সচেতনতা কম ছিল অথবা বিপদ বুঝতে পারেননি।

তিনি বলেন, এখন দোকানগুলো একজনের বেশি লোক ঢোকাচ্ছে না। ডাক্তাররাও জানালা দিয়ে রোগীর সাথে কথা বলছেন।

নিউইয়র্ক সিটি এবং আশপাশে কমবেশি তিনলক্ষ বাংলাদেশির বসবাস। নিউইয়র্ক এবং নিউজার্সি – এই দুই রাজ্যে করোনাভাইরাসের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি।

নিউইয়র্ক রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা রোববার ১,০০০ ছাড়িয়ে গেছে। আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজার।

নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের এক হাজারেরও বেশি সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here